জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের নেতৃত্বে এবং ১৯৩ দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূতসহ জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রসমূহের নারী এনজিও কর্মী ও সংগঠকরা সমাজ এবং জাতীয় জীবনে নারীর সমঅধিকার দাবিতে নিউইয়র্কে র্যালি বের করেন।
‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষে গতকাল রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে ‘দ্য হ্যামারসজোল্ড প্লাজা’ থেকে ২০ সহস্রাধিক নারী-পুরুষের বর্ণাঢ্য র্যালিটির নেতৃত্ব প্রদানকারীদের পাশে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা শোভা পাচ্ছিল। এটি বহন করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম।
র্যালিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত এ কে এ মোমেন, ইউএন উইমেনের সদস্যা সেলিনা মোমেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদিকা ড. মালেকা বেগম, সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যা ও নারী উদ্যোক্তা সেলিমা আহমেদ, সম্মিলিত গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট নাজমা আকতার, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর জেন্ডার এন্ড সোসাল ট্র্যান্সফর্মেশন এন্ড লিড রিসার্চার মাহিন সুলতান, উদ্বাস্তু ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান রানা, সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান জেসমীন প্রেমা, মানবাধিকার আইনজীবী অশোক কর্মকার, সমাজকর্মী সবিতা দাসসহ শতাধিক বাংলাদেশির সরব অংশগ্রহণকে স্বাগত জানান মহাসচিব।
এ সময় পতাকা হাতে এম এ সালাম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারী ক্ষমতায়নে অভূতপূর্ব অগ্রগতির তথ্য সংক্ষেপে মহাসচিবকে অবহিত করার পর র্যালির আমেজে উদ্বেলিত বান কি মুন বাংলাদেশের জনসাধারণের প্রতি ধন্যবাদ জানান এবং নারীর উন্নয়নে চলমান কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
‘নারীর প্রতি বৈষম্য চলতে দেয়া হবে না’, ‘নারীর অধিকার-মানবাধিকার’, ‘নারী নির্যাতন বন্ধ কর’, ‘নারী শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত কর’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখরিত র্যালিটি বিশ্বখ্যাত টাইমস স্কোয়ারে মিলিত হয়। এসময় নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের স্ত্রী চিরলেইন ম্যাকক্রেও স্লোগান দেন।
লিঙ্গ সমতা এবং নারী অধিকারের প্রশ্নে ১৯৯৫ সাল থেকেই জাতিসংঘের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সর্বস্তরে নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার সংকল্প ব্যক্ত করা হয় এ র্যালি থেকে। বিভিন্ন দেশের রাজনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয় নারীর অধিকারের বিষয়টিকে জাতীয় ইস্যুতে পরিণত করার জন্যে।
র্যালির আগে দ্য হ্যামারসজোল্ড প্লাজায় অনুষ্ঠিত সমাবেশের বক্তারা নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৯ মার্চ, ২০১৫/ রশিদা