১৮ জুলাই, ২০১৯ ১৫:০৩

সুপার ওভারে নিশামের ছক্কায় ‘মৃত্যু’ কিউয়ি কোচের!

অনলাইন ডেস্ক

সুপার ওভারে নিশামের ছক্কায় ‘মৃত্যু’ কিউয়ি কোচের!

ইতিহাসের সাক্ষী থেকেছে ২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনাল। ৫০ ওভারের ম্যাচের পর সুপার ওভারও টাই হওয়ায় বেশি বাউন্ডারি মারার নিয়মে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংল্যান্ড। স্বভাবতই হতাশ হয়েছে নিউজিল্যান্ড। শিষ্যের ব্যাটে বিশ্বজয়ের আশা নিয়ে টেলিভিশনের সামনে বসেছিলেন কিউয়ি অল-রাউন্ডার জিমি নিশামের ছোটবেলার কোচ। কিন্তু সুপার ওভারে রুদ্ধশ্বাস লড়াই দেখতে গিয়ে প্রাণ হারান নিশামের হাইস্কুলের কোচ ডেভিড জেমস গর্ডন। খবর কলকাতা 24x7 এর।

মাসখানেক আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন গর্ডন। কিন্তু বিশ্বকাপ ফাইনালে সুপার ওভারে শিষ্যের হাতে ছয় দেখার পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গর্ডনের মেয়ে লিওনি গর্ডনের মতে, ‘সুপার ওভার চলাকালীন বাবা’র শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। সম্ভবত নিশাম ছক্কা মারার পরই বাবা শেষবার শ্বাস নেন।’ লিওনি বলেন, ‘নিশাম সব সময় বাবার খোঁজ রাখতেন। বাবা নিশামের বাবার ভালো বন্ধু ছিল। বাবা নিশামের জন্য গর্বিত ছিল।’ নিশাম ছাড়াও লকি ফার্গুসনও গর্ডনের শিষ্য ছিল।

সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য ছিল ১৬ রান। প্রথম ব্যাট করে ১৫ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। সুপার ওভারের প্রথম বল ওয়াইড করেন ইংল্যান্ড পেসার জোফরা আর্চার। কিন্তু প্রথম বলে ২ রান নেন নিশাম। দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে নিউজিল্যান্ডকে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখান কিউয়ি তারকা। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ২ রান করে তোলার পর পঞ্চম বলে নিশাম ১ রান নিলে শেষ বলে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ২। কিন্তু শেষ বলে ২ রান নিতে গিয়ে রান-আউট হন মার্টিন গাপ্তিল। ফলে ম্যাচের মতো সুপার ওভারও টাই হয়।
 
অসুস্থ থাকায় গর্ডনের সঙ্গে ছিলেন এক নার্স। তিনি জানান, ‘ফাইনালের শেষ ওভার এবং সুপার ওভারের সময় গর্ডনের শ্বাষকষ্ট দেখা দেয়। আমার মনে হয় নিশাম ছক্কা মারার পরই গর্ডন শেষবার শ্বাস নেন।’ কিউয়ি অল-রাউন্ডার নিশাম তাঁর ছোটবেলার কোচকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। টুইটারে নিশাম লেখেন, ‘ডেভ গর্ডন, আমার হাইস্কুলের শিক্ষক, কোচ এবং বন্ধু। ক্রিকেটের প্রতি আপনার ভালোবাসা অপরিসীম। আমরা যারা আপনার কাছে খেলার সুযোগ পেয়েছি, তারা গর্বিত। আশাকরিও আপনিও তাই। এই সব কিছুর জন্য ধন্যবাদ। রেস্ট ইন পিস।’

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর