জিম্বাবুয়ের হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ একদিনের ক্রিকেট সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। সফরকারীদের রস টেলর ও কেন উইলিয়ামসন দলকে ৩০৩ রানের একটি ভালো সংগ্রহও দিয়েছিলেন। জিম্বাবুয়ের হ্যামিল্টন মাসাকাদজার দেয়া ৮৪ রানের ভিত ও ক্রেইগ আরভিনের ম্যাচ জেতানো ১০৮ বলের অপরাজিত ১৩০ রানই স্বাগতিকদের এ জয় এনে দেয়। ফলে ৩ ম্যাচের সিরিজে তারা এখন ১-০ তে এগিয়ে গেলো।
সিরিজ শুরুর আগেই জিম্বাবুয়ে কোচ ডেভ হোয়াটমোর বলেছিলেন যে নিউজিল্যান্ডকে তারা চমকে দিতে চান। কোচের কথা রেখেছেন শিষ্যরা। সেই চমকটা সিরিজের প্রথম ম্যাচেই দেখালো অারভিনরা।
জিম্বাবুয়ের ইনিংস শুরু থেকেই এগিয়েছে পার্টনারশিপের ওপর ভর করে। চিভাভা ও মাসাকাদজা এনে দিয়েছেন ৭৪ রানের শক্ত ওপেনিং জুটি। ৪২ রান করে বিদায় নেন চিভাভা। তারপর মাসাকাদজা ও আরভিনের মধ্যে বোঝাপড়া হয় চমৎকার। ১২০ রানের জুটি গড়েছেন তারা। ৯৯ বলে ১০ চারে ৮৪ রান করেছেন মাসাকাদজা। সেঞ্চুরির সুবাস পেয়েও তা মিস করেছেন। তবে মিস করেন নি বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান আরভিন। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তিনি তুলে নিয়েছেন ৯৯ বলে। তাতে ৮টি চারের মার। ছক্কা তিনটি। অধিনায়ক চিগাম্বুরা ২৬ রান দিয়েছেন দলকে। আর সেঞ্চুরির পর আরো আগ্রাসী হয়েছে আরভিনের ব্যাট। তিনি অপরাজিত থেকেছেন ১০৮ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ১৩০ রান করে। ম্যাচের সেরাও হয়েছেন তিনি।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩৯ রানেই দুই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। কিন্তু ওখান থেকে শুরু করে নতুন অধ্যায়। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও অভিজ্ঞ রস টেলরের মধ্যে গড়ে ওঠে ১৩৭ রানের জুটি। দলকে ভালো অবস্থায় নিয়ে গেছেন তিনি। সেঞ্চুরি পেতে পারতেন উইলিয়ামসন। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। ৯৭ রানে পানিয়াঙ্গারার বলে বোল্ড হয়েছেন। এরপর গ্র্যান্ট ইলিয়টের সঙ্গে টেলরের ৭৯ রানের জুটি হয়েছে। ৪৩ রান করেছেন ইলিয়ট। টেলর ১২২ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১১২ রানে অপরাজিত থেকেছেন। শেষশেষ টেলরের ১৫তম সেঞ্চুরিটা বিফলেই গেলো।
বিডি-প্রতিদিন/৩ আগস্ট ২০১৫/শরীফ