শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ০৪ মার্চ, ২০১৬

সোনার বাংলা শ্মশান কেন?

হাশেম খান
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
সোনার বাংলা শ্মশান কেন?

১৯৭০ সালের এক সন্ধ্যায়।  পায়চারি করছি খোলা বারান্দায়। বিদ্যুৎ নেই অনেকক্ষণ ধরে। ঢাকা শহরে বিদ্যুৎ থাকা না থাকা বা একবার গেলে কখন আসবে, বিদ্যুতের অনিশ্চিত সংস্কৃতির ইতিহাস দীর্ঘকালের। আলোর জন্য বিকল্প ছিল হারিকেন। এটা সব বাড়িতেই দুই-তিনটা রাখতে হতো। হারিকেন জ্বালিয়ে কাজে বসেছিলাম। ছবি আঁকতে গিয়ে দেখি হারিকেনের আলোতে কুলোচ্ছে না। বাসায় মোমবাতিও পেলাম না। হারিকেন ও তার সঙ্গে তিনটা মোমবাতি জ্বালালে বেশ আলো হয়। পায়চারি করছিলাম যদি এখুনি বিদ্যুৎ চলে আসে?

ইত্তেফাকের সাহিত্য পৃষ্ঠার তিনটি গল্পের ছবি ও বেশ কিছু প্রবন্ধের শিরোনাম লিখে আজ রাতের ৮টার মধ্যে দিতে হবে। সাহিত্য বিভাগের সম্পাদক আমার জন্য অপেক্ষা করছেন। বেশিরভাগ কাজই হয়ে গেছে। সামান্য কিছু বাকি। না? বিদ্যুৎ আসবে না। মোমবাতি কেনার জন্য বারান্দা থেকে সিঁড়িতে মাত্র পা দিয়েছি এমন সময় বাড়ির প্রধান ফটকের বড় লোহার কড়া দুটো বেশ শব্দ করে জানান দিল কেউ একজন এসেছে। একটু জোরেই বললাম—দরজা খোলা আছে। ঠেলে চলে আসুন। ছোটখাটো মানুষটি বেশ দ্রুত ঢুকে পড়ল। আলো আঁধারিতে চিনতে অসুবিধে হলো না। কিছু মানুষ আছে যারা সহজেই আপন হয়ে যায়। যাদের সান্নিধ্য সুখকর ও আনন্দের। এই মানুষটিও তাই। ইনি নূরুল ইসলাম। সহজেই হয়ে উঠেছেন নূরুল ইসলাম ভাই। আওয়ামী লীগের নিষ্ঠাবান এক কর্মী। প্রচার কাজে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সামনে এসে বললেন—বাইরে যাচ্ছেন? যাওয়া হবে না জরুরি কাজে আসছি। খুবই জরুরি। আসার পথেই বুঝলাম বিদ্যুৎ নেই। তাই বিদ্যুৎ নিয়ে আসছি। এই নেন! কথাগুলো বলে আমার হাতে তুলে দেন চারটি বড় ও মোটা মোমবাতি। আমি অবাক! এগুলো বিদ্যুৎ? পরক্ষণেই তার রসিকতা বুঝে হেসে ফেললাম। তিনিও হাসলেন।

—ঘরে চলেন। জরুরি কাজটা বুঝাই। খুবই জরুরি। মুজিব ভাই পাঠাইছেন। নূরুল ইসলাম যে খানিকটা উত্তেজিত তার ত্রস্ততা লক্ষ্য করি। হারিকেনের আলোতে ফুলস্কেপ কাগজের ভাঁজ করা পৃষ্ঠাটা তুলে ধরে বলেন পড়ে দেখেন। ‘বৈষম্য বিষয়— পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তান, তারপর বিভিন্ন বিষয়ের একটি তালিকা ছক করে লেখা। উপরে লেখা সোনার বাঙলা শ্মশান কেন?’

—পড়লাম। দুই পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে যে বৈষম্য চলেছে তার একটি তালিকা। তবে নূর ইসলাম ভাই শিরোনামের বক্তব্যটা খুবই সময় উপযোগী হয়েছে।

