এখন আলোচনার কেন্দ্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় জমজমাট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বিভিন্ন জায়গায় প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। বিতরণ করছেন লিফলেট। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার। নিজেদের ইশতেহারে তুলে ধরেছেন শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো। ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্রার্থীদের কথা জানাচ্ছেন- আকতারুজ্জামান ও ছাব্বিরুল ইসলাম
এমন পলিসি নির্ধারণ করব যেন প্রতিটি ইনস্টিটিউট ঠিকভাবে কাজ করে
মো. আবু সাদিক কায়েম, ভিপি প্রার্থী, ব্যালট নম্বর ২২
শিক্ষার্থীসহ সর্বসাধারণের আকাক্সক্ষা ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হওয়া। নির্বাচন কমিশনে যারা রয়েছেন তাদের অনুরোধ করছি যেন তারা পেশাদারি আচরণ করেন। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে ‘ফ্রি ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল’ নির্বাচন প্রত্যাশা করি আমরা। কিন্তু তাদের সামগ্রিক কার্যক্রমে আমরা খুব উদ্বিগ্ন। আমরা দেখেছি, একটি ছাত্র সংগঠনকে সুবিধা দিতে মনোনয়ন ফরম তোলার সময়কে বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা প্রচার-প্রচারণার জন্য যেসব ডকুমেন্ট দিয়েছি সেখানে দেখেছি এক প্রার্থীর ছবি বিকৃত করা হয়েছে। আমাদের নারী প্রার্থীদের ওপর ক্রমাগত সাইবার বুলিং করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে জানানোর পরও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে গিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন পাচ্ছি আমরা। আমরা এ ক্যাম্পাস বিনির্মাণ করতে চাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে পলিটিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে একাডেমিক ইনস্টিটিউটে রূপান্তর করতে চাই। ছাত্রছাত্রীরা রাজনৈতিকভাবে সচেতন থাকবে। কিন্তু ‘ওভার পলিটিক্স’ বলে বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু থাকবে না। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ থাকবে। প্রথম বর্ষ থেকেই তারা সুন্দর একাডেমিক পরিবেশ পাবে। অতীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দলীয় বিবেচনায়। আমরা মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করতে চাই। শিক্ষার্থীদের লাইব্রেরি সুবিধা বৃদ্ধি, গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে চাই আমরা। আমরা শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট দূর করতে চাই। প্রত্যেকটি হল, ক্যান্টিন ও ক্যাফেটেরিয়াতে মানসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে চাই। ইশতেহারে আমরা ৩৬ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের বেহাল দশা। আমরা এর সংস্কার করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নিয়োগ, মেডিসিন সেবা বৃদ্ধিসহ প্রয়োজনে সব পদক্ষেপ নেব। রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম পেপারলেস করা হবে। এতে শিক্ষার্থীদের সব ভোগান্তি লাঘব হবে। আমরা দায়িত্ব নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পলিসিগত বিভিন্ন পরিবর্তন আসবে। এমন পলিসি নির্ধারণ করব যাতে প্রতিটি ইনস্টিটিউট যথাযথভাবে কাজ করে। জুলাই-পরবর্তী সময় থেকে গত এক বছর শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত ছিলাম আমরা। আমাদের সততা, দক্ষতা, সাহসিকতা দেখে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের ওপর আস্থা রাখছেন।
শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই
এস এম ফরহাদ , জিএস প্রার্থী, ব্যালট নম্বর ০৪
আমি নির্বাচিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংকট নিরসনে কাজ করব। তাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই। গত এক বছর আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে তাদের জন্য অনেক কাজ করেছি। এর সবগুলোতেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন দাবি মেনে নিতে প্রশাসনকে বাধ্য করেছি। শিক্ষার্থীদের আগামীর প্রত্যাশাগুলোও আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব বলে বিশ্বাস করি। বিগত সময়ে প্রশাসনে থাকা ব্যক্তিরা সব সময় ক্ষমতার গোলামি করে ভিন্নমতগুলোকে দমন করে রেখেছেন। হলগুলোতে কৃত্রিম সিট সংকট তৈরি করে রাজনৈতিক দাসত্বের পথ তৈরি করেছেন। বার্ষিক বাজেট কখনো স্বচ্ছ এবং সঠিকভাবে ব্যবহার হয়নি। শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক, আর্থিক, নিরাপত্তাসংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে প্রশাসনের গাফিলতি ছিল চরমে। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনব। খাবার, আবাসন, গবেষণা সুবিধার অভাব, শিক্ষা উপকরণের ঘাটতি, প্রশাসনিক কাঠামোতে সেকেলে কাঠামো, যোগ্য শিক্ষকের অভাব ইত্যাদি নানা সংকট এখানকার বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা দায়িত্ব নিয়ে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখব। জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে শিক্ষার্থীরা চান নতুন কিছু।
নির্বাচন বাধাগ্রস্তকারীদের লাল কার্ড দেখাবে শিক্ষার্থীরা
মুহা. মহিউদ্দীন খান, এজিএস প্রার্থী, ব্যালট নম্বর ১৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিকভাবে সচেতন। ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে অতীতে কারা কাজ করেছেন, তা বিবেচনা করে ডাকসু নির্বাচনে ভোটের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা। এ ছাড়া একটি নিরাপদ, আধুনিক, বাসযোগ্য ক্যাম্পাস গঠনে কোন নেতৃত্ব কাজ করতে পারে- সেটা বিবেচনা করেও তারা ভোট দেবেন। এসব ক্ষেত্রে আমরা অন্য প্রার্থীদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছি বলে মনে করি। আমরা আশাবাদী থাকব যে শিক্ষার্থীরা আমাদের পক্ষেই তাদের ভোট ও সমর্থন দেবেন। নির্বাচনকে ঘিরে অব্যাহতভাবে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে একটি পক্ষ। এটি তাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য যে দাবি উঠেছে শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষের পক্ষ থেকে, সেই জায়গা থেকে সরে এসে পক্ষটি কৃত্রিম একটি ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করেছে, যেটি ব্যর্থ হয়েছে। কারণ ডাকসু নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠানের জন্য শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন। ডাকসু নির্বাচন ঘিরে যারা আইনগত জটিলতা তৈরি করার চেষ্টা করেছে, যারা এ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চায়, শিক্ষার্থীরা তাদের লাল কার্ড দেখাবেন ও প্রত্যাখ্যান করবেন।
শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গড়তে সহযোগিতা করব
মো. মাজহারুল ইসলাম, ক্যারিয়ার উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক, ব্যালট নম্বর ০৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষ থেকে বিভিন্ন ক্যারিয়ার ওরিয়েন্টেড অসংখ্য সেমিনারে শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা প্রদান ও সহযোগিতা করেছি। আমার প্রতিষ্ঠিত একটা ক্লাব থেকে ক্যারিয়ারকেন্দ্রিক বিভিন্ন আয়োজন, প্রতিযোগিতা, সেমিনার ও উচ্চশিক্ষার ওপর ওয়ার্কশপ করেছি। সেই অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক ফ্যাকাল্টিতে একটি এক্সপার্ট টিম তৈরি করব। যাদের মাধ্যমে ওই ফ্যাকাল্টিতে ক্যারিয়ারকেন্দ্রিক জটিলতার নিরূপণ ও তা সমাধানের প্রচেষ্টা করব। ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক পর্যায়ে আমার যে রিসোর্স ও নেটওয়ার্ক রয়েছে তা কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।
সাহিত্য-সংস্কৃতিতে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করব
নুরুল ইসলাম সাব্বির, সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক, ব্যালট নম্বর ০৭
সাহিত্য-সংস্কৃতিচর্চায় সবার সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করব। আমি নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথম ‘Inclusivity in Campus’ নিশ্চিত করব। একটি মাসিক সাহিত্য ম্যাগাজিন, বছরে অন্তত দুটি সাহিত্য উৎসব, নবীন লেখক সম্মাননা, সাহিত্য প্রতিযোগিতা আয়োজন, প্রতিটি হলের গ্রন্থাগার উন্নয়ন ও সাহিত্য কর্নার স্থাপন, সেমিনার আয়োজন এবং সেরা লেখক সংবর্ধনা আয়োজন করব। সংস্কৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হবে সমগ্র বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। কালচারাল ফেস্ট আয়োজনের মাধ্যমে দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য তুলে ধরা, সেন্ট্রাল মসজিদে কালচারাল সেন্টার স্থাপন, বছরজুড়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আঞ্চলিক গান ও পিঠা উৎসবসহ নানা আয়োজনের চেষ্টা করব। সাহিত্যচর্চা, নিজস্ব সংস্কৃতির বিকাশ ও সৃজনশীলতার উন্মেষের মাধ্যমে আমরা একটি স্বপ্নের ক্যাম্পাস বিনির্মাণ করতে চাই।
বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়
মো. শরীফুল ইসলাম (মুয়াজ), সমাজসেবা সম্পাদক, ব্যালট নম্বর ১০
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে ট্যাগিং রাজনীতি ও ডিহিউম্যানাইজেশনের কালো অধ্যায় ইতোমধ্যে অনেকাংশে দূর হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কিছু মহল আবারও এসব অনৈতিক চর্চা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। আমরা নিশ্চিত করব যেন এসব অপচেষ্টা আর কখনো সফল না হয়, সেজন্য কার্যকর ডিফেন্স মেকানিজম গড়ে তোলা হবে। আমাদের ভিশন হলো একটি মানবিক ও নিরাপদ ক্যাম্পাস- যেখানে মতাদর্শিক ভিন্নতা কারও অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না, বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হবে। নারীবিদ্বেষ ও হিজাবোফোবিয়াকে প্রতিহত করে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য আত্মবিশ্বাসী ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা হবে। একই সঙ্গে অ্যালামনাই নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়নে তাদের সম্পৃক্ত করা হবে। এ ছাড়া জাতীয় উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা হবে।
শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠে ফিরিয়ে আনব
আরমান হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক, ব্যালট নম্বর ০১
নারীদের খেলাধুলার নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করব। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অ্যাথলেট, জুডো ও কারাতে ব্ল্যাকবেল্টধারী এবং চ্যাম্পিয়ন। খেলাধুলা শেখানোকে জীবনের লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছি। শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট নিয়ে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নারীদের খেলাধুলার নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করব। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে এবং ডিপ্রেশন ও মাদকাসক্তি হ্রাসের জন্য শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠে ফিরিয়ে আনব ইনশাআল্লাহ। প্রচলিত সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করব আর ডিজিটালাইজেশন এবং অবকাঠামো উন্নয়নে জোর দেব।
ওয়েবসাইটে আইনি সেবা ও অভিযোগ সেল খোলার উদ্যোগ নেব
মো. জাকারিয়া (সাখাওয়াত জাকারিয়া), আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক, ব্যালট নম্বর ০৯
আমি নির্বাচিত হলে ১৫ জুলাইসহ স্বৈরাচারী হাসিনার আমলে সংঘটিত হওয়া সব নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করব। এ ছাড়াও সাম্য হত্যা এবং আবু বকর হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি ফেরত পাওয়ার জন্য আইনি উদ্যোগ নেব। শিক্ষার্থীদের আবাসনের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ঢাবিকে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করব। আইন বিভাগের অ্যালামনাইদের মাধ্যমে বাংলাদেশ আইন সমিতির সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল কোলাবোরেশনের ব্যবস্থা করব যাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরর শিক্ষার্থীরা সহজে এবং ফ্রিতে বা স্বল্প ফি দিয়ে আইনি সেবা পান সেই ব্যবস্থা করব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আইনি সেবা ও অভিযোগ সেল খোলার ব্যবস্থা করব। ক্যাম্পাসে যে কোনো শারীরিক, মানসিক বা যৌন হয়রানির অভিযোগের ক্ষেত্রে স্বাধীন অভিযোগ কমিটি গঠন ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব। নারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ সেল গঠনের ব্যবস্থা করব।
শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাফেটেরিয়া ও নারী হয়রানির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স
