৩ এপ্রিল, ২০২১ ১৫:৫০

স্বপ্ন ছোঁয়ার পথে কর্ণফুলী টানেল

সার্বিক কাজের অগ্রগতি ৬৬ শতাংশ

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

স্বপ্ন ছোঁয়ার পথে কর্ণফুলী টানেল

স্বপ্ন ছোঁয়ার পথে কর্ণফুলী টানেল। সার্বিক কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৬৬ শতাংশ। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ কাজের অগ্রগতি ছাড়িয়েছে প্রত্যাশাকেও। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের দাবি, এ গতি ধরে রাখতে পারলে নির্ধারিত সময়ের আগেই যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে দেশের প্রথম এই টানেল।

টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রত্যাশিত গতিতে চলছে টানেল নির্মাণের কাজ। এরই মধ্যে সার্বিক কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৬৬ শতাংশ। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের কিছুটা আগেই শেষ হবে টানেল তৈরির কাজ।’ জানা যায়, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বাংলাদেশের প্রথম টানেল নির্মাণ ঘিরে চলছে বিরামহীন কর্মযজ্ঞ। কর্ণফুলীর তলদেশ, নদীর শহর প্রান্ত, আনোয়ারা উপজেলা প্রান্তসহ দুই তীরে চলছে টানেলের অবকাঠোমোগত উন্নয়ন কাজ। এতে দিনরাত পরিশ্রম করে নদীর তলদেশকে টানেলে রূপান্তর করতে কাজ করছেন দেশি-বিদেশি হাজারো শ্রমিক। এরই মধ্যে খনন শেষ হওয়া প্রথম টিউবটি যান চলাচলের উপযোগী করতে চলছে অবকাঠামোগত উন্নয়নকাজ। ওই টিউবে চলছে সড়ক তৈরি ও অন্যান্য উন্নয়নকাজ। দ্বিতীয় টিউব খননের কাজও চলছে দ্রুততার সঙ্গে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় টিউব খনন হয়েছে ৭৫০ মিটার। নদীর দুই তীরবর্তী এলাকাকে টানেলের সঙ্গে যুক্ত করতে সংযোগসড়ক তৈরির কাজও চলছে বেশ দ্রুত। সংযোগসড়কের সঙ্গে যুক্ত উড়ালসড়ক তৈরির কাজও চলছে সমানতালে। এরই মধ্যে কিছু কিছু জায়গায় বসানো হয়েছে স্লাব। আবার কিছু এলাকায় চলছে গার্ডার তৈরির কাজ। সংযোগসড়কের ব্রিজ ও কালভার্ট তৈরির কাজও চলছে অভিন্নভাবে।

চীনের সাংহাই মহানগরীর আদলে চট্টগ্রাম শহর ও আনোয়ারাকে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’-এ রূপান্তরে কর্ণফুলী নদীতে তৈরি হচ্ছে টানেল। এ টানেলের এক প্রান্তে রয়েছে আনোয়ারার ভারী শিল্প এলাকা। অন্য প্রান্তে চট্টগ্রাম মহানগর, বিমান ও সমুদ্র বন্দর। সরকার বিভক্ত দুই অংশকে একই সুতায় যুক্ত করতে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশ সরকার ও চাইনিজ এক্সিম ব্যাংক এ প্রকল্পে যৌথ অর্থায়ন করছে। ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। ২০২২ সালের মধ্যে এ টানেলটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি পুরোদমে চালু হলে প্রতি বছর প্রায় ৬৩ লাখ গাড়ি চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রকল্পটি পুরোদমে চালু হলে পাল্টে যাবে চট্টগ্রাম তথা দেশের অর্থনীতি। বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে শিল্পকারখানা ও পর্যটনশিল্পে।


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

সর্বশেষ খবর