—হুররে। আমাদের শিল্পীরও পছন্দ হয়েছে।

নূর ইসলাম ভাই হাততালি দিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং বলতে থাকেন—হাশেম ভাই নির্বাচনের প্রচারের জন্য গত দুই-তিন মাস ধইরা কত পোস্টার বানাইছি, কত লিফলেট তৈরি করছি আপনাকেও কত কষ্ট দিচ্ছি। কমতো আঁকেন নাই। কিন্তু জুতসই একটা পোস্টারের কথা ভাবতে ভাবতে গত দুই রাত জাইগা এই বিষয়টা তৈরি করছি। এই বিষয়টা আইজ মুজিব ভাইরে দেখালাম। (নূরুল ইসলাম শেখ মুজিবুর রহমানকে মুজিব ভাই বলেই সম্বোধন করতেন)। মুজিব ভাই পুরাটা পড়লেন। একবার না দুবার। তারপর তালিকাটা মেলে ধরে বললেন— তালিকা থেকে এই দুইটা বাদ দিয়ে বাকি দশটা রাখ। খুব ভালো বিষয়। পোস্টারটা আমাদের জনগণ ভালোভাবে নেবে। দেশের মানুষের কাছে পাকিস্তানের স্ব্বৈরশাসকদের আসল চেহারাটা বেরিয়ে যাবে। ওরা যে কতরকমভাবে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষদের ঠকাচ্ছে, পূর্ব পাকিস্তানের সম্পদ লুট করে পশ্চিম পাকিস্তানের শহর-বন্দরকে গড়ে তুলছে, রাস্তাঘাট নতুন করে সুন্দর করে তৈরি করছে। চাকরি-বাকরি ও অন্যান্য অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উন্নতি থেকে উন্নততর অবস্থানে পৌঁছে দিচ্ছে। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষরা এই পোস্টারের মাধ্যমে বুঝতে পারবে স্ব্বৈরশাসকরা বাঙালিদের কত অবহেলা করে।

নূরুল ইসলাম জানতে চাইলেন— পোস্টারের বিষয়টা আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটিতে আলোচনার জন্য তোলা হবে কিনা। বঙ্গবন্ধু বললেন— ওয়ার্কিং কমিটিতে তোলা যায়। বিষয়টা নিয়ে কেউই আপত্তি করবেন না। দেরি করলেও চলবে না। পোস্টারটা ছেপে ফেলা যাক। তারপর সবাই দেখুক। নূর ইসলাম যত তাড়াতাড়ি পার আজ রাতেই প্রেসে দিয়ে ছাপিয়ে ফেল। এরপর মুজিব ভাই আমার খসড়া করা কাগজটা নিয়ে এই যে দেখেন কোণায় কী লিখেছেন। বলে নূর ইসলাম কাগজের কোণাটা নির্দিষ্ট করে দেখায়। আমি ফুলস্কেপ কাগজের পাতাটা হারিকেনের খুব কাছে নিয়ে ভালো করে দেখলাম। লেখা আছে ‘নূর ইসলাম— পোস্টারটি খুবই জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ, তাই আজ রাতেই ছাপার ব্যবস্থা কর। প্রেসকে বলবা কাগজের টাকা আজ রাতে দিবার পারুম না। আগামীকাল দুপুরের পর দিব। প্রেসকে আমার এই নোটটা দেখাবা। আপাতত ১০ হাজার পোস্টার ছাপ।’ তারপর ছিল তার সই— ‘শেখ মুজিবুর রহমান।’

সময় দ্রুত এগোচ্ছে, বিদ্যুতের তখনো দেখা নেই। আমাকে ইত্তেফাক অফিসে পৌঁছতে হবে। পোস্টারের তালিকাটা অনেক বড়, অনেক লেখা। হাতে লিখতে হলে অনেক সময় লাগবে। বিপদেই পড়ে গেলাম। নূরুল ইসলাম ভাইকে আমতা আমতা করে বলি।

—ইত্তেফাকের কাজটা আমাকে তক্ষুনি শেষ করতে হবে—ওরা অপেক্ষায় আছে। অবশ্য খুব বেশি বাকি নেই।

—কতক্ষণ লাগবে?

—আধা ঘণ্টা

—তাইলে ওদের কাজটা শেষ করেন। তারপর সবগুলো কাজ আমারে বুঝইয়া দেন— আমি গিয়া দিয়া আসি। আপনার ইত্তেফাকে যাইয়া সময় পার করার দরকার নাই।

গোপীবাগ থেকে ইত্তেফাক অফিস অবশ্যই খুব কাছে। হারিকেন ও ৪টা বড় মোমবাতি জ্বালিয়ে ইত্তেফাকের ইলাস্ট্রেশন ও শিরোনামগুলো এঁকে শেষ করলে নূর ইসলাম ইত্তেফাকে চলে গেলেন। আমি ৩০ ইঞ্চি লম্বা এবং পাশে ২০ ইঞ্চি একটি কার্টিজ কাগজ নিয়ে মেঝেতে বসে গেলাম। পোস্টারের সাধারণ মাপ এই ডবল ক্রাউন। বড় টেবিল আমার নেই তাই মেঝেতে বসেই আঁকতে হবে।

পোস্টারটা কীভাবে আকর্ষণীয় করি ভাবতে থাকি। কাগজে ছোটখাটো ড্রইং করতে থাকি। অনেক বক্তব্য লেখাসর্বস্ব। এত লেখা সমন্বয় করে পোস্টারের জন্য আকর্ষণীয় কোনো নকশা করা খুবই কষ্টকর। কতটুকু পারব— তা একটার পর একটা খসড়া করতে থাকি। এদিকে সময় নেই তাই খুব বেশি চিন্তা করে যে কয়েকটা খসড়া করে বেচে নেব তার উপায় নেই।

