জার্মানিতেতে আগের তুলনায় কমেছে প্রাণনাশী করোনার সংক্রমণ, পর্যায়ক্রমে শিথিলও করা হচ্ছে লকডাউনে দেয়া বিধি নিষেধও। তবে বিধি নিষেধের মধ্যেও কোন কোন অঙ্গরাজ্যে বেড়েছে করোনার প্রকোপ। দেশটিতে বসবাসরত প্রায় ২০হাজার বাংলাদেশিদের মধ্যে করোনায় এখনো কেউ মারা না গেলেও আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪জনের মত মানুষ। তার মধ্যে নতুন আক্রান্ত ৯জন। তারা সবাই বার্লিনের অধিবাসী। আক্রান্তদের মধ্যে দু একজন ছাড়া বাকী সবার অবস্থা সংকটাপন্ন নয়।
এদিকে ভয়াবহ মহামারী কোভিড নাইন্টিনের পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় বিধিনিষেধ আরো শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আঙ্গেলা মের্কেলের সরকার। বুধবার জার্মানির ১৬টি অঙ্গরাজ্যের মূখ্যমন্ত্রীদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে বর্তমানে সংক্রমণ বিবেচনায় কদিন আগে নেয়া বিধিনিষেধ আরো শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আঙ্গেলা মের্কেল। তবে আগের মত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে লেগে যাবে আরো বেশ কিছুদিন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, শিথিলতা মানেই স্বাভাবিক চলাফেরা নয়, বরং সচেনতনাই পারে সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে সেই সাথে স্বাস্থ্যবিধি না মানলেই আসতে পারে মহামারীর দ্বিতীয় ধাপ। আর সেটা হবে ভয়াবহ। এদিকে মের্কেল সরকারের গ্রহণ করা শিথিলতার সিদ্ধান্তের কারণে জার্মানির অর্থনীতি আবারো ঘুরে দাঁড়াবে অভিমত অর্থনীতিবিদদের। তবে যতদিন প্রতিষেধক টিকা তৈরি না হবে ততদিন পর্যন্ত সংকট থাকারও সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
রবার্ট কক ইন্সটিটিউট ও জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের মতে জার্মানিতে সবমিলিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৮হাজার ৯১২ জন এদের মধ্যে মৃত মাত্র ৭৩৩৬জন তবে সুস্থতা পেয়েছেন ১ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি নাগরিক।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন