'ওরা (অস্ট্রেলিয়া) ফেবারিট নিঃসন্দেহে। তবে এমন কোনো কঠোর নিয়ম নেই সব সময় ফেবারিটরাই ম্যাচ জিতবে'-কথাগুলো ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বলছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক মিসবাহ উল হক। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পর আজ অ্যাডিলেড ওভালে তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া।
বিশ্বকাপে আটবার দেখা হয়েছে দুই দলের। জয়-পরাজয়ে ৪-৪ সমতা। অবশ্য নকআউটে অসিদের রেকর্ডই ভালো। বিশেষ করে ১৯৯৯'র ফাইনাল তো সবারই মনে আছে। সেবার স্টিভ ওয়াহর দুরন্ত বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল ওয়াসিম আকরামের পাকিস্তান। এ তো গেল অতীতের কথা। বর্তমান বলছে, অস্ট্রেলিয়া পারফরম্যান্সের দিক থেকে পাকিস্তানের চেয়ে বহুদূর এগিয়ে আছে। একদিকে আছে মিচেল স্টার্ক, মিচেল জনসন, মিচেল মার্শ, ওয়াটসনদের মতো ফাস্ট বোলাররা অন্যদিকে মাইকেল ক্লার্ক, ম্যাক্সওয়েল, ওয়ার্নার, স্মিথ, হাডিনদের মতো ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যান। ফিল্ডিংয়ে চিরায়ত ধারটাও ধরে রেখেছে অসিরা। সবমিলিয়ে পাকিস্তানের মতো ভঙ্গুর এক দলের পক্ষে এমন অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হওয়া সত্যিই কঠিন। তবে অনেক সময়ই শ্রেষ্ঠত্ব নির্ভর করে দিনের উপর। পাকিস্তানের দূর্বল ব্যাটিং লাইনও যদি কিছুটা জ্বলে উঠে তবে বোলাররা অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনেও ফাঁটল ধরাতে পারে। অন্তত মিসবাহ তেমনটাই মনে করেন। অতীত-বর্তমানের পরিসংখ্যান বাদ দিলে আজ চমৎকার এক ম্যাচ দেখার অপেক্ষায় থাকতে পারে ক্রিকেট দুনিয়া। গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচ হেরেও পরের চারটি ম্যাচ টানা জিতে শেষ আট নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান।
অন্যদিকে গ্রুপ পর্বে চারটি ম্যাচ জিতেছে অস্ট্রেলিয়াও। ১৯৯২'র শিরোপা জয়কে প্রেরণা হিসেবে নিয়ে অসিদের মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান। সেবার এই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই বিশ্বসেরার মুকুট জিতেছিল ইমরান খানের পাকিস্তান।