নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে তামিম ইকবাল সেঞ্চুরি পেলেও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বড় সংগ্রহ পায়নি টাইগাররা। দলীয় ১৮০ রানে তামিমের আউটের পর ২৩৪ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। যেখানে তামিম ইকবালের অবদান ১২৬ রান।
টাইগারদের দ্রুত গুটিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই কিউই ব্যাটসম্যান জিট রাভাল ও টম লাথাম অবিচ্ছিন্ন থেকেই তুলে ফেলেছেন ৮৬ রান। ১০ উইকেট হাতে রেখে স্বাগতিকরা পিছিয়ে আছে আর মাত্র ১৪৮ রানে।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে তামিমকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন সাদমান ইসলাম। দুজনের ব্যাটে ১০ ওভারেই ৫৩ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ। ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদিরা সুইং পাননি প্রত্যাশিত। বাংলাদেশের আগ্রাসন চমকে দেয় তাদের।
৫৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে বোল্টের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে। বাতাসে অনেক পরে সুইং করা বলে আগেই ব্যাট ঘুরিয়ে ফেলে, লাইন মিস করে সাদমান বোল্ড হন ২৪ রান করে। সাদমান হোসেন ফিরে যাওয়ার পর নিয়মিত ও দ্রুত হারাতে থাকে বাংলাদেশের উইকেট। মাত্র ৫৯.২ ওভার খেলে ২৩৪ রানেই অলআউট বাংলাদেশ। অথচ এই রানের মধ্যে তামিম ইকবাল একাই করেন ১২৬ রান।
একপ্রান্তে তামিম অটল থাকলেও অপর প্রান্ত থেকে শুধুই আসা যাওয়ার মিছিল। সাদমান ছাড়া উল্লেখ করার মতো রান আসে কেবল অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ (২২) ও লিটন দাসের (২৯) ব্যাট থেকে। নেইল ওয়াগনার একাই তুলে নেন ৫ উইকেট। তিনটি নেন টিম সাউদি। আর একটি করে নেন ট্রেন্ট বোল্ট ও গ্রান্টহোম।
লিড নেওয়ার পথে নিউ জিল্যান্ড অনেকটা এগিয়ে গেছে বিকেলেই। বৃহস্পতিবার প্রথম দিন শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে কিউইদের রান ৮৬।
বাংলাদেশের বোলারদের গতানুগতিক বোলিংয়ের মুখে স্বাচ্ছন্দ্যেই ব্যাট চালান দুই কিউই ওপেনার জেট রাভাল ও টম লাথাম। দিন শেষে দুজনই অপরাজিত থাকেন ৫১ ও ৩৫ রানে।
এ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হলো পেসার এবাদত হোসেনের।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম