ভাষাসৈনিক, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে নারীদের অবদান এখনো উপেক্ষিত। রাষ্ট্র ও সরকারের উচিত বাংলাদেশের ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নারীদের সঠিক অবদান তুলে ধরা। এমনকি বাংলাদেশের পাঠ্য সূচিতে বাংলাদেশের নারী মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনাদের সঠিক তথ্য উপস্থাপন করে সেই সব অজানা কাহিনী ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাঙালির লড়াই ও চেতনার সমগ্র ইতিহাস হিসেবে উল্লেক করে জনাব আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী দেশপ্রেম থেকে বাঙালি জাতি ভবিষ্যতেও সংগ্রামের পাথেয় সংগ্রহ করবে। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ না থাকলে অনেক আগেই পাকিস্থান ও আফগানিস্থান এর মত ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত হত। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে উন্নত জাতির খাতারে নিয়ে যাওয়ার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃতের বিকল্প নেই।
মহান স্বাধীনতা দিবস ২০১৫ উপলক্ষে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে আওয়ামী লীগের ডেনমার্ক শাখা কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক এডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালির রাজনীতির ইতিহাসের ধারায় নিজেকে সমর্পণ করেছেন। শেখ হাসিনার হাত ধরেই রচিত হচ্ছে বাঙালির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নতুন ইতিহাস। তিনি কেবল ইতিহাসের সন্তানই নন, তিনি বাঙালির ইতিহাসের নব রচয়িতা।
ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবু সুভাষ ঘোষ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জনাব মাহবুবুর রহমান এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন জনাব রিয়াজুল হাসনাত রুবেল, বিশিষ্ট চিত্রকর জনাব রুহুল আমিন কাজল, ঢামেক সু এর সাবেক ভিপি ডা. বিদ্যুত বড়ুয়া, নাইম বাবু, জাহাঙ্গীর আলম, মোতালেব হোসেন ভুইয়া, গোলাম কিবরিয়া শামিম ও হিল্লোল বড়ুয়া।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি জনাব নিজাম উদ্দিন, নাসির সরকার, জনাব মিঠু, জনাব ইনসান ভুইয়া, জনাব শাহজাহান, জনাব সর্দার সাইদুর রহমান, জনাব শরিফুল ইসলাম, আমির হোসেন, মনির হোসেন, শাহনাজ পারভীন শিল্পী, রেজাউল হক, জনাব রানা খান, জনাব রশিদ মামুন, জানব ইউসুপ চপল, মাইনুদ্দিন, দীপঙ্কর পাল, হাসান পিনু, হ্যাপি, ইউসুফ আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ সেলিম ও কোহিনোর আখতার মুকুলসহ আরো অনেকে।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩১ মার্চ ১৫/ সালাহ উদ্দীন