তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে নরসিংদীর রায়পুরায় দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি, দোকানপাট। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টায় সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র্যাবসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে মেথিকান্দা ও নজরপুর গ্রামে পুলিশি অভিযান চলছে। গুরুতর আহতরা হলেন ইসমাইল (২৮) সেলিম (২১), শুভ (১৭), সালমান (১৮)। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রায়পুরা উপজেলার শ্রীরামপুর মিশনারি স্কুল মাঠে মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় নজরপুর গ্রামের ইউপি সদস্য মানিক মিয়ার ছেলে হৃদয় ঘুরতে আসেন। মেলায় হৃদয় ও তার বন্ধুরা স্থানীয় এক তরুণীকে উত্ত্যক্ত করেন। শ্রীরামপুর গ্রামের লোকজন এতে বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরে নজরপুরের বাসিন্দারা শ্রীরামপুর গ্রামে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। বিষয়টি পুলিশ ও পৌর মেয়রসহ স্থানীয় নেতাদের জানালে উভয় পক্ষকে নিয়ে শনিবার সালিসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই মধ্যে নজরপুর গ্রামের বিএনপি নেতা বশির মেম্বার ও মানিক মেম্বার গতকাল নজরপুর প্রাইমারি স্কুল মাঠে গ্রামবাসীদের নিয়ে মিটিং করেন। মিটিং শেষে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তিন শতাধিক লোক নিয়ে শ্রীরামপুর গ্রামে অতর্কিত হামলা চালান। হামলায় শতাধিক ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। লুট করা হয় টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। পরে শ্রীরামপুর গ্রামবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে নজরপুর গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় গ্রামের ২০ জন আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় চারজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ক্ষতি হয় প্রায় কোটি টাকার। খবর পেয়ে রায়পুরা থানা পুলিশ, র্যাব-১১, ডিবিসহ অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য মানিক মিয়ার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফজাল হোসেন জানান, 'এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে এরকম ক্ষতিসাধন করা হবে তা মেনে নেওয়া যায় না। শনিবার সালিসের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এর আগেই নজরপুর গ্রামের বাসিন্দারা উত্তেজনা ছড়িয়ে অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম দেয়।'
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান জানান, বৈশাখী মেলায় তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে মেথিকান্দা ও নজরপুর গ্রামে পুলিশি অভিযান চলছে। তবে এখনো কোনো পক্ষ মামলা করেনি।
 
                         
                                     
                                                             
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                        