কিছুক্ষণের মধ্যেই নূরুল ইসলাম ফিরে এসেই বললেন—কিছু একটা দাঁড় করাতে পারলেন? আজকে আর বিদ্যুৎ আসবে না। পাকি সরকার পূর্ব পাকিস্তানরে আন্ধারে রাইখা পাকিস্তানরে আলোতে ভাসাইয়া দিচ্ছে। সারা রাইতে অগো শহর বন্দর অলিগলি এমনকি গ্রাম পর্যন্ত বিদ্যুতের বাতি দিনের মতো আলো দিতাছে। সামনের ইলেকশনে পশ্চিমাদের গদি থেকে নামাইয়া আওয়ামী লীগরেই বসাইতে হইব।

নূরুল ইসলামের হাতের প্যাকেট থেকে সুস্বাধু খাবারের গন্ধ বেরোচ্ছে। আমার পাশে বসে পড়ে বললেন দেশপ্রিয় মিস্টান্ন ভাণ্ডার থেকে নিয়ে এসেছে। গরম পরোটা আর সবজি। এই খাবারটা ওদের খুব জনপ্রিয়। আমরা অনেকেই দেশপ্রিয় খাবারের ভক্ত। খুশি হয়েই বললাম—একটু পরেই রাতের খাবার খাব। আপনি খাবেন সেটাও রুস্তমকে বলে দিয়েছি। কি দরকার ছিল আবার দোকান থেকে খাবার কেনার।

—এই পোস্টারটা আঁকতে আঁকতে দুজনে মিলে খাব।

তিনি আয়েশ করে বসে রুস্তমকে ডাকেন— প্লেট দিয়ে যাও, চামচ দেয়ে যাও, পানি দিয়ে যাও ইত্যাদি।

—নূর ইসলাম ভাই মাথায় যে কোনো নকশা টকশা আসছে না। এতো লেখা হাতে লিখতে গেলে অনেক সময়, অন্তত কালকের দিনটা সময় দেন। প্রেসের টাইপ বসিয়ে অফসেট মেশিনের বড় ক্যামেরায় টাইপগুলো বড়-ছোট একটা প্রতীকী ‘থিম’ তৈরি করে পোস্টারটা বানাই।

সব্বোনাশ—মুজিব ভাইকে বলেছি আপনাকে দিয়া পোস্টারের নকশা করিয়ে আজকেই প্রেসে দিব। প্রেসের টাইপ দিয়া না শিল্পীর হাতের লেখা যাবে পোস্টারে, আপনার কথা শুইনা মুজিব ভাই খুব খুশি হইছে। বলেছে একদম ঠিক আছে। তবে দেরি করা যাইব না। আজ রাইতেই প্রেসে দিতে হইব। কেন আপনাকে দেখালাম না মুজিব ভাই লেইখা দিচ্ছে আজ রাইতেই ছাপতে দাও।

এমন সময় বারান্দা থেকে কিছু পায়ের আওয়াজ কানে আসে। কারা এলো এ সময়। খোলা দরজা দিয়ে ঢুকলেন আমার বড় ভাই ডা. সুলেমান খান ও স্বপন ভাবী। আমাদের বাড়ির ঠিক উল্টোদিকের এক তলায় থাকেন। রোজই একবার সময় করে ছোট ভাই বোনদের খোঁজখবর নিয়ে যান। নূরুল ইসলাম ভাইকে দেখে খুশি হন। তার দিকে হাত বাড়িয়ে মোলাকাত করতে করতে বলেন—কিছু একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে মনে হচ্ছে? তা নূরুল ইসলাম সাহেব নির্বাচন তো খুবই কাছে। সারা দেশে নির্বাচনমুখী একটা জোয়ার এসে গেছে। গণতন্ত্রের দিকে দেশ ধীরে ধীর এগোচ্ছে শেষ রক্ষা হলে ভালো। কারণ সামরিক শাসকদের বিশ্বাস করা যায় না। গত ১৪ বছরে দেশে রাজনৈতিক আন্দোলন ও গণজাগরণে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ দফা স্বায়ত্ত শাসনের দাবি। স্বায়ত্ত শাসনের বিষয়টা শেখ মুজিবের কারণেই মানুষ বুঝতে পেরেছে বেঁচে থাকার জন্যই তাই এবারের নির্বাচনে শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি আমাদের কমিউনিস্ট পার্টিসহ প্রগতিবাদী রাজনীতিকরা আস্থাশীল। নূরুল ইসলাম পোস্টারের বিষয় লেখা কাগজটা ডা. সুলেমানের হাতে দিয়ে বললেন—একটা নতুন পোস্টার তৈরি করছি আমরা। বিষয়টা দেখুন। পোস্টারের বিষয়টা ভালো করে পড়ে নিয়ে সুলেমান বললেন— করেছেন কী। অসাধারণ বিষয়। ২২ বছর ধরে পাকিস্তানের মৌলবাদ ও স্বৈরাচার সরকারের অমানুষিক দুঃশাসনের তালিকা। পূর্ব পাকিস্তানের এই বৈষম্যের শিকার হয়েও এখন আরও শক্তিশালী হবে এবং সামরিক শাসনকে সহজেই বিদায় জানাবে। নূরুল ইসলাম সাহেব আওয়ামী লীগকে বলুন এই বৈষম্যের পোস্টারের খবর ইংরেজি পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে সারা বিশ্বকে জানিয়ে দিক পাক সামরিক সরকার পূর্ব পাকিস্তানের মানুষকে যে মানুষ বলে গণ্য করে না এবং কীভাবে অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। আমরা কমিউনিস্ট পার্টি থেকেও এ কাজটা করব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ নূরল ইসলাম সাহেব। আপনারা কাজ করুন আমি আসছি।

এবার পোস্টারটা আঁকতে হয়। সময় একদম নেই। সাড়ে ১০টার মধ্যে না হলে প্রেস ধরতে অসুবিধা হবে। আড়াই ঘণ্টা হয়ে গেল বিদ্যুৎ তখনো নেই। মোমবাতিও ধীরে ধীরে পুড়ে কমে যাচ্ছে। নূরুল ইসলাম ভাই হঠাৎ উঠে দাঁড়ালেন। কী একটা জরুরি বিষয় মনে পড়েছে। তার হাবভাব তাই মনে হলো। বললেন—হাশেম ভাই আপনার পকেটে ২০টা টাকা আছে? আগামীকাল দিয়ে দেব। একটা কাজ ভুলে গিয়েছিলাম। আপনি কাজটা শেষ করেন আমি অল্পক্ষণের মধ্যেই আসছি।

হঠাৎ তার ২০ টাকা কেন জরুরি প্রয়োজন মনে হলো বুঝতে পারলাম না। যাই হোক ফিরে এলে জানা যাবে। সে সময় ২০ টাকা দিয়ে অনেক কাজ করা যেত। পোস্টারটি আঁকার একটি সহজ ও স্বাভাবিক চিন্তা মাথায় এসে যায়। আঁকতে ও লিখতে শুরু করি। নিবিষ্ট মনে লিখে যাচ্ছি একটা একটা করে বৈষম্যের বিষয়। নির্দিষ্ট নকশা ছকের মধ্যে সেগুলোকে সাজাচ্ছি। একটা সময়ে এসে শেষ হলো আমার পোস্টার আঁকা বসা থেকে উঠে দাঁড়ালাম। পা ঝাড়লাম অনেকক্ষণ বসে থাকাতে পা খানিকটা আড়ষ্ট হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ আলো জ্বলে উঠল। চারদিকে ঝলমলে উজ্জ্বল। আর তক্ষুনি ঘরে পা রাখল নূরুল ইসলাম। তিনি চলে এসেছেন। ঘড়ি দেখলাম। রাত ১০টা ২০ মিনিট।

—বাহ্ আমিও ঢুকলাম আর সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ এসে গেল। তারপর আমার আঁকা পোস্টারের দিকে তাকিয়ে পরক্ষণে উল্লসিত হয়ে বলে উঠলেন— আপনার আঁকাও শেষ। খুব সুন্দর খুব সুন্দর...

আমার দিকে তাকিয়ে একটু থেমে হাসি হাসি মুখেই কিছু একটা বলতে গিয়ে থামলেন। ভুরুটা একটু কুঁচকালেন। আমি বুঝে ফেললাম তিনি কী বলতে চান। বলুন না নুরুল ইসলাম ভাই, কী বলতে চান। আমি বুঝতে পেরেছি। পোস্টারে শুধুই লেখা। সাদামাঠা লেখা। নকশা কই ছবি নেই। কেমন লাগবে তাই না?

—না না আপনি যা আঁকছেন সেটাই তো নকশা। ছবির কথা নকশার কথা আপনিই বলেছিলেন হাশেম ভাই।

—নুরুল ইসলাম ভাই এ বৈষম্য দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে। সাড়ে সাত কোটি মানুষের দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভ, যন্ত্রণা ও শাসকদের প্রতি ঘৃণার প্রকাশ প্রত্যেকটি বর্ণে, প্রত্যেকটি বৈষম্যের কথায়। আমি অক্ষরগুলোকে খুব সহজ ও সাবলীলভাবে লিখেছি। কোথাও কাঁপা কাঁপা এটুকু নড়ে চড়ে যেন ওরাও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। এই ক্ষোভের মধ্যে আছে স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও প্রতিবাদ। ছক আঁকতে গিয়েও কোনো স্কেল ব্যবহার করিনি। লেখাগুলোও সেজন্য ধরে ধরে লিখিনি। স্বাভাবিকভাবে লিখেছি। এর মধ্যে কোনো নকশা, ছবি ব্যবহার করলে উপরের বৈশিষ্ট্যগুলো নষ্ট হতো বলে আমি মনে করি। তাই পোস্টারটির বিষয়ের আবেগ ও প্রতিক্রিয়াকেই গুরুত্ব দেওয়ার জন্য সাদামাঠা নকশায় পোস্টারটি তৈরি করেছি। এত ব্যাখ্যার দরকার কি হাশেম ভাই। আপনি শিল্পী, আপনি স্বাধীনভাবেই নিজের চিন্তাকে প্রকাশ না করলে এই পোস্টার বলেন বা যে কোনো ছবির আবেদন সফল হবে না।

আপনি ২০ টাকা নিয়ে হঠাৎ হাওয়া হয়ে গেলেন কোথায়? আরে প্রেসে ৪-৫ জনকে বসিয়ে রেখে এসেছিলাম। ওরাতো সারারাত ধরে পোস্টারটা ছাপবে। প্রেসের মালিক যে রকম কিপটা ওদের ঠিকমতো খাওয়াবে না। বলে ওরাতো বাড়তি খাটার জন্য টাকা পাবে সেখান থেকেই খরচ করে খাবে? ওরাতো সন্ধ্যা থেকেই বসে আছে। বসে বসে বিরক্ত হয়ে যদি চলে যায়? তাই ছুটে গেলাম সবাইকে পেট ভরে খাওয়ার জন্য মোরগ পোলাও দিলাম, ফানটা দিলাম আর সারা রাতের কাজের ফাঁকে ফাঁকে চা বিস্কুট খাওয়ার জন্য সব কিনে দিয়ে এলাম। প্রেসে মালিক পোস্টার ছাপার কাগজ নিয়ে এসেছে সেটাও দেখে এলাম।

নূরুল ইসলামের সব দিকেই খেয়াল। খেটে খাওয়া মানুষ, সাধারণ মানুষ, তাদের প্রতি তিনি সব সময়ই যত্নবান তা নূরুল ইসলাম ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয়ের পর থেকেই দেখে এসেছি। রিকশায় কখনো দরদাম ঠিক করে উঠতেন না, ভাড়া দেওয়ার সময় প্রায়শই ঠকতে হতো। রিকশাওয়ালারা তাই সুযোগ বুঝে বেশি ভাড়া চাইতো। হাসিমুখেই তিনি সাধ্যমতো বেশি ভাড়াই দিতেন, কখনো কখনো রিকশাওয়ালার চেহারা স্বাস্থ্য, তার ক্লান্তদেহ, ঘাম ইত্যাদি বিচার করে যা চাইতো তাই দিতে দিতে বলতেন বেশি ভাড়া দিলাম— একটা কলা কিন্না খা, এক গেলাস দুদ খাবি, একটা আন্ডা খাবি যা। পারলে বৌ বাচ্চার জন্য কলা কিন্না নিস। নে আরও দিলাম। অথচ অবাক হওয়ার বিষয় নূরুল ইসলাম কখনই সচ্ছল ছিলেন না। সারা জীবন ভর তার ধ্যান ধারণা কাজ দেশের মানুষের জন্য, রাজনীতি করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য হয়ে বিশ্বাসভাজন ও আস্থাশীল কর্মী হিসেবে। আওয়ামী লীগের সব নেতার কাছেই তার গ্রহণযোগ্যতা অপরিসীম। বেগম ফজিলাতুননেসা তাকে সন্তানের মতো স্নেহ করতেন। নূরুল ইসলামও ‘মুজিব ভাই’ বলতে ছিলেন ছায়ার মতো তার পাশে থেকেছেন সারা জীবন। বেগম মুজিবকে সম্বোধন করতেন ভাবী বলে। প্রায়শই গল্প করেই বলতেন মুজিব ভাই তো জেলেই থাকতেন। পুরো সংসার, ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া সব ঝামেলাকেই সামলাতেন ভাবী। কী পরিমাণ কষ্ট যে তিনি করেছেন তা কাউকে বলতে চাইতেন না। অন্যদিকে শুধু নিজের সংসার নয়, আত্মীয় স্বজনের প্রয়োজন এমনকি আওয়ামী লীগের অনেক কাজেই তিনি নীরবে করে যেতেন। ‘সোনার বাংলা শ্মশান কেন’ পোস্টারটি প্রথম দিন ছাপা হয় ১০ হাজার কপি। রাস্তায় দেয়ালে লাগানোর পর মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। অনেক মহিলা ও কিশোর কিশোরীকে দেখেছি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাগজে বৈষম্যের’ বিষয়টি টুকে নিচ্ছে।

