তিনদিন আগে ঢাকায় এসেছেন শেন জারগেনসেন। এসে অলস সময় পার করছেন। কারোর সঙ্গে দেখা কিংবা কথাও বলছেন না। ঢাকায় পা রেখে অবশ্য জানিয়েছিলেন, বিসিবির সঙ্গে আলোচনা করার পরই কথা বলবেন। যেহেতু বিসিবির সঙ্গে এখনো তিনি কোনো কথা বলেননি, তাই মিডিয়ার পথও মাড়াচ্ছেন না। তবে আজ বাদে কালই হয়তো তিনি তার অবস্থান পরিষ্কার করবেন। টাইগার কোচ জারগেনসেনের সঙ্গে কাল যে কোনো সময় কথা বলবেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ওই আলোচনাতেই স্পষ্ট হয়ে যাবে কোচের ভবিষ্যৎ। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত মেয়াদ পূর্ণ করবেন জারগেনসেন, না নতুন কোচের সন্ধানে নেমে পড়বে বিসিবি। অবশ্য বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, কেউ যদি নিজ থেকে থাকতে না চান, তাহলে অবশ্যই নতুন কিছু ভাববে বোর্ড।
টি-২০ বিশ্বকাপের পর ছুটিতে জন্মভূমি অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলেন জারগেনসেন। ঢাকায় আসার তারিখ ছিল ৩০ এপ্রিল। এসেছেন ১ মে। আসার তিনদিন আগে ২৮ এপ্রিল হঠাৎ করে বিসিবির ভারপ্রাপ্ত সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজনকে ই-মেইলে জানিয়ে দেন, জাতীয় দলের হেড কোচের দায়িত্ব আর পালন করবেন না তিনি। সেদিন ছিল আবার বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের জরুরি সভা। সভা শুরুর ঠিক পাঁচ মিনিট আগে মেইল করেন জারগেনসেন। বিসিবি সভাপতি না থাকায় সেদিন কোনো সিদ্ধান্ত নেননি পরিচালকরা। ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান জানিয়েছিলেন, বিসিবি সভাপতি দেশে ফেরার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গতকাল কোচের সঙ্গে বসার কথা ছিল বিসিবি সভাপতির। কিন্তু শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় বিসিবি সভাপতি বসেননি। আগামীকাল বসবেন বলে জানিয়েছেন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান, 'বিসিবি সভাপতি সোমবার কোনো এক সময় জারগেনসেনের সঙ্গে কথা বলবেন। সেখানেই বিষয়টির একটি সুরাহা হবে বলে মনে করি।'
জারগেনসেন যেদিন দেশে ফিরেন, সেদিনই সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে ফিরেন বিসিবি সভাপতি। ঢাকায় পা রেখে বিসিবি সভাপতি বলেন, 'যদি কেউ নিজ থেকে থাকতে না চান, তাহলে তিনি শতভাগ দিতে পারবেন না।' জারগেনসেন তার পদত্যাগ পত্রে উল্লেখ করেছেন, বোর্ড চাইলে জুন মাসে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ পর্যন্ত কাজ করবেন। তবে জারগেনসেন যদি থাকতে না চান, তাহলে বিশ্বকাপ পর্যন্ত স্থানীয় কোচদের দিয়েই কাজ চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে বিসিবির। এর ফাঁকেই বিদেশি কোচের সন্ধানে থাকবে। বিসিবি এবার হেড কোচ করার পিছনে অগ্রাধিকার দিবে ব্যাটিং স্পেশালিস্টকে। অবশ্য বোলিং, ফিল্ডিং বিভাগেও কোচ নিয়োগ দিবে বোর্ড। যদি বিদেশি নাম-ডাকওয়ালা কোচ পেয়ে যায় বোর্ড, তাহলে সহকারী কোচ হিসেবে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশের যে কেউকে। এ ক্ষেত্রে খালেদ মাহমুদ সুজন, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, মিজানুর রহমান বাবুল, সোহেল ইসলামদের নামও শোনা যাচ্ছে। অবশ্য সুজন হেড কোচ হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।