শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ০৩ মার্চ, ২০১৬

একজন স্যামসন এইচ চৌধুরী

লাকমিনা জেসমিন সোমা
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
একজন স্যামসন এইচ চৌধুরী

ছোটবেলা থেকেই নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে বড় হয়েছেন। জ্ঞান-বুদ্ধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে তার স্বপ্নের গণ্ডি। এক কথায় তিনি ছিলেন স্বপ্নচারী মানুষ। কৈশোরেই ভবিষ্যৎ গড়তে বাড়ি ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন নেভিতে। সরকারি ডাক বিভাগেও চাকরি করেছেন তিনি। নিজের অদম্য ইচ্ছার কাছে হার মানেননি কখনো। তিনি স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্যামসন এইচ চৌধুরী। ছোট্ট একটি ফার্মেসি দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন এই সফল উদ্যোক্তা। সেখান থেকেই আজকের স্কয়ার গ্রুপ।  বিশিষ্ট এই ব্যবসায়ীকে নিয়ে রকমারির আজকের আয়োজন।

ছেলেবেলা

স্যামসন এইচ চৌধুরীর ছেলেবেলা কেটেছে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় স্থানান্তরের মধ্য দিয়ে। বলতে গেলে স্কুলে-স্কুলে। কখনো বাবার চাকরির সুবাদে, আবার কখনো বা উন্নত শিক্ষার জন্য পরিবারের ইচ্ছায় একের পর এক স্কুল পরিবর্তন করতে হয়েছে তাকে। বিশিষ্ট এই ব্যবসায়ী উদ্যোক্তার জন্ম হয়েছিল ১৯২৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। জন্মস্থান গোপালগঞ্জ জেলার আরুয়াকান্দিতে। বাবা ইয়াকুব হোসেন চৌধুরী ছিলেন একজন মেডিকেল অফিসার। সহজ কথায় ডাক্তার। মায়ের নাম লতিকা চৌধুরী। বাবার পোস্টিং চাঁদপুর মিশন হাসপাতালে হওয়ায় শিশু স্যামসনের স্কুল জীবন শুরু হয়েছিল চাঁদপুর মিশন স্কুলে। কিন্তু কয়েক বছর পরেই ইয়াকুব চৌধুরী ফের চাঁদপুর থেকে পাবনায় বদলি হয়ে যান। স্যামসন চৌধুরীকে এবার পাবনার আতাইকুলায় এক গ্রাম্য স্কুলে ভর্তি হতে হলো। ঠিক পরের  বছরই সুশিক্ষার জন্য বাবা-মা তাকে পাঠালেন ময়মনসিংহে। সেখানে ভিক্টোরিয়া মিশন স্কুলের চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হলেন তিনি। সব মিলিয়ে ময়মনসিংহে দুই বছর পড়াশোনা করেছেন। এরপরই ১৯৩৫ সালে পশ্চিমবঙ্গে চলে যায় তার পরিবার। কলকাতা থেকে প্রায় ১৫ মাইল দূরত্বে বিষ্ণুপুরে শিক্ষাসংঘ হাইস্কুলে ভর্তি হন স্যামসন। কিন্তু সেখানেও বেশি দিন থাকতে পারেননি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তার পরিবার নিজেদের বাড়ি ছেড়ে বাইরে থাকাটা নিরাপদ মনে করেনি। ফলে নিজেদের সিদ্ধান্তে ১৯৪২ সালে নিজ গ্রামে ফিরে এলো স্যামসনের পরিবার। আতাইকুলা হাইস্কুলে নতুন করে পড়ালেখা শুরু করলেন স্যামসন। এই স্কুল থেকেই তিনি ১৯৪৩ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন।

 

কৈশোরে বাড়ি ছেড়ে নেভিতে

কৈশোর থেকে স্যামসন চৌধুরী অনেকটা স্বপ্নচারী মানুষ ছিলেন। স্বপ্ন দেখতেন ভালো কিছু করার। অল্প বয়স থেকেই তার চিন্তার গভীরতা ও পরিপক্বতা তাকে এক অনন্য মানুষ হয়ে উঠতে সহযোগিতা করেছিল। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই কাউকে কিছু না বলে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি ছাড়েন স্যামসন। প্রথমে কলকাতার এক আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নেন তিনি। পরে সেখান থেকে নিজের ভবিষ্যৎ খুঁজতে বেরিয়ে পড়েন। যান মুম্বাই। চাকরির সন্ধানে ঘুরতে থাকেন বন্দরে বন্দরে। এরপর সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় নৌবাহিনীতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পান। শুধু তাই নয়, কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণও হন।

