জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করার দায়ে সাকিব আল হাসানকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। তবে দায় স্বীকার করে নেওয়ায় এর মধ্যে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত রাখা হয়েছে। ফলে এক বছর পরই খেলতে পারবেন সাকিব, কিন্তু এক্ষেত্রে আইসিসির দেওয়া নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। কিন্তু আবারও অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হবে। মঙ্গলবার আইসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইসিসির ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাকিবেরও একটি বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। সেখানে সাকিব বলেছেন, ‘আমার ভালোবাসার ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হওয়ায় আমি সত্যিই দুঃখিত। কিন্তু প্রস্তাব গোপন করার শাস্তি আমি পুরোপুরি আমি মেনে নিয়েছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেন্দ্রীয় ভূমিকা রাখার জন্য খেলোয়াড়দের ওপর নির্ভর করে আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিট (এসিইউ)। কিন্তু এই জায়গায় আমি আমার দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছি।'
অনুতপ্ত সাকিব বলেন, ‘বিশ্বের অধিকাংশ খেলোয়াড় এবং সমর্থকদের মতো আমিও চাই দুর্নীতিমুক্ত ক্রিকেট। এবং আমি আইসিসি’র আকসুর টিমকে এডুকেশন প্রোগ্রামে সহায়তা করতে চাই এবং নিশ্চিত করতে চাই যেন আমার মতো তরুণ ক্রিকেটাররা একই ভুল না করে।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিষেধাজ্ঞা জারির পর রাত সোয়া ৮টার দিকে বিসিবি কার্যালয়ে গিয়ে আইসিসির কাছে দেওয়া এই বিবৃতি পড়ে শোনান সাকিব। এ সময় তার পাশে ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব