আর্জেন্টিনা না হলেও এবারে বিশ্বকাপ লিওনেল মেসির অগ্নিপরীক্ষা বলা যায়। পুরো বিশ্বে আর্জেন্টাইন ভক্তরা অপেক্ষায় আছেন কখন মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে হারানো ট্রফি ফিরে পাবে। বিশ্বকাপ দেশকে এনে দিতে না পারলেও অনেকে ফুটবলে জীবন্ত কিংবন্তি ম্যারাডোনার সঙ্গে মেসির তুলনা করা হচ্ছে। ম্যারাডোনার নেতৃত্বেই ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনা শেষবারের মতো বিশ্বকাপ জিতেছিল। অন্যদিকে ২০০৬ ও ২০১০ সালে বিশ্বকাপ খেললেও মেসি আর্জেন্টিনাকে ফাইনালেই উঠাতে পারেনি। ২০১০ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা কোচ ও মেসি অধিনায়ক। বিশ্বে আর্জেন্টিনা স্বপ্নের ট্রফি নিয়ে যাবে। না, শিরোপাতো দূরের কথা কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়ে তাদেরকে বিদায় নিতে হয়।
সত্যি বলতে কি সেই বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর আর্জেন্টাইন বিরোধীরা তিরস্কার করে বলছেন, মেসিকে শুধু লিগে মানায়। বিশ্বকাপে নয়। কথাটা হয়তোবা আর্জেন্টাইন ভক্তদের খারাপ লাগতে পারে তারপরও কিছুটা সত্য যে লা-লিগার বার্সেলোনায় মেসির পায়ে যে ছন্দ দেখা যায় তা বিশ্বকাপে দেখা মিলছে না। পারবে কি মেসি এবার সেই অপবাদ দূর করতে। এবার বিশ্বকাপে 'এফ' গ্রুপে আর্জেন্টিনা খেলবে নবাগত বসনিয়া, ইরান ও নাইজেরিয়ার বিপক্ষে। এক নাইজেরিয়া ছাড়া গ্রুপে মেসিদের বাধার সম্মুখীন হওয়ার কথা নয়। অর্থাৎ মেসিরা যে নকআউট পর্বে যাচ্ছে তা অনেকটা নিশ্চিত। নকআউট নয় আর্জেন্টাইন ভক্তরা চায় শিরোপা। ফুটবল ১১ জনের খেলা, কিন্তু ভক্তদের প্রত্যাশা শুধু মেসিকে ঘিরেই। ১৫ জুন বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে নামবে আর্জেন্টিনা। দেখা যাক ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেন কিনা স্বপ্নের নায়ক মেসি।