কিশোর স্যামসনের সব সময় ঝোঁক ছিল নতুন প্রযুক্তির প্রতি। নেভিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তাকে সিগন্যাল বিভাগে দায়িত্ব দেওয়া হলো। কিন্তু তাতে কোনোভাবেই সাড়া দিলেন না স্যামসন। উল্টো তিনি ‘রাডার অপারেটর’ হওয়ার জন্য আবেদন করলেন। সেই সময়ে নেভিতে রাডার একেবারেই নতুন ও আকর্ষণীয় একটি বিভাগ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে শত্রুর বিরুদ্ধে গোপনে কাজ করত এই বিভাগ। যুদ্ধের সময় কীভাবে শত্রু জাহাজগুলো শনাক্ত করা হয় এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনার মাধ্যমে কাজ করা হয়, তা জানার প্রতি ব্যাপক আগ্রহ ছিল স্যামসন চৌধুরীর। একসময় এই অদম্য আগ্রহই তার জন্য কাল হয়ে উঠল। নিজের মনের বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি কোনোভাবেই রাডার বিভাগ ছাড়া অন্য কোথাও কাজ করতে চাইলেন না। তার এই একরোখা জেদের কারণে তাকে অবশেষে জেলে ঢুকতে হলো। সেবার চার দিন জেলে থাকতে হয়েছিল তাকে। সেখানে প্রতিদিন সকালে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে কিশোর স্যামসনকে জিজ্ঞাসা করতেন তার মন ঘুরেছে কিনা। কিন্তু না; কোনোভাবেই তিনি তার সিদ্ধান্ত থেকে একটুও নড়লেন না। অবশেষে পঞ্চম দিনে কর্মকর্তারা তার অদম্য ইচ্ছার কাছে নতিস্বীকার করে তাকে রাডার বিভাগে নিয়োগ দিলেন।

স্যামসন চৌধুরী সব মিলিয়ে তিন বছর রয়েল ইন্ডিয়ান নেভিতে চাকরি করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে তিনি ও তার কিছু সহকর্মী মিলে মাদ্রাজের বিশাখাপত্তন বন্দরে ফিরে আসেন। সেখানে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে নৌ-বিদ্রোহে অংশ নেন। ফের জেলে যান। পাঁচ দিন জেলে থাকার পর বিদ্রোহী নৌ-সেনাদের বাহিনীর সদর দফতর তালোয়ারে পাঠানো হয়। তবে সেখানে তাদের বিদ্রোহী কর্মকাণ্ডকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা হয়। এরপর তাদের প্রশ্ন করা হয়— তারা এখানে সেনা হিসেবে চাকরি চালিয়ে যেতে চায় নাকি চাকরি ছেড়ে দিতে চায়। স্যামসন চৌধুরী নিজের অবস্থানে অটল থেকে সেখানেই থেকে যেতে চান। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ‘ভারমুক্ত’র সার্টিফিকেট হাতে ধরিয়ে দিয়ে তাকে সরকারের অন্য কোনো প্রশাসনিক দফতর বা আইনশৃঙ্খলা বিভাগে নিয়োগের সুপারিশ করে নৌবাহিনী।

 

পোস্ট অফিসে চাকরি

নৌ-বাহিনী ছেড়ে ১৯৪৭-এ বাড়ি ফিরে এলেন স্যামসন চৌধুরী। পাবনায় ফিরে নতুন করে সরকারের ডাক বিভাগে যোগদান করলেন তিনি। ওই বছর ৬ আগস্ট ১৫ বছরের কিশোরী অনীতা চৌধুরীকে বিয়ে করেন স্যামসন। স্যামসন এইচ চৌধুরীর তিন ছেলে— অঞ্জন চৌধুরী, তপন চৌধুরী ও স্যামুয়েল চৌধুরী। একমাত্র মেয়ের নাম রত্না পাত্র। পোস্ট অফিসে চাকরির সময় ট্রেড ইউনিয়নে জড়িয়ে পড়েন চৌধুরী সাহেব। একবার এক পুলিশ অফিসারের সঙ্গে বাগ-বিতণ্ডার জের ধরে শাস্তিস্বরূপ অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারসহ তাকে বদলি করে দেওয়া হলো। বিষয়টি ভালোভাবে নিতে পারেননি স্যামসন। শেষ পর্যন্ত ১৯৫২ সালে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। ফিরে আসেন বাড়িতে।

 

 

বাবার ফার্মেসিতেই ব্যবসার হাতেখড়ি

চাকরি ছাড়ার পর বাবার ইচ্ছায় তার ডিসপেনসারিতেই বসতে শুরু করলেন স্যামসন চৌধুরী। মূলত বাবার এই ওষুধের দোকানেই স্যামসন চৌধুরীর ব্যবসার হাতেখড়ি। ওই সময় ইয়াকুব হোসেন চৌধুরীই ওই অঞ্চলের একজন খ্যাতনামা ডাক্তার ছিলেন। তখন ওই এলাকায় একটি দাতব্য চিকিৎসালয় ছিল। ওই চিকিৎসালয়টি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানুষের চিকিৎসাসেবার কথা চিন্তা করেই এই চেম্বার ও ওষুধের দোকানটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইয়াকুব চৌধুরী। দূর-দূরন্ত থেকে লোকজন সেখানে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ নিতে আসেন। ইয়াকুব হোসেন তার ছেলেকে যখন ফার্মেসি দেখাশোনার দায়িত্ব দিলেন তখন তিনি নিজেই বেশ ধন-সম্পত্তির মালিক হয়ে গেছেন। বিশেষ করে সেই সময়ে তার প্রচুর কৃষি জমি ও খামার ছিল। কিন্তু স্বপ্নচারী স্যামসন বাবার সম্পত্তিতে সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি নিত্য-নতুন সমৃদ্ধির কথা ভাবতেন। পথ বের করার চেষ্টা করতেন। অবশেষে তিনি একটি ওষুধ কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিলেন। এ কাজে ১৯৫৬ সালে স্যামসন তার বাবার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা ঋণ নিলেন। কোম্পানির নাম রাখলেন ই-সনস (ইয়াকুব হোসেন অ্যান্ড সনস্)। সিরাপ উৎপাদনের মধ্য দিয়ে তিনি কোম্পানির যাত্রা শুরু করেন। প্রথমে এই কোম্পানির মালিক, শ্রমিক, পরিবেশক এবং বাজারজাতকারক ছিলেন তিনি একাই। আর তার এই ফ্যাক্টরির একমাত্র সহযোগী ছিলেন তার স্ত্রী অনীতা।

যেভাবে ‘স্কয়ার’-এর যাত্রা শুরু

তৎকালীন পাবনায় একজন হিন্দু ফার্মাসিস্ট ছিলেন। তিনি ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক তৈরি করতেন। ১৯৪৭ সালে তিনি ইন্ডিয়ায় চলে যান। তার ফার্মেসিটি একজন লোক কিনে নেন এবং কোম্পানির নাম দেন ‘এডরুক’। মূলত এই কোম্পানিটিই স্যামসনকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। তিনি মনে করলেন, ‘ওরা যদি এমন একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে পারে তবে আমি কেন পারব না।’ ডা. কাজী হারুনার রশিদ নামে তার একজন বন্ধু ছিল। স্যামসন চৌধুরীর অনুরোধে সেই ডাক্তার বন্ধুটি সপ্তাহে দুই দিন আতাইকুলাতে আসতেন। স্যামসনের ফার্মেসিতে বসে রোগী দেখতেন। একদিন এই বন্ধুর সঙ্গে তার নতুন পরিকল্পনার কথা বললেন। তাকে পার্টনার হওয়ার জন্য অনুরোধ করলেন। ডা. রশিদও আনন্দের সঙ্গে চৌধুরী সাহেবের প্রস্তাব গ্রহণ করলেন। এরপর আরও দুজন বন্ধু— ডা. পিকে সাহা এবং রাধা বিনোদ রায় পার্টনার হিসেবে যোগ দিলেন। স্যামসন চৌধুরী তাদের চারজনের এ ওষুধ কোম্পানির নাম দিলেন ‘স্কয়ার’। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে স্যামসন চৌধুরী নিজেই এই নামের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ব্যাখ্যায় বলেছেন, আমরা চার বন্ধু  মিলে কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করায় এর নাম দিই স্কয়ার। স্কয়ার নামের পেছনে আরও একটি তাত্পর্যের কথা বলতেন চৌধুরী সাহেব। তিনি বলতেন, চতুর্দিকে সমান হলেই কেবল তা বর্গক্ষেত্র বা স্কয়ার হতে পারে, যেটির অন্তরালে ‘সঠিকতা’ ও ‘পরিপূর্ণতা’ নিহিত। আর এ কারণেই এ কোম্পানির নাম স্কয়ার।

মাত্র ১৭ হাজার টাকা নিয়ে ১৯৫৮ সালে যাত্রা শুরু করেছিল স্কয়ার। যদিও যাত্রার শুরুতে প্রথম তিন বছর কোনো লাভের মুখ দেখেনি কোম্পানিটি। তাই স্বাভাবিকভাবেই চার বন্ধু তাদের বিনিয়োগ বাড়ালেন। এরপর চতুর্থ বছরে তারা কিছুটা লাভের মুখ দেখলেন। ১৯৬২ সালে ঢাকায়  কোম্পানির প্রথম শাখা অফিস হলো। এভাবেই নানা চড়াই-উত্রাইয়ের মধ্য দিয়ে একটু একটু করে এগিয়ে চলল কোম্পানিটি।

 

