ছোট পর্দার অভিনেত্রী অহনা রহমানের সঙ্গে ৭ মাসের সম্পর্কে ছিলেন অভিনেতা শামীম হাসান সরকার। তাদের বিচ্ছেদের পরই বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে ‘প্রাক্তনকে’ নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করতে দেখা যায় অহনাকে। যে কারণে নেটিজেনরাও মনে করতে শুরু করেন, অভিনেত্রীর তীরের নিশানাতে রয়েছেন শামীম। বিষয়টি নিয়ে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েন এই অভিনেতা।
সেই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে অহনা প্রসঙ্গ উঠতেই শামীম দাবি করেন, ‘প্রাক্তন’ বলতে অভিনেত্রী যার কথা বুঝিয়েছেন, তিনি সেই ব্যক্তি নন। শুধু তাই নয়, শামীম দাবি করেন— অহনা ‘প্রাক্তন’ বলতে যার কথা বলেছেন, তিনি হচ্ছেন ‘বরবাদ’ সিনেমার পরিচালক মেহেদী হাসান হৃদয়।
এই বিষয়ে বুধবার (৭ মে) দুপুরে একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে শামীম বলেন, “অহনার সঙ্গে হৃদয়ের প্রায় ৫ বছরের সম্পর্ক ছিল। আর আমার সঙ্গে ছিল মাত্র ৭ মাস। অহনাই কিন্তু ডাবল টাইমিং করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “সম্প্রতি অহনা একটি সাক্ষাৎকারে তার প্রাক্তনকে ‘অমানুষ’, ‘জানোয়ার’ বলে মন্তব্য করেছেন। এরপর ফেসবুকে অনেকে সেই ভিডিওর কমেন্টবক্সে আমাকে মেনশন করছেন। তারা বলছেন, আমিই নাকি তার প্রাক্তন। এমনকি যেই মেয়েটা (প্রিয়াঙ্কা) আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন, তিনিও পাঁচ দিন আগে অহনার সেই ভিডিও শেয়ার করে আমার দিকেই আঙুল তুলেছেন।”
শামীমের এই বক্তব্যের পরই অহনা ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “ডাবল টাইমিং? আপনি যা বলেছেন ঠিক বলেছেন কি? নিজের দোষ ঢাকতেই কি এমন অপবাদ দিচ্ছেন?”
ব্যক্তিগত বিষয় সংবাদে না টানার আহ্বান জানিয়ে অহনা বলেন, “যারা নিউজ করেন, তারা দয়া করে অন্যের গল্পে আমাকে জড়িয়ে হেডলাইন করবেন না।”
এর আগে শামীম হাসান সরকারের বিরুদ্ধে অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা প্রিয়া ধর্ষণের হুমকি ও শারীরিক নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, শুটিংসেটে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন শামীম, এমনকি গায়েও হাত তুলতেন। শুধু তাই নয়, মাদক সেবনের পর বাজে আচরণ এবং প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকিও দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
এই অভিযোগের পর পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে শামীম নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং শুটিংসেটের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখার আহ্বান জানান।
বিডি প্রতিদিন/আশিক