নূরুল ইসলামের নেতৃত্বে এর পর পোস্টারটি ছোট আকারে বা ‘লিফলেটের’ মতো করে লাখ লাখ কপি ছেপে মানুষের মাঝে বিলি করা হয়। বড় আকারেও পোস্টারটি কয়েক লাখ ছেপে বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে পাকিস্তান স্বৈরশাসকদের হঠকারিতা ও অমানবিকতার মুখোশটি তুলে ধরা হয়। ধীরে ধীরে এই পোস্টারের আবেদন দেশে বিদেশে বিপুল আলোড়ন তোলে। যার ফলাফল দেখি ১৯৭০ এর নির্বাচনে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর পতন যারা ছিল স্বৈরশাসকদের ও সাম্রাজ্যবাদী সাম্প্রদায়িক আধিপত্যবাদী মোর্চার লালিত পালিত দল। পক্ষান্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করে। পরবর্তীকালেও এই ‘সোনার বাংলা শ্মশান কেন’ শিরোনামের পোস্টার আমাদের নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামী মানুষদের প্রেরণা ও শক্তি হিসেবে বিজয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যায়।

এই বিভাগের আরও খবর
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
সর্বশেষ খবর
ক্ষমা করলে মর্যাদা বাড়ে
ক্ষমা করলে মর্যাদা বাড়ে

এই মাত্র | ইসলামী জীবন

হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প-নাভরোৎসকি বৈঠক, পোল্যান্ডের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প-নাভরোৎসকি বৈঠক, পোল্যান্ডের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ

১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হজের সফরে সহযাত্রীর সঙ্গে আচরণ
হজের সফরে সহযাত্রীর সঙ্গে আচরণ

১১ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

টিকটককে ইইউর ৫৩০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা
টিকটককে ইইউর ৫৩০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা

১৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডি ব্রুইনার গোলে টেবিলের তৃতীয়তে উঠে এলো ম্যান সিটি
ডি ব্রুইনার গোলে টেবিলের তৃতীয়তে উঠে এলো ম্যান সিটি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেঙ্গালুরুতে নিজের প্রিয় ক্রিকেটারের নাম জানালেন কোহলি
বেঙ্গালুরুতে নিজের প্রিয় ক্রিকেটারের নাম জানালেন কোহলি

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রতিদিন ৪৫ মিনিট হাঁটা নাকি জগিং, কোনটিতে বেশি উপকার?
প্রতিদিন ৪৫ মিনিট হাঁটা নাকি জগিং, কোনটিতে বেশি উপকার?

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

টিকটককে ৫৩০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করল ইইউ
টিকটককে ৫৩০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করল ইইউ

৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

চিয়া বীজে এমন কী রয়েছে যা রক্তচাপ কমাবে?
চিয়া বীজে এমন কী রয়েছে যা রক্তচাপ কমাবে?

৪ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

আইবিএসে ভুগছেন? অস্বস্তি থেকে মুক্তি মিলবে এই পাঁচ খাবারে
আইবিএসে ভুগছেন? অস্বস্তি থেকে মুক্তি মিলবে এই পাঁচ খাবারে

৫ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

অনুশীলনে চোট পেয়ে কপালে ৭ সেলাই পড়ল হার্দিকের
অনুশীলনে চোট পেয়ে কপালে ৭ সেলাই পড়ল হার্দিকের

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কেরানীগঞ্জে দখলবাজিতে বাড়ছিল বিপুরাজ্য
কেরানীগঞ্জে দখলবাজিতে বাড়ছিল বিপুরাজ্য

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩ মে)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩ মে)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেকআপ না তুলে ঘুম নয়
মেকআপ না তুলে ঘুম নয়

৬ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

'দেশে দ্রুত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে'
'দেশে দ্রুত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে'

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রতিষ্ঠা চাই গণতন্ত্রের; অধিকার ও সুযোগের সাম্য
প্রতিষ্ঠা চাই গণতন্ত্রের; অধিকার ও সুযোগের সাম্য

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

হায়দরাবাদের বিপক্ষে দাপুটে জয় গুজরাটের
হায়দরাবাদের বিপক্ষে দাপুটে জয় গুজরাটের

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জেফারের নতুন গান ‘তীর’
জেফারের নতুন গান ‘তীর’

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গ্রেফতার করতে গেলে দুই পুলিশকে আসামির হাতুড়িপেটা
গ্রেফতার করতে গেলে দুই পুলিশকে আসামির হাতুড়িপেটা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৩৭
রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৩৭

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মঞ্চে উপস্থিত মোদি, ঘাবড়ে গিয়ে যা বললেন কার্তিক
মঞ্চে উপস্থিত মোদি, ঘাবড়ে গিয়ে যা বললেন কার্তিক

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রেললাইনে ভিডিও করতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে তরুণ আলোকচিত্রীর মৃত্যু
রেললাইনে ভিডিও করতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে তরুণ আলোকচিত্রীর মৃত্যু

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সীমান্ত থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া দুই বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে দিয়েছে বিএসএফ
সীমান্ত থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া দুই বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে দিয়েছে বিএসএফ

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খিলগাঁওয়ে পৃথক স্থানে দুই শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যু
খিলগাঁওয়ে পৃথক স্থানে দুই শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

একটি অবিশ্বাস: সারা জীবনের কান্না
একটি অবিশ্বাস: সারা জীবনের কান্না

৮ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

যাত্রীদের কষ্ট বিবেচনায় বিমানের প্রস্তাব নাকচ খালেদা জিয়ার
যাত্রীদের কষ্ট বিবেচনায় বিমানের প্রস্তাব নাকচ খালেদা জিয়ার

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিলেট থেকে সরাসরি হজ ফ্লাইট শুরু ১৪ মে
সিলেট থেকে সরাসরি হজ ফ্লাইট শুরু ১৪ মে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টেন্ডুলকারকে ছাড়িয়ে রেকর্ড গড়লেন সুদর্শান
টেন্ডুলকারকে ছাড়িয়ে রেকর্ড গড়লেন সুদর্শান

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চাঁদপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ২
চাঁদপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ২

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ইসরায়েলি বিমান ঘাঁটিতে হুথির হামলা, বাজল সাইরেন- ফ্লাইট বাতিল
ইসরায়েলি বিমান ঘাঁটিতে হুথির হামলা, বাজল সাইরেন- ফ্লাইট বাতিল

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান সীমান্তবর্তী পাঁচ ভারতীয় সেনাঘাঁটিতে গোলাগুলি
পাকিস্তান সীমান্তবর্তী পাঁচ ভারতীয় সেনাঘাঁটিতে গোলাগুলি

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক আইজিপি মো. মোদাব্বির হোসেন চৌধুরী মারা গেছেন
সাবেক আইজিপি মো. মোদাব্বির হোসেন চৌধুরী মারা গেছেন

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের সঙ্গে উত্তেজনায় পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে খাদ্য মজুদের নির্দেশ
ভারতের সঙ্গে উত্তেজনায় পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে খাদ্য মজুদের নির্দেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের দখলকৃত জেরুজালেমের দাবানল নিয়ন্ত্রণে
ইসরায়েলের দখলকৃত জেরুজালেমের দাবানল নিয়ন্ত্রণে

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘জংলি’ কি সুপারহিট! আয় জানালেন প্রযোজক
‘জংলি’ কি সুপারহিট! আয় জানালেন প্রযোজক

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যাত্রীদের কষ্ট বিবেচনায় বিমানের প্রস্তাব নাকচ খালেদা জিয়ার
যাত্রীদের কষ্ট বিবেচনায় বিমানের প্রস্তাব নাকচ খালেদা জিয়ার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে দুঃসহ সময় কাটাচ্ছে কাশ্মীরিরা, হয়রানি-মারধর আর ধরপাকড়
ভারতে দুঃসহ সময় কাটাচ্ছে কাশ্মীরিরা, হয়রানি-মারধর আর ধরপাকড়

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তানি পতাকা নিয়ে অশান্তির ছক, দুই ‘বিজেপি কর্মী’ গ্রেফতার
পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তানি পতাকা নিয়ে অশান্তির ছক, দুই ‘বিজেপি কর্মী’ গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাড়ির নিচে ছিল ব্যক্তিগত ‌‘বন্দিশালা’, মুক্ত হলেন নারীসহ দুজন
বাড়ির নিচে ছিল ব্যক্তিগত ‌‘বন্দিশালা’, মুক্ত হলেন নারীসহ দুজন

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এরপর নেতানিয়াহুর ‘নজরে’ কি দামেস্ক?
এরপর নেতানিয়াহুর ‘নজরে’ কি দামেস্ক?

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ কাল
রাজধানীতে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ কাল

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন প্রেমের ‘আনুষ্ঠানিক’ ঘোষণা দিলেন শিখর ধাওয়ান
নতুন প্রেমের ‘আনুষ্ঠানিক’ ঘোষণা দিলেন শিখর ধাওয়ান

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারীবিষয়ক সংস্কার প্রস্তাব আগাগোড়া ইসলামবিরোধী : হেফাজতে ইসলাম
নারীবিষয়ক সংস্কার প্রস্তাব আগাগোড়া ইসলামবিরোধী : হেফাজতে ইসলাম

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা
আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কুতুবদিয়ায় সমুদ্রের গোলাপী চিংড়ি
কুতুবদিয়ায় সমুদ্রের গোলাপী চিংড়ি

১৫ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ইরানের তেল কিনলেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা: ট্রাম্প
ইরানের তেল কিনলেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা: ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘এখনও কাশ্মীরের জঙ্গলে’ লুকিয়ে আছে পেহেলগাঁও হামলাকারীরা: ভারতীয় তদন্ত সংস্থা
‘এখনও কাশ্মীরের জঙ্গলে’ লুকিয়ে আছে পেহেলগাঁও হামলাকারীরা: ভারতীয় তদন্ত সংস্থা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রকে ফের হুঁশিয়ারি দিল ইরান
যুক্তরাষ্ট্রকে ফের হুঁশিয়ারি দিল ইরান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল ও আমেরিকাকে হুথির হুঁশিয়ারি
ইসরায়েল ও আমেরিকাকে হুথির হুঁশিয়ারি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাসকিনকে নিয়ে সুখবর পেল বাংলাদেশ
তাসকিনকে নিয়ে সুখবর পেল বাংলাদেশ