দেশে-বিদেশে স্কয়ারের জয়জয়কর

মূলত স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সাল ছিল স্কয়ারের জন্য টার্নিং পয়েন্ট। ওই বছর কয়েকটি বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে স্কয়ারের চুক্তি হলো। এই চুক্তির আওতায় স্কয়ারকে সম্পূর্ণ আধুনিক রূপ দিলেন স্যামসন চৌধুরী। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ওষুধ তৈরি হতে লাগল।

এরপর আশির দশকে নতুন ড্রাগ পলিসি স্কয়ারের জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনে। দেশের অভ্যন্তরে প্রতিষ্ঠিত দেশি-বিদেশি কোম্পানিগুলোর মধ্যে শীর্ষ স্থান দখল করে নেয় স্কয়ার। এরপর আর কখনো পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি চৌধুরী সাহেবের। আজও ওষুধ শিল্পে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে কোম্পানিটি। আজ দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বের নানা দেশে নানা প্রান্তে ওষুধ রপ্তানি করছে তারা। ১৯৮৭ সালে স্কয়ার প্রথম তাদের তৈরি ওষুধ বিদেশে রপ্তানি করে।

নব্বই দশকের শুরুতে কোম্পানিটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে বাজারে শেয়ার ছাড়ে। এর কয়েক বছর পরেই তারা ন্যাশনাল এক্সপোর্ট ট্রফি অর্জন করে। পরের বছর ১৯৯৮ সালে স্কয়ার আইএসও-৯০০১ সনদ লাভ করে।

ওষুধের পাশাপাশি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের একটি আলাদা ব্যবসা শাখা হিসেবে ১৯৮৮ সালে যাত্রা শুরু করে ‘স্কয়ার টয়লেট্রিস’। স্যামসন চৌধুরী তার দূরদর্শী চিন্তা এবং ব্যবসায়িক দক্ষতা দিয়ে বাড়াতে থাকেন ব্যবসা। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন স্কয়ার টেক্সটাইল লিমিটেড। এর কয়েক বছর পর স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ‘এগ্রো কেমিক্যালস ভ্যাটেরিনারি’ ইউনিট খোলা হয়। স্যামসন চৌধুরীর ব্যবসায়িক দক্ষতায় কয়েক বছরের মধ্যেই একে একে যাত্রা শুরু করে স্কয়ার স্পিনিং লিমিটেড, স্কয়ার নিট ফেব্রিকস্্ লিমিটেড, স্কয়ার ফ্যাশন লিমিটেড, স্কয়ার কনজিউমার প্রডাক্ট লিমিটেড, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, স্কয়ার ইনফরমেটিক্স এবং স্কয়ার হসপিটালের মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠান। স্যামসন চৌধুরীর অনুপ্রেরণায় তার উত্তরসূরি ছেলেরা স্কয়ার গ্রুপকে আরও অনেকটা এগিয়ে নিয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিত্য-নতুন ব্যবসা সম্প্রসারণে অবদান রাখেন তারাও। প্রতিষ্ঠিত হয় সান কমিউনিকেশন লিমিটেড, মিডিয়া কম লিমিটেড, রেডিও দিন রাত, ওরাকল ট্রাভেলস লিমিটেড, মাছরাঙা কমিউনিকেশনস লিমিটেড, স্কয়ার সিকিউরিটিস ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

 

যে স্বপ্নটি আজ সত্যি হওয়ার পথে

ব্যবসা ক্ষেত্রে স্যামসন এইচ চৌধুরীর একটি বিশেষ স্বপ্ন ছিল। শখ ছিল নিউইয়র্ক স্টক একচেঞ্জে তার কোম্পানির নাম লেখাবেন। অর্থাৎ নিউয়র্ক স্টক একচেঞ্জে স্কয়ারকে তালিকাভুক্ত করবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা করে যেতে পারেননি। আর সে কারণেই হয়তো আজ স্কয়ার গ্রুপ পরিবারের জন্য সবচেয়ে খুশির খবর হলো, তারা তাদের অভিভাবকের সেই স্বপ্ন পূরণ করতে চলেছেন। জানা গেছে, খুব শিগগিরই কোম্পানিটি নিউইয়র্ক স্টক একচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হচ্ছে।

 

