ধরে নেওয়া যাক, গত রাতে বার্সেলোনা সেভিয়ার মাঠে জয় পেয়েছে। তাহলে সমীকরণটা কি দাঁড়াল? বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, তিন দলেরই সংগ্রহ ২৩ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট করে! গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় বার্সেলোনা শীর্ষে, দ্বিতীয় স্থানে রিয়াল মাদ্রিদ এবং তিন নম্বরে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। অবশ্য চিত্রটা বদলে গেছে, যদি বার্সেলোনা গত রাতে সেভিয়ার মাঠ থেকে জয় ছাড়াই ঘরে ফিরে থাকে। বার্সেলোনা ড্র কিংবা পরাজয়, যে ফল নিয়েই বাড়ি ফিরুক লা লিগার শীর্ষে থাকবে রিয়াল মাদ্রিদ। সেক্ষেত্রে রিয়াল মাদ্রিদ ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ৫৭ পয়েন্টের বিপরীতে বার্সেলোনার পয়েন্ট দাঁড়াবে ৫৫!
বহুদিন, লা লিগায় কোনো চ্যাম্পিয়ন দল এতটা প্রতিযোগিতার মুখে পড়েনি। সর্বশেষ ২০০৬-০৭ মৌসুমে এমন প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। লিগ জয় করেছিল গোল ব্যবধানে। রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা, দুই দলেরই পয়েন্ট ছিল ৭৬ করে! চলতি মৌসুমটা মনে হয় তার চেয়েও কঠিন। এবার বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের পাশাপাশি লড়াইয়ে থাকছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদও। গত শনিবার লা লিগায় ৪-২ গোলে ভিলারিয়ালকে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রোনালদোহীন ম্যাচে বেনজেমার ডাবল এবং বেলে ও রদ্রিগেজের একটি করে গোলে লস ব্ল্যাঙ্কোসরা এ জয় পায়। ভিলারিয়ালের পক্ষে গোল দুটি করেছেন মারিও গাসপার ও জিওভানি। রিয়াল মাদ্রিদের জয়ের রাতে লিগের শীর্ষে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ২-০ গোলে হেরে গেছে আলমেরিয়ার কাছে। রিয়ালের সমান্তরালে থাকলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় দুই নম্বরে নেমে গেছে অ্যাটলেটিকো। আলমেরিয়াকে জয়সূচক গোল দুটি উপহার দেন ভারজা। অ্যাটলেটিকোর পরাজয়ের অন্যতম কারণ ছিল ৮৪ মিনিটে গোলরক্ষক দানি আরানজুবিয়ার লাল কার্ড। বেশ কিছু সময় তিনি বল নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। আলমেরিয়ার স্ট্রাইকার জনাথন সামনে এগিয়ে এলে আরানজুবিয়া বলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। দেখতে ফাউলের মতো মনে হয়নি। তবে রেফারি ফার্নান্দোর কাছে এভাবে বল নিয়ে সময় ক্ষেপণ করাটাই লাল কার্ড দেখানোর জন্য উপযুক্ত বলে মনে হয়েছে। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ হেরে যাওয়ায় লা লিগায় আবারও নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার সুযোগ পেয়েছে বার্সেলোনা। গত ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়ার কাছে ৩-২ গোলে হেরে কাতালানরা দুই নম্বরে নেমে গিয়েছিল। গত রাতে সেভিয়ার বিপক্ষে যে কোনো ব্যবধানের জয় কাতালানদের আবারও বসিয়ে দিবে লা লিগার চালকের আসনে।