লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ বীরবিক্রম চলমান ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ সম্পর্কে বলেছেন, আমার মনে হয় না, এটা লার্জেস স্কেলে কোনো যুদ্ধ হবে। (ভারত ও পাকিস্তান) এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের খোঁচাখুঁচি চলবে। বড় ধরনের কোনো যুদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি নেই। তিনি বলেন, আমরা (বাংলাদেশ) তো নিরপেক্ষ আছিই। তবে প্রস্তুত থাকতে হবে, সাবধান থাকতে হবে। আর কী ধরনের প্রস্তুতি হবে, সেটা গভর্নমেন্টই ভালো বলতে পারবে। সরকারপ্রধান ইতোমধ্যেই প্রস্তুত থাকার কথা বলেছেন। কাজেই সরকারের কাছে সব তথ্যই আছে। তাদেরই এসব চিন্তা করে ব্যবস্থা নিতে হবে। গতকাল পাক-ভারত যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলাপকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি এসব কথা বলেন। অভিজ্ঞ এই সামরিক বিশ্লেষক বলেন, যুদ্ধ কোনো দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না। বরং জনগণ কষ্ট পায়। এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের সমস্যা ছিল, সমস্যা আছে এবং সমস্যা থাকবে। এটাই স্বাভাবিক। সদ্ভাব নিয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলো নিরসন করা ভালো। বর্তমান বিশ্বে যুদ্ধ যদি শুরু হয়, তাহলে এটা শুধু রাইফেল, পিস্তল আর মেশিনগানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। একটা নিউক্লিয়ার ব্যবহারের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সুতরাং দেশ ধ্বংস করার আগে আমাদের চিন্তা করতে হবে যেখানে আমরা একজন মানুষকে সৃষ্টি করতে পারব না, সেখানে হাজার হাজার মানুষকে ধ্বংস করব-এটা কতদূর যুক্তিসংগত হবে! বাংলাদেশের ব্যাপারে, যিনি আমাদের এখন প্রধান আছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেব, তিনি তো বলেই দিয়েছেন আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য। কারণ পাশের ঘরে যখন আগুন লাগে তখন নিজের ঘর সেফ রাখার জন্য ব্যবস্থা নিতে হয়। আমাদেরও সতর্ক থাকতে হবে, প্রস্তুত থাকতে হবে। তবে কোনো অবস্থাতেই কোনো সমস্যার সঙ্গে এ মুহূর্তে আমাদের জড়িয়ে পড়া ঠিক হবে না। ‘পাক-ভারত যুদ্ধের ফলে আমাদের দেশে কোনোরকমের বৈরী প্রভাব পড়তে পারে কি না?’ জবাবে কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, অবশ্যই, এ যুদ্ধের ফলে শুধু আমাদের দেশই নয়, এ উপমহাদেশের প্রতিটি দেশেই এর প্রভাব পড়বে। ‘এ সমস্যার সমাধান কী হতে পারে?’ এর উত্তরে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, এটার কোনো সমাধান নেই। এজন্য তো আমরা বলছি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এর সল্যুশন করা, যুদ্ধই একমাত্র কোনো সমস্যার সমাধান নয়। ‘জাতিসংঘ তো ইতোমধ্যে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে, কিন্তু কেউ তো শুনছে না।’