সফলতার রহস্য

স্যামসন চৌধুরীর সঙ্গে ২০-২৫ বছর ধরে কাজ করছেন এমন কয়েকজন সহকর্মীর সঙ্গে কথা হয় বাংলাদেশ প্রতিদিনের। চৌধুরী সাহেবের সফলতার পেছনে তারা প্রথমত যে দক্ষতার কথা বলেন, সেটি হলো দূরদর্শিতা। দ্বিতীয়ত, সততা ও নিয়মানুবর্তিতা। খুব দ্রুত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন তিনি। নিজের কোনো প্রতিষ্ঠানে কখনো শ্রমিক অসন্তোষ হতে দেননি তিনি। জানা যায়, স্যামসন চৌধুরী তার সহকর্মীদের ব্যাপারে ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। তাদেরকে নিজের পরিবারের সদস্যই মনে করতেন। কেবল অফিসিয়াল কাজ নয়, শ্রমিকদের ব্যক্তিগত জীবনেরও খোঁজখবর নিতেন তিনি। অফিসে বা ব্যক্তিগত জীবনে কখনো কাউকে সরাসরি তিরস্কার করতেন না। অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে এমন কৌশলী আচরণ করতেন যাতে পরবর্তীতে ওই ব্যক্তি নিজেই তার কর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়। সময়ের কাজ সময়ে করতে পছন্দ করতেন তিনি। ব্যবসা ক্ষেত্রে নিজের সন্তান ও সহকর্মী— সবার সিদ্ধান্ত বা মন্তব্যকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতেন এই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা।

 

অনুপ্রেরণার মূলে যে মহীয়সী নারী

যুবক স্যামসন চৌধুরীর বয়স তখন ২২। সবেমাত্র ডাক বিভাগে চাকরি শুরু করেছেন। এরই মধ্যে হঠাৎ বিয়ের কথা উঠল। স্যামসন নিজেও এক কিশোরীকে পছন্দ করতেন। আরও পরিষ্কার করে বলতে গেলে ভালোবাসতেন। বাড়ির পাশেই বাড়ি তার। নাম- অনীতা। এই অনীতাকেই জীবনসঙ্গী করেছেন স্যামসন চৌধুরী। কেবল জীবনসঙ্গী নন, অনীতা চৌধুরী ছিলেন তার ছায়া সঙ্গী। জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতে সারাক্ষণ স্যামসন চৌধুরীকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন এই মহীয়সী নারী। ভালোবাসার আঁচলে আগলে রেখেছেন নিজের স্বামী-সন্তান ও পরিবারকে। স্যামসন চৌধুরী ১৯৫৬ সালে তার বাবার কাছ থেকে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে যখন নিজের বাড়িতে সিরাপ তৈরি শুরু করেছিলেন তখন তার সেই ‘ই-সনস’ কোম্পানির মালিক, শ্রমিক, সরবরাহকারক কিংবা বাজারজাতকারক বলতে ছিলেন তিনি একাই। আর এসব কাজের একমাত্র সহায়ক ছিলেন অনীতা। তার ভালোবাসার এমন অনেক দৃষ্টান্তই মেলে স্যামসন চৌধুরীর পরিবার-পরিজনদের কাছ থেকে। আজও একান্নবর্তী পরিবারের জন্য মডেল হয়ে আছে এই চৌধুরী পরিবারটি। এখনো চৌধুরী পরিবারের অভিভাবক কিংবা মধ্যমণি অনীতা চৌধুরী। বার্ধক্যের কারণে কিছুটা শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও নাতি-নাতনি, ছেলে-মেয়ে সবাইকে নিয়ে বেশ ভালোই আছেন তিনি। সবাই বলে, আলোয় ভরা সংসার তার!

 

নীরবে-নিভৃতে সমাজসেবা

সমাজসেবার ক্ষেত্রে এক অনন্য মানুষ ছিলেন স্যামসন এইচ চৌধুরী। নীরবে-নিভৃতে মানুষকে সাহায্য-সহযোগিতা করতেন। এমনকি তার প্রিয়তমা স্ত্রীর সঙ্গে সব কিছু শেয়ার করলেও এ বিষয়ে খুব একটা কিছু বলতেন না। পরবর্তীতে নানা ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা তার এই নীরব সমাজসেবার কথা জানতে পারতেন। আত্মপ্রচার একেবারেই পছন্দ করতেন না চৌধুরী সাহেব। অথচ তার কারখানার শ্রমিক থেকে শুরু করে অগণিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আর সে কারণেই মৃত্যুর পর তার উত্তরসূরিরা একই পথে হাঁটছেন। একইভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে নানাভাবে মানুষকে সাহায্য-সহযোগিতা করলেও নিজেদের নীতিগত সিদ্ধান্তের কারণেই স্কয়ার গ্রুপ সেগুলো প্রচার করতে চায় না।

 

 

চলে গেলেন, তবু থেকে গেলেন দৃষ্টান্ত হয়ে

ব্যবসায়ীদের মাঝে এক অনন্য উচ্চতায় স্থান করে নিয়েছিলেন স্যামসন এইচ চৌধুরী। তার এই কৃতিত্বের স্বীকৃতিও পেয়েছেন তিনি। ১৯৯৮ সালে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ তাকে ‘বিজনেস এক্সিকিউটিভ অব দি ইয়ার’ ঘোষণা করে। সফলতার ঝুলিতে এমন অনেক স্বীকৃতিই জমা আছে তার। বিভিন্ন সময়ে তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংস্থা ও সংগঠনের শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। অত্যন্ত ধর্মানুরাগী স্যামসন চৌধুরী তার নিজের খ্রিস্টান ধর্মের জন্যও অনেক কিছু করে গেছেন। সেখানেও মানুষের অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা ভালোবাসা পেয়েছেন। আর এভাবেই তার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অনন্য হয়ে উঠেছেন। দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন মহাকালের যাত্রায়। ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি ৮৬ বছর বয়সে তিনি সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

