প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় নিত্য নতুন আবিষ্কার গতিশীল করেছে মানুষের দৈনন্দিন জীবন। এরই একটি ফিটনেস ট্র্যাকার। এখন মোটামুটি অনেকেই চেনেন যন্ত্রটি। আপনি প্রতিদিন কতখানি হাঁটছেন কতখানি ক্যালরি পোড়ালেন, হৃৎস্পন্দন কতখানি রয়েছে এসব বিষয় জানিয়ে দেয় কবজিতে বাঁধা ঘড়িসদৃশ্য ডিভাইসটি। তবে এই ফিটনেস ট্র্যাকারই এবার আপনার মানসিক চাপ মাপতে পারবে।
প্রথমদিকে একেবারে সাধারণ কাজগুলো করতে সক্ষম ছিল ফিটনেস ট্র্যাকার। কিন্তু এবার একে আরো উন্নত করে বিপুলসংখ্যক তথ্য নিয়ে কাজ করতে সক্ষম হয়েছেন গবেষকরা। নানা ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে রীতিমতো মানসিক চাপের মাত্রাও মাপতে পারছে ডিভাইসটি।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা সম্প্রতি যে ফিটনেস ট্র্যাকার তৈরি করেছেন তা পরিধানকারীর কর্টিসল হরমোনের মাত্রাও মাপতে পারছে। আর এ হরমোনটিই মানুষের মানসিক চাপ পরিমাপের অন্যতম উপায়। এ কারণে একে স্ট্রেস হরমোনও বলা হয়।
বর্তমানে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা পরিমাপের পদ্ধতি অবশ্য বেশ কঠিন। গবেষণাগারে কয়েকদিন ধরে কাজ করে তা নির্ণয় করতে হয়। তবে নতুন তৈরি করা ফিটনেস ট্র্যাকারে ব্যবহৃত প্রযুক্তি অপেক্ষাকৃত সহজ। এজন্য গবেষকরা একটি পরিধানযোগ্য ডিভাইস তৈরি করেছেন। এটি ঘাম পরীক্ষা করেই কর্টিসলের মাত্রা নির্ণয় করবে। তাৎক্ষণিকভাবেই তা জানিয়ে দেওয়া যাবে ব্যবহারকারীদের।
এ বিষয়ে গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক ও স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির পোস্ট ডক্টরাল স্কলার অনুর পার্লাক বলেন, ‘আমরা আসলে ঘাম নির্ণয় করার প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণায় আগ্রহী। কারণ এটি নির্দোষ এবং এতে ক্রমাগতভাবে বিভিন্ন শারীরিক বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়।’
এখনো এ প্রযুক্তিটি উন্নয়নের কাজ করছেন গবেষকরা। এ কারণে এখনই তা মানুষের হাতে পৌঁছাচ্ছে না। তবে এ ধরনের প্রযুক্তির চাহিদা থাকায় তা দ্রুতই মানুষের হাতের নাগালে চলে আসবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান