উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম মৃত্যু বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল চ্যান্সেরী ভবনে পতাকা অর্ধনমিত করা, আলোচনা সভা, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও পোস্টার প্রদর্শন। অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশী ও উজবেকিস্তানের শিল্পী, সাহিত্যিক ব্যক্তিত্বসহ অনেকে অংশগ্রহণ করেন।
দূতাবাসের বার্তায় বলা হয়, দিনের শুরুতে রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান, এনডিসি জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন এবং উপস্থিত সকলে জাতির পিতার সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করে। ইতিহাসের নির্মম হত্যাকাণ্ডে নিহত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পড়ে শোনান রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান। পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের পাঠানো বাণী পাঠ করে শোনান দূতাবাসের কাউন্সেলর নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ।
আলোচনা সভায় বক্তারা স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় ঘটা নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেন। তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পিছনে এসব কুচক্রী মহলের গভীর ষড়যন্ত্র ছিল এবং ভবিষ্যতে সকলকে একসাথে এ ধরণের অপ-তত্পরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙ্গালী জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাকিস্তানের শৃঙ্খল থেকে দেশকে মুক্ত করে এবং আমরা আমাদের কাঙ্খিত স্বাধীনতা লাভ করি। বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা ছিল বাঙ্গালী জাতির জন্য ম্যাগনাকার্টার সমতুল্য। বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা বিনির্মাণে অবদান রাখতে দেশ বিদেশে অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশী ও বাংলাদেশের শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের উপর নির্মিত প্রামান্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। সবশেষে রাষ্ট্রদূত চ্যান্সেরী ভবনে সপ্তাহব্যাপী পোস্টার প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
বিডি-প্রতিদিন/১৫ আগস্ট, ২০১৫/মাহবুব