বিসিসিআইয়ের সভাপতির পদ ছাড়তে শ্রীনিবাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। সে সঙ্গে দেশের ক্রিকেট বোর্ডের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি করতে সুনীল গাভাস্কারের নামও জানিয়েছেন কোর্ট। এ নিয়ে উত্তাল ভারতের ক্রিকেটাঙ্গন। তার অাঁচ পড়েছে টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতে আসা ভারতীয় দলের উপর। মিডিয়া কর্মীরা আইপিএল এবং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যাতে কোনো প্রশ্ন না করেন, শুরুতেই ভারতীয় দলের মিডিয়া ম্যানেজার বিষয়টি জানিয়ে দেন। তারপরও বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন ভারতীয় সাংবাদিকরা। কিন্তু সংবাদ সন্মেলনে আসা রোহিত শর্মা সে পথে হাঁটেননি। বরং জানিয়েছেন, বাংলাদেশকে হালকা প্রতিপক্ষ না ভেবে অন্য দলগুলোর মতোই সিরিয়াসলি নিচ্ছেন। জানিয়েছেন, ২০০৭ সালের প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপের পর আবারও শিরোপা জেতার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে ভারতের।
আসরের চূড়ান্ত পর্বের সূচনা ম্যাচে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পায় ৭ উইকেটে। পরের ম্যাচে একই ব্যবধানে হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। টানা দুই জয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল প্রায় নিশ্চিত প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নদের। আজ স্বাগতিক বাংলাদেশকে হারাতে পারলেই গ্রুপের প্রথম দল হিসেবে জায়গা করে নিবে সুপার ফোরে। তাই আজকের ম্যাচ জিততে চান। তবে প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশকে হালকা মেজাজে না নিয়ে কঠিন প্রতিপক্ষই ভাবছেন রোহিত। তিনি বলেন, 'আগের দুই ম্যাচে আমরা যেমন খেলেছিলাম। কালও (আজ) আমরা একই রকম খেলব এবং জেতার জন্যই নামব। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, জেতার জন্য কি করতে হবে, সেটা ভালো করেই জানি। জিততে হলে তিন বিভাগেই ভালো করতে হবে। ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সব সময়ই বিপজ্জনক প্রতিপক্ষ। তাই কোনোভাবেই আমরা তাদেরকে হালকা চোখে নিচ্ছি না। অবশ্য আমরা স্বাভাবিক খেলাটাই খেলতে চেষ্টা করব।' হংকং ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা মানসিকভাবে অনেকটাই বিপর্যস্ত। অন্যদিকে দুই ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসে টুইটুম্বুর ধোনীবাহিনী। সাদা চোখে আজকের ম্যাচে একটু রিল্যাক্স, অতি আত্মবিশ্বাসী হওয়ার কথা রোহিতদের। কিন্তু তেমনটি থাকছেন না বলেন ভারতীয় ওপেনার, 'অতিরিক্ত আত্দবিশ্বাস থাকা উচিত নয়। বাংলাদেশ ঘরের মাঠে যে কোনো দেশের জন্য বিপজ্জনক। তারা এই কন্ডিশনে খুব ভালো খেলে থাকেন। তাই আমাদের বলা হয়েছে, ম্যাচ জেতার জন্য খেলতে।'