বাংলাদেশ প্রতিদিনে ২০ ও ২১ আগস্ট ২০২৫-এ প্রকাশিত ‘দেশের টাকা লুট করে বিদেশে শীর্ষ ধনী’ ও ‘বিদ্যুৎ খাতে মাফিয়া লুটেরা’ প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব সম্পর্কে প্রতিবাদ জানিয়েছে সামিট করপোরেশন লিমিটেড। প্রতিবাদলিপিতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ‘২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত কেবল সামিট গ্রুপকে ৪ হাজার ৪০৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা শুধু ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে পরিশোধ করা হয়েছে; যা এ সময়ের মধ্যে পরিশোধিত মোট ক্যাপাসিটি চার্জের প্রায় ১২ দশমিক ৫৭ শতাংশ।’ এ প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী বিদ্যুৎ খাতে সামিটের একক নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে যে প্রতিবেদনে উল্লিখিত এ-সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
প্রতিবাদলিপিতে সামিট আরও উল্লেখ করে, প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় যে দেশে গ্যাসসংকট থাকলেও সামিট গ্রুপকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া হয়। গ্যাসসংকটের মধ্যে গত বছর নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে সামিটকে প্রায় ৬০০ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়। এ তথ্যটি সত্য নয় বলে সামিট প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির মতে সামিট মেঘনাঘাট-২ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির পর সরকার আরও দুটি কোম্পানিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমতি দিয়েছে; যেগুলোর সক্ষমতা যথাক্রমে ৭১৮ মেগাওয়াট ও ৫৮৪ মেগাওয়াট।
প্রতিবেদকের বক্তব্য : যথোপযুক্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।