রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হলো তিন দিনব্যাপী চিকিৎসা সরঞ্জাম, স্বাস্থ্য পর্যটন, খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী। কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেসের (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ) আয়োজনে গতকাল এসব প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ছিলেন নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন থিজ উডস্ট্রা, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাগ্রো-প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সভাপতি মো. আবুল হাশেম, ইউরোপীয় ইউনিয়ন চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের চেয়ারপারসন নুরিয়া লোপেজ, আয়োজক প্রতিষ্ঠান সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন. ইসলাম। আয়োজকরা জানান, এসব প্রদর্শনী শিল্পের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জন্য একটি ওয়ানস্টপ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। বৈশ্বিক পরিসরে পারস্পরিক জ্ঞান ও প্রযুক্তি আদানপ্রদানের মাধ্যমে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পাবে।
বাংলাদেশ অ্যাগ্রো-প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সভাপতি আবুল হাশেম বলেন, ‘এ রকম প্রদর্শনী দেশি উদ্যোক্তা ও বিদেশি আমদানিকারকদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে। আমরা প্রতি বছর ১ বিলিয়ন ডলার কৃষিপণ্য রপ্তানি করি। আগামী দুই বছরের মধ্যে সেটা আমরা ২ বিলিয়নে নিয়ে যেতে চাই।’
নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সহযোগিতায় সেমস গ্লোবাল ও বাইটস (বিল্ডিং ইয়ুথ এমপ্লোয়েবিলিটি থ্রো স্কিলস-বিওয়াইইটিএস) প্রকল্পের আয়োজনে সুইসকন্ট্যাক্টের বাস্তবায়নে এবারের ‘৮ম অ্যাগ্রো বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো ২০২৫’ প্রদর্শনীর অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রিমিয়ার কো-ইভেন্ট ‘অ্যাগ্রো প্রসেসিং গ্লোবাল গেটওয়ে এক্সপো’।
আইসিসিবিতে প্রদর্শনীগুলো হলো বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসা সরঞ্জাম, অস্ত্রোপচার ও ডেন্টাল যন্ত্রপাতি, হাসপাতালের সরঞ্জাম ও সরবরাহকেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ‘১৬তম মেডিটেক্স বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো’, ‘৯ম বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল ল্যাব এক্সপো ২০২৫’, ‘১১তম ফার্মা বাংলাদেশ ২০২৫ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো’। স্বাস্থ্যসেবা, মেডিকেল ট্যুরিজম ও তৎসংশ্লিষ্ট সেবা সম্পর্কিত ‘৮ম ইন্টারন্যাশনাল হেলথ ট্যুরিজম অ্যান্ড সার্ভিসেস এক্সপো বাংলাদেশ ২০২৫’।
স্বাস্থ্য পর্যটন এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি ও সেবা নিয়ে স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান, দেশিবিদেশি হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের সহযোগিতাবিষয়ক এ প্রদর্শনীগুলোয় বাংলাদেশ, ভারত, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কাসহ ১৫টির অধিক দেশের ৫০০ বুথ নিয়ে প্রায় ৩৫০টি কোম্পানি অংশগ্রহণ করছে।