এই বিভাগের আরও খবর
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের ৬৫ প্রতিশ্রুতি
আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের ৬৫ প্রতিশ্রুতি
সর্বশেষ খবর
গাজায় সহিংসতা অব্যাহত থাকলে হামাসকে হামলার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
গাজায় সহিংসতা অব্যাহত থাকলে হামাসকে হামলার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ
সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ

৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

সেনাবাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতেই হবে
সেনাবাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতেই হবে

২৩ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

মেঘলা থাকতে পারে ঢাকার আকাশ, বৃষ্টির আভাস নেই
মেঘলা থাকতে পারে ঢাকার আকাশ, বৃষ্টির আভাস নেই

২৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সিইপিজেডের আগুন, ধসে গেছে ভবনের ছাদ
প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সিইপিজেডের আগুন, ধসে গেছে ভবনের ছাদ

৩৫ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইসরায়েল সমর্থকরা নিষিদ্ধ হলো ইউরোপা লিগের ম্যাচে
ইসরায়েল সমর্থকরা নিষিদ্ধ হলো ইউরোপা লিগের ম্যাচে

৪৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সংসদ ভবন এলাকায় সব ধরনের ড্রোন ওড়ানো নিষেধ
সংসদ ভবন এলাকায় সব ধরনের ড্রোন ওড়ানো নিষেধ

৫৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ট্রাম্প-পুতিনের দীর্ঘ ফোনালাপ, হাঙ্গেরিতে বৈঠকের ঘোষণা
ট্রাম্প-পুতিনের দীর্ঘ ফোনালাপ, হাঙ্গেরিতে বৈঠকের ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভিপি-এজিএস শিবিরের মোস্তাকুর-সালমান, জিএস আম্মার
ভিপি-এজিএস শিবিরের মোস্তাকুর-সালমান, জিএস আম্মার

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর আজ
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর আজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর লাশ দেখতে গিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত ৪
কেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর লাশ দেখতে গিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত ৪

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নভেম্বরে সেনেগাল ও তিউনিসিয়ার বিপক্ষে খেলবে ব্রাজিল
নভেম্বরে সেনেগাল ও তিউনিসিয়ার বিপক্ষে খেলবে ব্রাজিল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কেনিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা রাইলা ওডিঙ্গা মারা গেছেন
কেনিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা রাইলা ওডিঙ্গা মারা গেছেন

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাকসু নির্বাচনে জয়ের পথে শিবির
রাকসু নির্বাচনে জয়ের পথে শিবির

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ অক্টোবর)

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খেলায় ফিরলেন টেম্বা বাভুমা
খেলায় ফিরলেন টেম্বা বাভুমা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইনসাফ কায়েমে মহানবী (সা.)-এর আদর্শ
ইনসাফ কায়েমে মহানবী (সা.)-এর আদর্শ

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বল ‘আফগান তালেবানের কোর্টে’: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বল ‘আফগান তালেবানের কোর্টে’: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাজ্যে অভিবাসনে ভাষাগত দক্ষতার নতুন নিয়ম
যুক্তরাজ্যে অভিবাসনে ভাষাগত দক্ষতার নতুন নিয়ম

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনের প্রস্তুতি : ছুটির দিনেও ইসি কর্মকর্তাদের অফিস করার নির্দেশ
নির্বাচনের প্রস্তুতি : ছুটির দিনেও ইসি কর্মকর্তাদের অফিস করার নির্দেশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপির
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপির

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নেত্রকোনায় প্রধান শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু, স্ত্রী গ্রেফতার
নেত্রকোনায় প্রধান শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু, স্ত্রী গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাঙ্গাইলে পিকআপ ভ্যান-মাহিন্দ্রা সংঘর্ষে নিহত ২
টাঙ্গাইলে পিকআপ ভ্যান-মাহিন্দ্রা সংঘর্ষে নিহত ২

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল
ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল

৮ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা
ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা

৮ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া
বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যেভাবে মিলবে একীভূত পাঁচ ব্যাংকের আমানত
যেভাবে মিলবে একীভূত পাঁচ ব্যাংকের আমানত

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

লাখো মানুষের হাতে মশাল, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তাল উত্তরাঞ্চল
লাখো মানুষের হাতে মশাল, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তাল উত্তরাঞ্চল

