বিশ্বব্যাপী তোলপাড় চলছে নতুন করোনার সংক্রমণে। ইতিমধ্যে ব্রিটেন ও দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন ধরনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
কোভিড-১৯ এ যে ধরনের ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে তার চেয়ে নতুন ধরনের এই কোভিড-১৯ ভাইরাস আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এ ধরনের ভাইরাস আরও বেশি প্রাণঘাতী নয়। নতুন এই ভাইরাসের সংক্রমণ যেন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য কানাডা বেশ সতর্ক রয়েছে।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দেশটির প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. থেরেসা ট্যাম। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন যে ধরন নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনা চলছে কানাডায় এখনও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এসময় তিনি আরো বলেন, আমরা কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি যা এটির এদেশে আসার সম্ভবনা কমাতে সহায়তা করছে।
এদিকে, ব্রিটেনের দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্বে একটি নতুন ধরণের এবং অধিক সংক্রামক করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। জার্মানি, ইতালি, বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড, তুরস্ক এবং কানাডাসহ বিশ্বের অন্তত ৪০টি দেশ এ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের সাথে বিমান চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। ভারতও যুক্তরাজ্য থেকে আসা বিমানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
উল্লেখ্য, কানাডায় এ বছরের মার্চ মাসে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ব্রিটিশ কলম্বিয়ায়। ভাইরাসটি শনাক্ত হবার পর থেকেই দেশটির সরকার নাগরিকদের জনস্বাস্থ্যর গুরুত্বের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নেও ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশটির সরকারের নানামূখী পদক্ষেপ ইতিমধ্যে দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ২৮ হাজার ৩৫৪ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ১৪ হাজার ৫ শত ৯৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৪৫২ জন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন