স্কুলের ল্যাব থেকে ল্যাপটপ চোর চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়াও স্কুল থেকে চুরি করা ১৩টি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে পৃথক অভিযানে আটক করার পর এসব ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন বানারীপাড়া থানার ওসি মো. মোস্তফা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-বরিশাল নগরীর ফকিরবাড়ী রোডের নুর কম্পিউটারের নুর জামাল (৩৫), গৌরনদী উপজেলার কান্ডপাশা গ্রামের বাসিন্দা রায়হান (৩২), নোয়াখালীর সেনবাগ থানার ইয়ারপুর গ্রামের হাসান (৩০) ও নেত্রকোনার কলমাকান্দা থানার বিশ্বনাথপুর গ্রামের মাসুদ রানা (৩২)।
বানারীপাড়া থানার ওসি মো. মোস্তফা বলেন, গত ২৯ নভেম্বর উপজেলার খলিসাকোটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব থেকে ১৩টি ল্যাপটপ চুরি হয়। এ ঘটনায় পরদিন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. সহিদ চৌধুরী বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা তদন্ত করে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পাবনা থেকে চুরি হওয়া একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। পরে বরিশাল নগরীর নুর কম্পিউটার নামে দোকান থেকে নুর জামালকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঢাকার আলপনা প্লাজার এসএম কম্পিউটার নামের দোকান থেকে রায়হানসহ দুই সহযোগী হাসান ও মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি বলেন, সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ল্যাপটপ চুরির একটি চক্র গড়ে উঠছে। তারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ল্যাপটপ চুরি করে ঢাকায় এলিফ্যান্ট রোডের দোকানে পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে তারা দেশের বিভিন্ন জেলায় ওই ল্যাপটপ বিক্রি করে।
উদ্ধার করা ল্যাপটপের মধ্যে একটি খলিসাকোটা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে চুরি করা। অন্যগুলো গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থেকে চুরি করা হয়েছে।
ওসি বলেন, ল্যাপটপ চুরির চোরাই চক্রের সন্ধান তারা উদঘাটন করেছেন। চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তার করলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ল্যাপটপ চুরি বন্ধ হয়ে যাবে। গ্রেপ্তারকৃতদের রবিবার আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