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাকসুতে বিজয়ীদের সংবর্ধনা দিলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক
চাকসুতে বিজয়ীদের সংবর্ধনা দিলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে ইরাক
বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে ইরাক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
শনিবার খোলা থাকবে ব্যাংক
শনিবার খোলা থাকবে ব্যাংক

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘কিছুদিনের মধ্যে জাতীয় বেতন স্কেল’
‘কিছুদিনের মধ্যে জাতীয় বেতন স্কেল’

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড বাংলাদেশের
ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড বাংলাদেশের

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তিনটি শর্ত না মানলে জুলাই সনদে সই করবে না এনসিপি
তিনটি শর্ত না মানলে জুলাই সনদে সই করবে না এনসিপি

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কোন বোর্ডে পাসের হার কত?
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কোন বোর্ডে পাসের হার কত?

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রাম ইপিজেডে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৭ ইউনিট
চট্টগ্রাম ইপিজেডে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৭ ইউনিট

১৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

২০২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজনও পাস করেনি
২০২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজনও পাস করেনি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনা-কামালের ১৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত: চিফ প্রসিকিউটর
শেখ হাসিনা-কামালের ১৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত: চিফ প্রসিকিউটর

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিআইএকে অভিযানের অনুমতি দিলেন ট্রাম্প, ভেনেজুয়েলায় সরাসরি মার্কিন হামলা?
সিআইএকে অভিযানের অনুমতি দিলেন ট্রাম্প, ভেনেজুয়েলায় সরাসরি মার্কিন হামলা?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-তুরস্ক-ফ্রান্স থেকে ১৩২ যুদ্ধবিমান কিনছে ইন্দোনেশিয়া
চীন-তুরস্ক-ফ্রান্স থেকে ১৩২ যুদ্ধবিমান কিনছে ইন্দোনেশিয়া

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেন সমুদ্রে বিস্ফোরিত হয় আলোচিত ডুবোযান টাইটান, জানাল যুক্তরাষ্ট্র
কেন সমুদ্রে বিস্ফোরিত হয় আলোচিত ডুবোযান টাইটান, জানাল যুক্তরাষ্ট্র

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩৬ দিন অন্ধকারে থাকবে কানাডার যে এলাকা
১৩৬ দিন অন্ধকারে থাকবে কানাডার যে এলাকা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০২৬ সালের ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছেন জ্যোতির্বিদরা
২০২৬ সালের ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছেন জ্যোতির্বিদরা

১২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানাল ঐকমত্য কমিশন
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানাল ঐকমত্য কমিশন

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে ছাত্রীরা
পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে ছাত্রীরা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ভারত-সমর্থিত’ ৩৪ সন্ত্রাসীকে হত্যা করল পাকিস্তান
‘ভারত-সমর্থিত’ ৩৪ সন্ত্রাসীকে হত্যা করল পাকিস্তান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘এবার এইচএসসির ফলের বাস্তব চিত্র সামনে এসেছে’
‘এবার এইচএসসির ফলের বাস্তব চিত্র সামনে এসেছে’

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলি হামলায় হুথির সামরিক প্রধান নিহত
ইসরায়েলি হামলায় হুথির সামরিক প্রধান নিহত

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ওয়ানডে দলে ফিরলেন সৌম্য, বাদ নাঈম-নাহিদ
ওয়ানডে দলে ফিরলেন সৌম্য, বাদ নাঈম-নাহিদ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেট্রোরেল চলাচলের নতুন সময়সূচি প্রকাশ
মেট্রোরেল চলাচলের নতুন সময়সূচি প্রকাশ

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যশোর বোর্ডে ২০ কলেজে শতভাগ ফেল
যশোর বোর্ডে ২০ কলেজে শতভাগ ফেল

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপির
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপির

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বসুন্ধরা কমিউনিটি পার্ক উদ্বোধন
বসুন্ধরা কমিউনিটি পার্ক উদ্বোধন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন আহমেদের রাষ্ট্রীয় ফিউনারেল প্যারেড অনুষ্ঠিত
বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন আহমেদের রাষ্ট্রীয় ফিউনারেল প্যারেড অনুষ্ঠিত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাখো মানুষের হাতে মশাল, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তাল উত্তরাঞ্চল
লাখো মানুষের হাতে মশাল, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তাল উত্তরাঞ্চল

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শতাব্দীর সেরা ডিভোর্সে ১ বিলিয়ন ডলার থেকে মুক্তি পেলেন দ. কোরিয়ার ধনকুবের
শতাব্দীর সেরা ডিভোর্সে ১ বিলিয়ন ডলার থেকে মুক্তি পেলেন দ. কোরিয়ার ধনকুবের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাকসুতে বিজয়ীদের সংবর্ধনা দিলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক
চাকসুতে বিজয়ীদের সংবর্ধনা দিলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নিয়ন্ত্রণে আসেনি সিইপিজেডের আগুন, ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে কারখানার ভবন
নিয়ন্ত্রণে আসেনি সিইপিজেডের আগুন, ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে কারখানার ভবন

১৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এইচএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণে নতুন নিয়ম, জেনে নিন কীভাবে
এইচএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণে নতুন নিয়ম, জেনে নিন কীভাবে

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রুশ তেল কেনা বন্ধ, ট্রাম্পের দাবির জবাবে যা বললো ভারত
রুশ তেল কেনা বন্ধ, ট্রাম্পের দাবির জবাবে যা বললো ভারত

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
গাজায় ফের যুদ্ধের শঙ্কা
গাজায় ফের যুদ্ধের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির মনোনয়ন চান নারী নেত্রীসহ চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান নারী নেত্রীসহ চারজন

নগর জীবন

নিখোঁজ হবিগঞ্জের ৩৫ যুবক থামছে না স্বজনদের কান্না
নিখোঁজ হবিগঞ্জের ৩৫ যুবক থামছে না স্বজনদের কান্না

পেছনের পৃষ্ঠা

ছোট হয়েছে রুটি, বেড়েছে দাম
ছোট হয়েছে রুটি, বেড়েছে দাম

পেছনের পৃষ্ঠা

নিগারদের পাত্তাই দিল না অস্ট্রেলিয়া
নিগারদের পাত্তাই দিল না অস্ট্রেলিয়া

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিইপিজেডে ভয়াবহ আগুন
সিইপিজেডে ভয়াবহ আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির অর্ধডজন জামায়াতের একক প্রার্থী
বিএনপির অর্ধডজন জামায়াতের একক প্রার্থী

নগর জীবন

মালেক পরিবারের সবাই মিলে লুটপাট
মালেক পরিবারের সবাই মিলে লুটপাট

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাইয়ে কেউ মাস্টারমাইন্ড ছিল না
জুলাইয়ে কেউ মাস্টারমাইন্ড ছিল না

প্রথম পৃষ্ঠা

ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি আগামীতে জাতি দেখবে
ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি আগামীতে জাতি দেখবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐকমত্য কমিশন জাতিকে বিভক্ত করেছে
ঐকমত্য কমিশন জাতিকে বিভক্ত করেছে

নগর জীবন

পাকিস্তানের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির ধ্বংসাবশেষ অপসারণ
পাকিস্তানের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির ধ্বংসাবশেষ অপসারণ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা
ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা

সম্পাদকীয়

ইতিহাস রক্ষা করাই আমাদের কাজ
ইতিহাস রক্ষা করাই আমাদের কাজ

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবিকের ফলে ধস ইংরেজিতেও বিপর্যয়
মানবিকের ফলে ধস ইংরেজিতেও বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে
খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে

প্রথম পৃষ্ঠা

শতভাগ পাসে নেই নামিদামি কলেজ
শতভাগ পাসে নেই নামিদামি কলেজ

নগর জীবন

আয়ুপথ
আয়ুপথ

সাহিত্য

ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল
ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল

সম্পাদকীয়

জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার অবশ্যই হবে
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার অবশ্যই হবে

নগর জীবন

নৌবাহিনীতে চাকরির নামে প্রতারণায় দুজন গ্রেপ্তার
নৌবাহিনীতে চাকরির নামে প্রতারণায় দুজন গ্রেপ্তার

নগর জীবন

নতজানু
নতজানু

সাহিত্য

হাসিনার আমলে অনেক নেতার নামে মামলাও হয়নি
হাসিনার আমলে অনেক নেতার নামে মামলাও হয়নি

নগর জীবন

শুরু হচ্ছে ইসির সিরিজ বৈঠক
শুরু হচ্ছে ইসির সিরিজ বৈঠক

প্রথম পৃষ্ঠা

‘ভারত-সমর্থিত’ ৩৪ সন্ত্রাসীকে হত্যা করল পাকিস্তান
‘ভারত-সমর্থিত’ ৩৪ সন্ত্রাসীকে হত্যা করল পাকিস্তান

পূর্ব-পশ্চিম

সমাজমাধ্যমে প্রচার প্রচারণায় মানতে হবে সাত নির্দেশনা
সমাজমাধ্যমে প্রচার প্রচারণায় মানতে হবে সাত নির্দেশনা

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট নিয়ে কোনো আপস নয়
ভোট নিয়ে কোনো আপস নয়

নগর জীবন

১৬ দিনেই হাসপাতালে ভর্তি ১০ হাজার ডেঙ্গু রোগী
১৬ দিনেই হাসপাতালে ভর্তি ১০ হাজার ডেঙ্গু রোগী

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামায় ‘খুঁজি তোকে’
ক্যাপিটাল ড্রামায় ‘খুঁজি তোকে’

শোবিজ