নাসা পরিবেশবান্ধব এবং কম নিঃসরণ সম্পন্ন বাণিজ্যিক বিমান তৈরির জন্য পাঁচটি পৃথক গবেষণা প্রকল্পে ১১.৫ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে। ‘অ্যাডভান্সড এয়ারক্রাফট কনসেপ্টস ফর এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি (AACES) 2050’ উদ্যোগের আওতায় নাসা শিল্প ও শিক্ষাক্ষেত্রের অংশীদারদের পরিবেশবান্ধব বিমান ডিজাইন এবং প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি বিকাশের জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
এই প্রকল্প নাসার ‘অ্যাডভান্সড এয়ার ট্রান্সপোর্ট টেকনোলজি’ প্রোগ্রামের একটি অংশ, যা ভবিষ্যৎ বিমানের প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং পরিবহন ব্যবস্থাকে আরও টেকসই করার জন্য উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে কাজ করে।
নাসার অ্যারোনটিক্স রিসার্চ মিশন ডিরেক্টরেটের সহযোগী প্রশাসক বব পিয়ার্স বলেছে ‘AACES-এর মতো উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে নাসা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি কাজে লাগিয়ে বিমান চলাচলের দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি পরিবেশের ওপর প্রভাব কমানোর এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে।’
২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে গবেষণাগুলো সম্পন্ন করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। নির্বাচিত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান হলো: অরোরা ফ্লাইট সায়েন্সেস (বোয়িং কোম্পানি): বিকল্প জ্বালানি, বায়ুগতিশীল প্রযুক্তি এবং উন্নত প্রপালশন সিস্টেম নিয়ে গবেষণা করবে। জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি হাইড্রোজেন ইলেকট্রিক এয়ারক্রাফ্ট (ATH2ENA)-এর ভিত্তিতে নতুন বিমান কনসেপ্ট এবং উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবে। প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি: উন্নত প্রপালশন প্রযুক্তির মাধ্যমে তাপ এবং প্রপালসিভ দক্ষতা বাড়ানোর সম্ভাবনা অন্বেষণ করবে। জেটজিরো: ক্রায়োজেনিক তরল হাইড্রোজেনকে বাণিজ্যিক বিমানের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য গবেষণা করবে, যা গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমাবে। ইলেক্ট্রা: বৈদ্যুতিক প্রপালশন এবং বায়ুগতিশীল নকশা উন্নয়নের পাশাপাশি বিমানের শব্দ কমানো এবং আরও সহজলভ্য করার জন্য কাজ করবে।
ভবিষ্যতের বিমান চলাচলের রূপরেখা
এই প্রকল্পগুলো পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির বিকাশ এবং টেকসই বিমান শিল্পের রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ২০২১ সালে নাসার ‘সাসটেইনেবল ফ্লাইট ন্যাশনাল পার্টনারশিপ’ থেকে শুরু হওয়া উদ্যোগটি এক্স-৬৬ বিমান এবং উন্নত ইঞ্জিন কোর তৈরির পথ তৈরি করেছে। নাসার এই উদ্যোগ পরিবেশের ওপর বিমানের নেতিবাচক প্রভাব হ্রাস করার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ বিমান পরিবহনকে আরও কার্যকর এবং টেকসই করার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল