মামুলি কারণে গ্রেফতার হওয়া লোকজনকে দ্রুত মুক্তি এবং দারিদ্র্যদের জামিনের বন্ড সহজ করার পাশাপাশি অভিবাসনের আইন লঙ্ঘনের জন্য কাউকে গ্রেফতার ও বহিষ্কার বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের অঙ্গীকার করলেন নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট এটর্নী পদপ্রার্থী মেলিন্ডা ক্যাটজ। অভিবাসী সমাজের বন্ধু হিসেবে পরিচিত ডেমক্র্যাটিক পার্টির নেতা মেলিন্ডা কাটজকে ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি পদে সর্বাত্মক সমর্থন জ্ঞাপনের এক র্যালি হয় গতকাল শনিবার জ্যাকসন হাইটসে ডাইভার্সিটি প্লাজায়। নাভা (নিউ আমেরিকান ভোটার এসোসিয়েশন) নামক একটি সংগঠন আয়োজিত এই র্যালিতে মেলিন্ডা কাটজ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা দিয়েছেন যে, কুইন্সে সবচেয়ে বেশী ভাষা-ভাষী মানুষের বসবাস অর্থাৎ অভিবাসীদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে বিবেচিত এই এলাকার খেটে খাওয়া মানুষদের নিরাপত্তার জন্যে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। গত ৪ বছরে এই বরোর প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বাংলাদেশিসহ দক্ষিণ এশিয়ানরাও স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন। সে আলোকেই আমি ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি হিসেবে জয়ী হতে পারলে অভিবাসীদের কল্যাণে কাজ করবো।
কুইন্স ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার এটর্নি মঈন চৌধুরী এ সময় বলেন, মেলিন্ডা কাটজের সমর্থনে বাংলাদেশি-আমেরিকানরা আজ ঐক্যবদ্ধ। বরো প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেলিন্ডা কাটজের অবদান অভিবাসী সমাজ কখনো ভুলবে না।
এ র্যালিতে মেলিন্ডা কাটজকে সমর্থন জানিয়ে আরো বক্তব্য দেন নাভার প্রেসিডেন্ট ড. দিলীপ নাথ, নির্বাহী সেক্রেটারি রোকেয়া আকতার প্রমুখ। র্যালিতে বিশিষ্টজনদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি প্রার্থী কাজী নয়ন, নিউইয়র্ক ইন্স্যুরেন্সের প্রেসিডেন্ট শাহনেওয়াজ, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার এবং নূরল হক, কমিউনিটি লিডার শরাফ সরকার, সবিতা দাস প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে, ৮৬ বছর বয়েসী ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি রিচার্ড ব্রাউন স্বাস্থ্যগত কারণে ১ জুন থেকে এ দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ১৯৯১ সালে এ পদে নির্বাচিত হওয়ার পর প্রতিবারই পুনরায় জয়ী হয়েছেন। তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ৩১ ডিসেম্বর। কিন্তু পারকিনসনে আক্রান্ত হওয়ায় কঠিন এ দায়িত্ব পালনে হিমসিম খাচ্ছেন বলে নিজেই এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন। ১ জানুয়ারি হবে তার এ দায়িত্বের ২৮ বছর পূর্তি। সেদিনই তিনি পদত্যাগ করবেন। এই শুন্য পদে ডেমক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী বাছাইয়ের নির্বাচন হবে ২৫ জুন। সে নির্বাচনে যিনি দলীয় প্রার্থী বলে জয়ী হবেন তাকে লড়তে হবে নভেম্বরের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীর সাথে।
বিডি-প্রতিদিন/১০ মার্চ, ২০১৯/মাহবুব