সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ কলকাতা নাইট রাইডার্স। এমনিতে আটটি ম্যাচে না জিতলে প্লে-অফের টিকিট পাওয়া মুশকিল। তবু ১৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে প্লে-অফে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল নাইটদের সামনে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ শেষ ম্যাচে হেরে গিয়ে কলকাতার কাজ সহজ করে দিয়েছিল। তবে শেষরক্ষা হয়নি কেকেআর'র। মুম্বাইয়ের কাছে মরণ-বাঁচন ম্যাচে ৯ উইকেট আত্মসমর্পণ করেন দীনেশ কার্তিকরা। ফলে ১৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে আইপিএল থেকে বিদায় নিতে হয় তাদের।
অন্যভাবে দেখলে বলা যায়, সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে প্লে-অফের টিকিট উপহার দেয় কেকেআর। কেননা, কলকাতার মতো হায়দরাবাদের সংগ্রহও ১৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। তবে তাদের নেট রানরেট নাইটদের তুলনায় ভালো হওয়ায় চার নম্বরে থেকে লিগ শেষ করে অরেঞ্জ আর্মি।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স আগেই প্লে-অফে জায়গা নিশ্চিত করেছিল। তবু তাদের লক্ষ্য ছিল প্রথম দুইয়ে থেকে সরাসরি কোয়ালিফায়ার খেলা। সেই লক্ষ্যে তারা পুরোপুরি সফল। ঘরের মাঠে কলকাতাকে বিধ্বস্ত করে লিগ শীর্ষে উঠে আসে মুম্বাই। চেন্নাই ও দিল্লির মতো তারাও ১৪ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করে। তবে শ্রেয়স আইয়ার ও মহেন্দ্র সিং ধোনিদের থেকে মুম্বাইয়ের নেট রানরেট ভালো হওয়ায় এক নম্বরে থেকে লিগ শেষ করে রোহিত বাহিনী।
চেন্নাই দু’নম্বরে থেকে প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলার টিকিট পেয়ে যায়। দিল্লি ক্যাপিটালস রান রেটের নিরিখে পিছিয়ে তৃতীয় স্থানে চলে যায়। ফলে তাদের এলিমিনেটর খেলে কোয়ালিফায়ারের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। প্রথম কোয়ালিফায়ারে ঘরের মাঠে চেন্নাই খেলবে মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে। ভাইজ্যাগে এলিমিনেটরে মুখোমুখি হবে দিল্লি ও হায়দরাবাদ৷
ওয়ামখেড়েতে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কলকাতা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান তোলে। ক্রিস লিন ৪১, রবিন উথাপ্পা ৪০ ও নীতিশ রানা ২৬ রান করেন। মালিঙ্গা ৩টি এবং হার্দিক ও বুমরাহ ২টি করে উইকেট নেন৷
ব্যাট করতে নেমে মুম্বাই ১৬.১ ওভারে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৩৪ রান তুলে নেয়। কুইন্টন ডি’কক ৩০ রান করে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে আউট হন। রোহিত শর্মা ৫৫ ও সূর্যকুমার যাদব ৪৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচ সেরা হন হার্দিক৷
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর