পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হার দিয়ে। প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় সঙ্গী হয় হতাশা। দ্বিতীয় ম্যাচে আর ভুল করেনি বাংলাদেশ। নেপালকে ৩২ রানে হারিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ম্যাচে ৪৬ বলে ৭৩ রান করেন মারকুটে ওপেনার জিসান। ৪ চার ও ৫ ছক্কায় সাজান এই ইনিংস। এছাড়া অপরাজিত ৪৮ রান করেন আফিফ।
জবাবে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ওভরেই উইকেট হারায় নেপাল। এরপর নিয়মিত বিরতিতে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে আইসিসির সহযোগী সদস্য রাষ্ট্রটি। স্পিনার রাকিবুল হাসান ও হাসান মাহমুদের দারুন বোলিংয়েই মূলত খেই হারিয়েছে নেপাল। যতটুকু লড়াই করেছেন, তিনি নেপালের মিডল অর্ডার ব্যাটার কুশল মাল্লা। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত লড়াই করেও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। ৪৭ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান আসে আসিফ শেখের ব্যাট থেকে।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে রাকিবুল ১৮ রান খরচায় নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া হাসান মাহমুদ দুটি এবং রিপন মন্ডল ও তোফায়েল আহমেদ নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে টস জিতে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। দুই ওপেনার জিসান আলম ও নাঈম শেখ মিলে ঝড় তোলেন ২২ গজে। ৬.৪ ওভারে ৬২ রান তোলার পর জুটি ভাঙে তাদের। ১৮ বলে ২৫ রান করে আউট হন নাঈম। সঙ্গীকে হারানোর পরও জিসানের ব্যাটে ঝড় অব্যাহত থাকে। ৪৫ বলে ৭১ রান তুলে নন্দন যাদবের শিকার হন জিসান। তার ইনিংসে ছিল চারটি চার ও ৫ ছক্কায় সাজানো। এরপর টানা তিন চারে ভালোই শুরু করেছিলেন আফিফ। তবে সাইফ হাসানের সঙ্গে এই জুটি বেশিদূর এগোয়নি রান আউটে। ১১ বলে ১১ রান করে আউট হয়েছেন সাইফ।
চতুর্থ উইকেটে সোহানকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন আফিফ। ২১ রানের জুটির পর সোহানও বিদায় নেন। কারান কেসির বলে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় ৫ রান করে আউট হয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। খেলেন ১১ বলে ৫ রানের ইনিংস। অধিনায়কের বিদায়ের পর বাকি ব্যাটারদের মধ্যে কেউই থিতু হতে পারেননি। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (৫), তোফায়েল আহমেদ (৫) দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করে গেছেন আফিফ। তার ৪৮ রানের ক্যামিও ইনিংসেই মূলত নেপালকে ১৮৪ রানের লক্ষ্য দেওয়া সম্ভব হয়। দুইশো স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকা আফিফ। ২৩ বলে ৯ চারে নিজের ইনিংসটাকে সাজান বাঁহাতি এই ব্যাটার।
নেপালের বোলারদের মধ্যে রিজান ধাকল নেন সর্বোচ্চ দুটি উইকেট। কারান কেসি, নন্দন যাদপ ও সন্দীপ লামিচানে নেন একটি করে উইকেট।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম