২৯ নভেম্বর, ২০২২ ২৩:১০

২০ বছর পর নকআউট পর্বে সেনেগাল

অনলাইন ডেস্ক

২০ বছর পর নকআউট পর্বে সেনেগাল

সংগৃহীত ছবি

পরের পর্বে যাওয়া নিশ্চিত করতে জয়ের বিকল্প ছিল না। তাই গোল করার তাড়না ছিল চোখে পড়ার মতো। শেষ পর্যন্ত ২০ বছর পর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে নকআউট পর্বে নিজেদের নিশ্চিত করল সেনেগাল।

এর আগে ২০০২ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো নকআউট পর্বে খেলেছিল সেনেগাল। ওই আসরে দলের ৫ ম্যাচের চারটিতে খেলেছিলেন দলটির বর্তমান কোচ সিসে। এবার তার অধীনেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করল আফ্রিকার জায়ান্টরা।  

নকআউটে ওঠার লড়াইয়ে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাত ৯টায় খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় ইকুয়েডর-কাতার। এই ম্যাচের সমীকরণ একেবারেই সহজ ছিলো, যে জিতবে সেই উঠবে শেষ ১৬-তে। শেষমেশ ইকুয়েডরকে ২-১ গোলে হারিয়ে নক-আউটের টিকিট পায় আফ্রিকান চ্যাম্পিয়ন সেনেগাল।

তবে নকআউটে উঠতে ইকুয়েডরের প্রয়োজন ছিলো এক পয়েন্ট। গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে সেনেগালের সঙ্গে ড্র করলেই পেয়ে যেত নকআউটের টিকিট। অন্যদিকে, সেনেগালের প্রয়োজন ছিলো জয়। এমন সমীকরণের ম্যাচে ইকুয়েডরকে হারিয়ে 'এ' গ্রুপের রানার-আপ হিসেবে নক-আউটে উঠে গেল সেনেগাল। 

ম্যাচের শুরু থেকেই ম্যাচ জয়ের পণ নিয়ে খেলতে নামে সেনেগাল। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত অপরাজিত থাকা ইকুয়েডরের বিপক্ষে দাপট দেখাতে থাকে আফ্রিকান দলটি। ম্যাচের ৩ মিনিটেই সুযোগ পায় সেনেগাল। কিন্তু ইদ্রিস গায়ার শট গোলবারের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ১২ মিনিটে আবারো সুযোগ পায় সেনেগাল। এবার এনদাইয়ের বাকানো শট গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও তা চলে যায় গোলবার ছুঁয়ে।

ইকুয়েডরের বিপক্ষে এর আগের দুই ম্যাচেই জয় লাভ করা সেনেগাল মাঝমাঠে বলের দখল নিয়ে ইকুয়েডরের রক্ষণভাগে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। যার দরুণ ম্যাচের ৪২ মিনিটে খেই হারিয়ে ফেলে ইকুয়েডর। ইসমাইল সারকে ডি বক্সর ভেতর ফাউল করে বসেন প্রিসাইডো। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে লাইফলাইন পায় সেনেগাল। স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে দেন ইসমাইল সার। শেষের দিকে আরো কিছু আক্রমণ করলেও তা দেখা পায়নি গোলের। ফলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় সেনেগাল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই সমতায় ফেরার তাড়া অনুভব করেছে ইকুয়েডর। চালিয়েছে সেনেগাল শিবিরে তাণ্ডব। ঠিক লক্ষ্যে পৌঁছাতেও পেরেছিল ইনার ভ্যালেন্সিয়ার দল। ৬৭ মিনিটে কর্নার কিক নেওয়া বলটি দখলে নেন ফেলিক্স তরেস। তিনি হেড দিয়ে বলটি কিছুটা সামনে দেন। সেখান থেকে পায়ের ছোঁয়ায় গোল করেন মইসেস ক্যাইসেডো। ইকুয়েডর সমতায় ফেরে ১-১ গোলে।

কিন্তু হাল ছেড়ে দিতে রাজি নয় সেনেগাল। কারণ আজ ড্র করা চলবে না। জয় চাই। দুই মিনিট আগে ইকুয়েডরের হয়ে তরেস-ক্যাইসেডো যেভাবে গোল করেছেন, সেটি রপ্ত করেন কালিদোও-ইদ্রিসা। দুজনে মিলে একই কায়দায় করেন দলের দ্বিতীয় গোলটি। ১-২ গোলে লিড পায় সেনেগাল। এরপরে ম্যাচে আর ফিরতে পারেনি ইকুয়েডর। ফলে হারের সঙ্গে বিদায় নিতে হলো এবারের বিশ্বকাপ থেকে।

বিশ্বকাপের আগেই চোটে ছিটকে গিয়েছিলেন সেনেগাল দলের মূল ভরসা সাদিও মানে। তাতে দলের দুর্বলতা নিয়ে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হেরে যায় সেনেগাল। তবে কাতারের বিপক্ষে জয় পেয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। এবার ইকুয়েডরকে হারিয়ে অর্জনকে সমৃদ্ধ করল সেনেগাল। 


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর