পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে এক সপ্তাহ পর ঢাকায় আসছে শ্রীলঙ্কা। সিরিজকে সামনে রেখে কোনো ক্যাম্প হচ্ছে না মুশফিকুর রহিমদের। কিন্তু ক্রিকেটের সঙ্গেই রয়েছেন ক্রিকেটাররা। ম্যাচ খেলে প্রস্তুত করে নিচ্ছেন নিজেদের। এরইমধ্যে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা খেলে ফেলেছেন একটি দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচ। আজ থেকে খেলবেন আরও একটি চার দিনের ম্যাচ। আসলে শ্রীলঙ্কা সিরিজকে সামনে রেখে আয়োজন করেছে দীর্ঘ পরিসরের টুর্নামেন্ট, বিসিএল। আজ তার দ্বিতীয় রাউন্ড। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে খেলবে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল ও প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চল এবং ২ নম্বর মাঠে লড়বে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল ও বিসিবি উত্তরাঞ্চল।
চার দলের টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ডে জয় পায়নি কোনো দল। ড্র হয়েছে। তবে রান করেছেন ব্যাটসম্যানরা। রান বন্যায় ভেসেছে ম্যাচগুলো। কোনো ইনিংসেই তিন শয়ের নিচে রান ওঠেনি। এক ইনিংসে ২৩৪ রান ওঠেছে, তাও আবার এক উইকেট হারিয়ে। প্রথম পর্বে সেঞ্চুরি হয়েছে ৬টি। এরমধ্যে একটি আবার ডাবল সেঞ্চুরি। এছাড়া নার্ভাস নাইনটিজের ঘরে স্কোর ৩টি এবং হাফসেঞ্চুরি ৭টি। ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের শামসুর রহমান শুভ। শুভ খেলেছেন ২৬৭ রানের নান্দনিক ইনিংস। এরমধ্যে একদিনেই করেছেন ডাবল সেঞ্চুরি। যা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম। এছাড়া সেঞ্চুরি করেছেন টাইগার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম (১০০), ফরহাদ রেজা (১৫৩), ইমরুল কায়েশ (১২৭), নাঈম ইসলাম (১০৬), মো. মিথুন (১০৭)। উভর ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন নাজিমুদ্দিন (৫৭, ৯৭, অব.) ও নাসির হোসেন (৯৯, ৫০)। এছাড়া হাফ সেঞ্চুরি করেছেন নাফিস ইকবাল ৬৩, নুরুল হাসান সোহান ৯৪, ফরহাদ হোসেন ৭৬। তবে কোনো বোলারই ইনিংসে ৫ বা ততোধিক উইকেট নিতে পারেননি। বোলারদের এই দুঃসহ অবস্থার শেষ চাইছেন বিসিবির দুই পরিচালক আকরাম খান ও খালেদ মাহমুদ সুজন। আজ থেকে যে দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা মাঠে গড়াচ্ছে, তাতে বোলাররা বাড়তি সুবিধা পাবেন। শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে বোলারদের আত্দবিশ্বাস বাড়াতে উইকেটকে বানানো হচ্ছে স্পোর্টিং। স্পোর্টিং উইকেট বানানোর জন্য টুর্নামেন্ট কমিটির পরিচালক আকরাম নির্দেশ দিয়েছেন কিউরেটর গামিনি ডি সিলভাকে। প্রথম রাউন্ডে ফরহাদ রেজার ১৫৩ রানে ভর করে বিসিবি উত্তরাঞ্চল প্রথম ইনিংসে করেছিল ৪২১ রান। জবাবে প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চল ইমরাল কায়েশ ও মিথুনের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ৪২৭ রান তুলে ঘোষণা করে ইনিংস। ৬ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে মুশফিক ও নাঈমের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ৩৪১ রান করে উত্তরাঞ্চল। এ ম্যাচেই সেঞ্চুরি হয় ৫টি। আরেক ম্যাচে সেঞ্চুরি হয় মাত্র একটি। ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল প্রথমে ব্যাট করে ৩০৩ রান করে। জবাবে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল শামসুর রহমানের ডাবল সেঞ্চুরিতে ৪৭৫ রান করে। ১৭২ রানে পিছিয়ে থেকে খেলতে নেমে পূর্বাঞ্চল দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ২৩৪ রান করে। নাজিমুদ্দিন ৯৭ রানে অবসর নেন। না হলে আর একটি সেঞ্চুরির দেখা মিলত।