উম্মে ছালমা, কমনরুম, পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক, ব্যালট নং ০১
আমার লক্ষ্য কমনরুম, রিডিংরুম, ক্যাফেটেরিয়ায় সুপেয় পানি ও সাশ্রয়ী খাবার নিশ্চিত করা। স্বাস্থ্যসম্মত, পরিষ্কার ও শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাফেটেরিয়া গড়ে তুলব। স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন সচল ও সহজলভ্য করব। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য শিশু পরিচর্যা, খেলাধুলা ও ফিডিং কর্নার স্থাপনের উদ্যোগ নেব। মেয়েদের কমনরুমে শুধু নারী কর্মচারী, পুরুষের অবাধ প্রবেশ নিষিদ্ধ করব। লাইব্রেরিতে বই, ই-লাইব্রেরি, ওয়াইফাই ও সুপেয় পানির সুবিধা থাকবে। সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর ওয়াশরুম, ক্যাম্পাস, মেয়েদের হলে ফার্মেসি ও ফার্স্ট এইড সেন্টার, পোশাক (বোরকা নেকাব, ওয়েস্টার্ন) নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকব। এ ছাড়া লক্ষ্য রয়েছে- মাতৃত্বকালীন ছুটি ও বাধ্যতামূলক উপস্থিতি শিথিলকরণ, সব হলের রিডিংরুমে ওয়াইফাই ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পড়াশোনার পরিবেশ নিশ্চিত করা, প্রত্যেক রিডিংরুমে আন্তর্জাতিক জার্নাল ও ওয়েবসাইটে অ্যাক্সেস নিশ্চিত করা, একাডেমিক ইমেইলের মাধ্যমে অনলাইন রিসোর্সগুলো সহজলভ্য করা, নারী হলের কর্মচারী ও দায়িত্বরত শিক্ষকদের জবাবদিহির আওতায় আনা ইত্যাদি।
প্লাস্টিকমুক্ত পরিবেশ ও শব্দ নিয়ন্ত্রণে কাজ করব
এম এম আল মিনহাজ, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক, ব্যালট নম্বর ০৩
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ময়লা-আবর্জনা ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়, যা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। আমি নির্বাচিত হলে ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান প্ল্যান্ট কর্মসূচি পালন করব। প্রতিটি শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সময় একটি করে গাছ রোপণ ও যত্ন নেবে। এ ছাড়া থাকবে হলে নিয়মিত পেস্ট কন্ট্রোল ব্যবস্থা, প্লাস্টিকমুক্ত ক্যাম্পাস, মুজিব হলের পাশে গ্লাস দিয়ে শব্দ নিয়ন্ত্রণ, বহিরাগত আড্ডা ও ভ্রাম্যমাণ মাদক কারবার নির্মূল ইত্যাদি। স্বাস্থ্য ও পরিবেশবিষয়ক অভিযোগ, পরামর্শ ও মতামত গ্রহণে ওয়েবসাইট, মাসিক সার্ভে (ক্যান্টিন, ক্যাফেটেরিয়া, মসজিদ, ওয়াশরুম, পানির ট্যাংক ইত্যাদি) করা ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ।
পক্ষপাতদুষ্ট বা ইতিহাস বিকৃতির সুযোগ নেই
ফাতিমা তাসনিম জুমা, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক, ব্যালট নম্বর ০৯
আমার কোনো দলীয় এজেন্ডা নেই। আমার দ্বারা ইতিহাস নিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট হওয়া বা বিকৃতির সুযোগ নেই। আমরা যারা বাংলাদেশপন্থি তাদের এ জায়গায় আসা উচিত বলে মনে করি। আমি নির্বাচিত হলে রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদদের স্বীকৃতি আদায়, বীরশ্রেষ্ঠদের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে হলের নামকরণের উদ্যোগ নেব। আরও অনেক কিছুই আমার ইশতেহারে রয়েছে। এর মধ্যে গবেষণা সেন্টার তৈরি, ফিলিস্তিন-কাশ্মীরের মুক্তির আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ, জুলাই নিয়ে কূটনীতির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের উদ্যোগসহ আরও নানান বিষয় গুরুত্ব দেব।
প্রকাশনা সহায়তা ডেস্ক ও রিসার্চ পোর্টাল চালু করব
মু. সাজ্জাদ হোসাইন খাঁন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক, ব্যালট নম্বর ০৫
নির্বাচিত হলে আমার লক্ষ্য হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট বাজেটের কমপক্ষে ১০% গবেষণার জন্য বরাদ্দ নিশ্চিত করা। এর মধ্যে কমপক্ষে অর্ধেক শিক্ষার্থীর জন্য বরাদ্দ দেওয়া। ডাকসু রিসার্চ জার্নাল (শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক) প্রকাশ; শিক্ষার্থীদের জন্য একটি পিয়ার-রিভিউড দ্বিভাষিক (বাংলা ও ইংরেজি) রিসার্চ জার্নাল চালু করা। প্রতি মাসে গবেষণা ও লেখালেখি-বিষয়ক কর্মশালা আয়োজন (একাডেমিক লেখা, রেফারেন্সিং, সাইটেশন, জার্নালে লেখা পাঠানো ইত্যাদি)। শিক্ষক ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় মেন্টরশিপ সেশন চালু করা। ডাকসুতে একটি ‘প্রকাশনা সহায়তা ডেস্ক’ গড়ে তোলা। ডাকসু রিসার্চ ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করব। এ ছাড়া ডাকসু রিসার্চ পোর্টাল চালু করা হবে, যেখানে থাকবে শিক্ষার্থীদের থিসিস/ডিসার্টেশনের সংগ্রহশালা, উন্মুক্ত ই-লাইব্রেরি।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করব
মো. ইকবাল হায়দার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক, ব্যালট নম্বর ১১
আমি চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করতে। শিক্ষার্থীদের জন্য একাডেমিক রিসার্চ ও প্রফেশনাল পর্যায়ে কাজে লাগে এমন বিষয়ের ওপর স্কিল ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করব। এর মধ্যে ডেটা ম্যানেজমেন্ট, সফট স্কিল ইত্যাদি বিষয় থাকবে। যারা বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখি করে থাকেন তাদের জন্য সাময়িকী প্রকাশের ব্যবস্থা করব। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, রেজিস্ট্রেশন, সার্টিফিকেট তোলা সবই মান্ধাতার আমলের মতো। একটা ওয়েবসাইট আছে যা আধুনিক নয়। এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে চাই। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ইমেইল দিয়ে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো বিভিন্ন একাডেমিক ওয়েবসাইট ও অ্যাপে যেন প্রিমিয়াম অ্যাক্সেস পাওয়া যায় সে ব্যবস্থা করব।
এক ছাদের নিচেই সব সেবা মিলবে
জসীম উদ্দীন খান (খান জসীম), আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক, ব্যালট নম্বর ০৪
রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে ‘আন্ডার ওয়ান রুফ, অল সলিউশন’ প্ল্যাটফর্মের ব্যবস্থা করব। যেখানে এক ছাদের নিচেই একজন শিক্ষার্থী সব সেবা পাবেন। আমাদের অ্যালামনাই যারা বিদেশে থাকেন তাদের সঙ্গে রানিং শিক্ষার্থীদের একটা সংযোগ সৃষ্টির জন্য কাজ করব। বিদেশে স্কলারশিপের তথ্য, অ্যালামনাইদের তথ্য একটা ডেটাবেজে থাকবে। এ ছাড়া গবেষণা ও যৌথ গবেষণার জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থা করব যেখানে বিদেশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংযোগ তৈরি হয়।
১২ মাসে ৩৬ সংস্কারের লক্ষ্য
১. একাডেমিক ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত করে প্রতি বছর নির্ধারিত সময়ে ডাকসু নির্বাচন বাস্তবায়ন করা।
২. বিশ্ববিদ্যালয়কে ফ্যাসিবাদের দোসরমুক্ত করা। ফ্যাসিবাদের চিহ্ন ও ফ্যাসিবাদী কাঠামো ব্যবস্থা, সংস্কৃতি ও চর্চার পুনরুৎপাদন রোধ করা। গণরুম, গেস্টরুম কালচার ফিরে আসার সব পথ বন্ধ করা। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আইনি শাস্তি নিশ্চিত করা। সাম্য, মোফাজ্জল ও আবু বকর হত্যাসহ ফ্যাসিবাদী আমলে সংঘটিত সব নিপীড়নের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা।
৩. প্রথম বর্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বৈধ সিট নিশ্চিত করা।
৪. আবাসিক হল ক্যান্টিন ক্যাফেটেরিয়ায় নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য নিশ্চিত করা। আর্থিক সংকটে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ মিল ভাউচার চালু করা।
৫. নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। ছাত্রী হলে পুরুষ কর্মচারী কমিয়ে আনা, প্রক্টরিয়াল টিমে নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়া।
৬. ছাত্রীদের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করা। ছাত্রী হলে অভিভাবকদের জন্য গার্ডিয়ান লাউঞ্জ স্থাপন করা।
৭. ছাত্রীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটির বিধান চালু করা। এ সময় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ক্লাসে উপস্থিতির বাধ্যবাধকতা শিথিল করা।
৮. কমনরুমে নারী কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া। মা ও শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিংরুম ও চাইল্ড কেয়ার স্থাপন।
৯. প্রশাসনিক ভবনের সেবাকেন্দ্রিক লাল ফিতার দূরত্ব নিরসন করে পেপারলেস রেজিস্ট্রার বিল্ডিং গড়ে তোলা। বিদেশে গমনেচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা।
১০. ডাকসু ওয়েবসাইট উন্নতকরণ ও অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাক্সেস টু রিসোর্স নিশ্চিত করা।
১১. শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতিকে আরও কার্যকর করা। প্রত্যেক ফ্যাকাল্টিতে ই-লাইব্রেরি ও কম্পিউটার সেন্টার স্থাপন করা।
১২. গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত করা ও গবেষণা সহজলভ্য করা। নিয়মিত সেমিনার ও কনফারেন্স আয়োজন করা, উচ্চমানের প্রকাশনা নিশ্চিত করা।
১৩. কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, বিজ্ঞান লাইব্রেরি, হল লাইব্রেরি ও পাঠকক্ষ এবং ডিপার্টমেন্টের সেমিনার কক্ষ আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ করা।
১৪. সফট স্কিল ডেভেলপমেন্টের ওপর ওয়ার্কশপ আয়োজন করা। উচ্চ শিক্ষাবিষয়ক সেমিনারের পাশাপাশি জব ফেয়ারের আয়োজন করা।
১৫. অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় সামগ্রিক উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
১৬. কেন্দ্রীয় মসজিদ, হল মসজিদ, মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয়ের অবকাঠামোগত সংস্কার এবং উন্নয়ন করা।
১৭. মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও কাউন্সেলিং সেবার পরিসর বৃদ্ধি করা।
১৮. বিশ্বগ্রাম মেডিকেল সেন্টার স্থাপন ও সেবার আধুনিকায়ন করে স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি করা। স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ নারী চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা।
১৯. বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে এমওইউ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবকদের চিকিৎসা ব্যয়ের ওপর বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করা।
২০. ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড শিক্ষার্থীদের জন্য অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি চালু করা।
২১. ভাষা ইনস্টিটিউটকে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উন্নীত করা। প্রত্যেক ভাষায় অন্তত একজন বিদেশি শিক্ষক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া।
২২. গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ল্যাবগুলোতে উন্নত ও আধুনিক যন্ত্রপাতি নিশ্চিত করা।
২৩. ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে বহিরাগত যান নিয়ন্ত্রণ, ভাসমান হকার ও ভবঘুরে উচ্ছেদ করা। ক্যাম্পাস এলাকায় রিকশা প্রবর্তন ও ভাড়া তালিকা প্রণয়ন করা।
২৪. যৌন হয়রানি ও সাইবার বুলিং প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করা।
২৫. ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনগুলোতে ফ্রি মেন্সট্রুয়াল হাইজিন প্রোডাক্ট সহজলভ্য করা।
২৬. নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের ও ভিকটিমদের সাপোর্টের জন্য ভিকটিম সাপোর্ট সেল গঠন।
২৭. বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত মেইলের অ্যাক্সেস এবিলিটি বাড়ানো। অ্যালামনাইদের জন্য অফিশিয়াল ইমেইলের ব্যবস্থা করা।
২৮. বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনায় নতুন বাস ক্রয় করা। মোবাইল অ্যাপে বাসের রিয়েলটাইম ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা করা।
২৯. শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও আইনি সহায়তা নিশ্চিত করা।
৩০. শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের অবকাঠামোগত আধুনিকায়ন। হল পর্যায়ে শারীরিক শিক্ষা কার্যক্রমের আধুনিকায়ন ও ইনডোর গেমসের আওতা বাড়ানো।
৩১. টিএসসির কাঠামোগত উন্নয়ন ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা।
৩২. ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড শিক্ষার্থী উপযোগী ক্লাসরুম ও একাডেমিক পরিবেশ নিশ্চিত করা।
৩৩. নারী শিক্ষার্থীদের জন্য সেলফ ডিসপেন্স প্রশিক্ষণের আয়োজন করা।
৩৪. হলগুলোতে কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, কর্মচারী মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা।
৩৫. প্রতি মাসে ক্যাম্পাসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা।
৩৬. সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক আধিপত্যবাদ মোকাবিলায় এ অঞ্চলের মানুষের নিজস্ব সংস্কৃতির বিকাশে কাজ করা।