২৯ জানুয়ারি, ২০২২ ১৪:৪০

কায়রো আন্তর্জাতিক বইমেলায় নেই বাংলাদেশি বইয়ের স্টল

এলামী মো. কাউসার, কায়রো

কায়রো আন্তর্জাতিক বইমেলায় নেই বাংলাদেশি বইয়ের স্টল

৫৩তম কায়রো আন্তর্জাতিক বইমেলা ২৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। ৮০ হাজার স্কয়ারফিটের বিশাল মেলা প্রাঙ্গণে অংশ নিচ্ছে ৫১টি দেশের ১০৬৩টি প্রকাশনী। স্টলসংখ্যা ৮৭৯টি। কায়রোর বৃহত্তম বই মেলায় ভারত, পাকিস্তান এবং নেপালের মতো দেশগুলো স্টল বরাদ্দ পেলেও দুর্ভাগ্যের বিষয় বাংলাদেশিদের জন্য কোনো স্টল বরাদ্দ নেয়া হয়নি। এতে মিশরে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা মর্মাহত হয়েছে।

১৯৬৯ সালে শুরু হওয়া এই বই মেলাটিকে বর্তমান সিসি সরকার অনেক আধুনিকায়ন করেছে। কায়রো শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে বই মেলায় যোগদানের জন্য মিশরের পরিবহন মন্ত্রণালয় নির্দিষ্ট বাস সার্ভিস চালু করেছে। পুরো বইমেলাটিকে তিন স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে ঢেকে ফেলা হয়। জনগণের নিরাপত্তা বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান মেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।

মেলা দেখার জন্য এবং পছন্দের লেখকের বই কেনার জন্য প্রতিদিনই ভিড় করছে প্রায় হাজারো দর্শনার্থী। বাংলাদেশি প্রবাসী এবং ছাত্র-ছাত্রীদেরও মেলায় আসতে দেখা গেছে। বইমেলা মূলত আবাল-বৃদ্ধ সকলেরই মিলনমেলা। এর প্রভাবে সৃষ্টি হয় মানুষের প্রতি পূর্ণ বন্ধন। মুছে যায় সামাজিক  ব্যবধান। বিখ্যাত লেখকদের বিক্রিত বই এর স্বাক্ষর, খ্যাতিমান কবির স্বরচিত কবিতা আবৃতি স্বাভাবিকভাবে দর্শক এবং পাঠকদের দারুণভাবে প্রভাবিত করে।  বইমেলা মানুষের চিন্তার পরিমাপক। এর মাধ্যমে মানুষের রুচি ও আদর্শের পরিবর্তন ঘটে।

কায়রো বই মেলার বৈশিষ্ট্য হলো এখানে একসাথে অনেক প্রকাশনী উপস্থিত হয়, প্রায় সকল শাস্ত্রের বইপত্র সুলভ মূল্যে এমনকি অনেক সময় ছাড়কৃত মূল্যেও পাওয়া যায়। কায়রো বইমেলা শেষ হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি।

 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর