কর্মব্যস্ত প্রবাসজীবনে দেশীয় সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্বাদ পেতে কুয়েত প্রবাসীরা অপেক্ষায় থাকেন বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আয়োজনের। প্রবাসীদের ব্যস্ত জীবনে একই এলাকার মানুষদের সঙ্গে মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছর দেখা হয়নি- এমন বাস্তবতায় এসব আয়োজনই হয়ে ওঠে বিনোদন ও মিলনমেলার প্রধান ক্ষেত্র।
শীতের আগমনকে সামনে রেখে কুয়েতে হোমনা থানার প্রবাসীদের উদ্যোগে মরু অঞ্চল কাবাদে দুই দিনব্যাপী মিলনমেলা ও পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে দেশীয় সংগীত, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং হোমনা প্রবাসী গৃহিণীদের হাতে তৈরি নানা ঐতিহ্যবাহী পিঠা প্রদর্শিত হয়, যা পুরো এলাকায় বয়ে আনে বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতির আবহ।
অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হয় দুধ চিতই, রসমঞ্জুরি, পাটিসাপটা, খোলা পিঠা, ভাপা পিঠা, তেলের পিঠা, পুলি ও নারকেল পিঠাসহ নানা রকমের জনপ্রিয় বাংলা পিঠা।
আয়োজকরা জানান, নতুন প্রজন্মকে বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া এবং প্রবাসীদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের বন্ধন আরও দৃঢ় করাই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। প্রবাসীরা জানান, এ ধরনের উৎসব তাদের মানসিক প্রশান্তি এনে দেয় এবং তাঁরা চান বছরে এরকম আরও অনুষ্ঠান হোক।
দুই দিনব্যাপী মিলনমেলার প্রথম দিন বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত হয় পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে প্রবাসী শিল্পীরা জারি, সারি, বাউলসহ বিভিন্ন দেশীয় সংগীত পরিবেশন করেন। দ্বিতীয় দিনে অতিথি আপ্যায়নে ব্যস্ত সময় কাটান আয়োজকরা।
কুয়েত প্রবাসী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, তাঁদের পরিবারবর্গ এবং বিপুল সংখ্যক প্রবাসীর উপস্থিতিতে মরু অঞ্চল কাবাদের অনুষ্ঠানস্থলটি যেন পরিণত হয় এক খণ্ড বাংলাদেশে।
বিডি-প্রতিদিন/জামশেদ