একের পর এক সুযোগ মিস করেও গোলের দেখা পেলেন না রাকিব-মোরসালিনরা। ১৮তম মিনিটে গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তারপর আর ম্যাচে ফেরা হয়নি বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত মালদ্বীপের বিপক্ষে ১-০ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়েন হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।
বুধবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ম্যাচের শুরু থেকে লাগাম নিজেদের কাছে রাখার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। কখনও ফাহিম কিংবা রাকিব, কখনও আবার মোরসালিন ছিলেন আক্রমণের নেতৃত্বে। কিন্তু ফিনিশিং ব্যর্থতায় গোল পাওয়া হয়নি। বল কখনও বারে লেগে প্রতিহত কিংবা ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেছে। আবার রক্ষণে বাধা পড়েছে। আর পরিষ্কার করে বললে মালের গোলকিপার হুসাইন শরীফ ছিলেন চীনের প্রাচীরের মতো বড় বাধা।।
প্রথমার্ধে বাংলাদেশের আক্রমণে নেতৃত্ব দিলেও কিছুটা অগোছালো ভাব ছিল। গোলকিপার মিতুল মারমা একাধিকবার ভুল করতে গিয়ে গোল প্রায় খেয়েই যাচ্ছিল দল। এছাড়া ব্যাক পাস কিংবা কিছু ভুল পাসের প্রবণতা ছিল।
ম্যাচের ১৮ মিনিটে বক্সের সামনে ফাউল করে প্রতিপক্ষকে ফ্রি কিক উপহার দেয় বাংলাদেশ। হামজা মোহাম্মদের নেয়া শটে বাংলাদেশ বক্সের মধ্যে ফ্রি হেড করেন আলী ফাসির। গোলরক্ষক মিতুল মারমা ছিলেন নীরব দর্শক।
এক গোলে পিছিয়ে থেকে আবারও আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। ১৯ মিনিটে ফাহিমের ক্রসে রাকিব পা ছোঁয়ানোর আগেই গোলকিপার ব্লক করেন। এরপর দ্রুত বিপদমুক্ত করেন সামোহ আলী।
২৯ মিনিটে ঈসার ক্রসে ফাহিমের বাঁ পায়ের সাইড ভলি অন টার্গেটে থাকেনি। ৪৪ মিনিটে বল ক্রসবার কাঁপালেও গোল পাওয়া হয়নি। সোহেল রানার দূরপাল্লার শট সাইডবারে লেগে প্রতিহত হলে সমতায় ফেরা হয়নি।
বিরতির পর মালদ্বীপ কিছু সময় রাজত্ব করে। তবে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। বাংলাদেশও পারেনি সমতায় ফিরতে।
৪৯ মিনিটে আহমেদ আইয়ামের জোরালো শট সাইড পোস্টে লেগে ব্যবধান বাড়েনি। চার মিনিট পর আলী ফাসিরের শট গোলকিপার বাঁদিকে ঝুঁকে পড়ে রুখে দেন।
৮৬ মিনিটে রাকিবের পাসে মোরসালিনের শট গোলকিপার বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রতিহত করেন। আর শেষ দিকে মোরসালিন-রাকিব চেপে ধরলেও গোলের দেখা মেলেনি। হারের দুর্ভাগ্য নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে কাবরেরার দলকে। ২০২২ সালের ২৪ মার্চের পর আবারও মালদ্বীপের কাছে হারলো বাংলাদেশ। পরের ম্যাচটি হবে ১৬ নভেম্বর।
বিডি প্রতিদিন/এমএস