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির সমাবেশ চলছে
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির সমাবেশ চলছে

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের দল ঘোষণা

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একটি অবিশ্বাস: সারা জীবনের কান্না
একটি অবিশ্বাস: সারা জীবনের কান্না

৮ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

পরিচ্ছন্নতা ও দখলমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতে উত্তরা ঘুরে দেখলেন রাজউক চেয়ারম্যান
পরিচ্ছন্নতা ও দখলমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতে উত্তরা ঘুরে দেখলেন রাজউক চেয়ারম্যান

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যদি কিন্তু অথবা ছাড়া আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে: হাসনাত আবদুল্লাহ
যদি কিন্তু অথবা ছাড়া আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে: হাসনাত আবদুল্লাহ

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজাগামী ত্রাণবাহী জাহাজে ড্রোন হামলা ইসরায়েলের
গাজাগামী ত্রাণবাহী জাহাজে ড্রোন হামলা ইসরায়েলের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উত্তরায় হোটেলে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক
উত্তরায় হোটেলে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভোট চাওয়াই এখন যেন অপরাধ
ভোট চাওয়াই এখন যেন অপরাধ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিয়ানমারে জান্তার ২৪৩ হামলা, নিহত দুই শতাধিক
মিয়ানমারে জান্তার ২৪৩ হামলা, নিহত দুই শতাধিক

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিরোধ বাড়ছে রাজনৈতিক দলে
বিরোধ বাড়ছে রাজনৈতিক দলে

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশ অচলের হুঁশিয়ারি হেফাজতে ইসলামের
দেশ অচলের হুঁশিয়ারি হেফাজতে ইসলামের

পেছনের পৃষ্ঠা

সিরাজগঞ্জে ব্যক্তিগত আয়নাঘর, চলত নির্যাতন
সিরাজগঞ্জে ব্যক্তিগত আয়নাঘর, চলত নির্যাতন

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকরে ভাগ্যচক্র
আজকরে ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

পথ খুঁজছে ঐকমত্য কমিশন
পথ খুঁজছে ঐকমত্য কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

পঞ্চপাণ্ডবে ধ্বংস বিদ্যুৎ খাত
পঞ্চপাণ্ডবে ধ্বংস বিদ্যুৎ খাত

প্রথম পৃষ্ঠা

দক্ষিণ এশিয়ার ‘লর্ডস’ ঘিরে কেবলই মুগ্ধতা
দক্ষিণ এশিয়ার ‘লর্ডস’ ঘিরে কেবলই মুগ্ধতা

মাঠে ময়দানে

টপসয়েল কাটার মহোৎসব
টপসয়েল কাটার মহোৎসব

পেছনের পৃষ্ঠা

নতুনরা কেন দর্শক নজর কাড়তে পারছেন না
নতুনরা কেন দর্শক নজর কাড়তে পারছেন না

শোবিজ

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ বাড়ছে
সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ বাড়ছে

নগর জীবন

ফারাক্কার কারণে ১২ জেলায় পরিবেশ বিপর্যয়
ফারাক্কার কারণে ১২ জেলায় পরিবেশ বিপর্যয়

পরিবেশ ও জীবন

সবজিতে অস্বস্তি মুরগিও চড়া
সবজিতে অস্বস্তি মুরগিও চড়া

পেছনের পৃষ্ঠা

পুত্রবধূদের নিয়ে সোমবার ফিরছেন খালেদা জিয়া
পুত্রবধূদের নিয়ে সোমবার ফিরছেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

ইমার্জিং দলে আকবর আলি
ইমার্জিং দলে আকবর আলি

মাঠে ময়দানে

পর্নোগ্রাফি প্রচারের অভিযোগে দুই নারী কারাগারে
পর্নোগ্রাফি প্রচারের অভিযোগে দুই নারী কারাগারে

পেছনের পৃষ্ঠা

চিকিৎসার অভাবে হাতিশাবকের মৃত্যু
চিকিৎসার অভাবে হাতিশাবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

মেহজাবীনের বৃহস্পতি তুঙ্গে
মেহজাবীনের বৃহস্পতি তুঙ্গে

শোবিজ

সীমানা নিয়ে জটিলতার শঙ্কা
সীমানা নিয়ে জটিলতার শঙ্কা

পেছনের পৃষ্ঠা

অপ্রতিরোধ্য শাহরুখ...
অপ্রতিরোধ্য শাহরুখ...

শোবিজ

আবাহনীকে ফের হারাল কিংস
আবাহনীকে ফের হারাল কিংস

মাঠে ময়দানে

সোনালি যুগের চলচ্চিত্র নির্মাতা আলমগীর কবির
সোনালি যুগের চলচ্চিত্র নির্মাতা আলমগীর কবির

শোবিজ

এনসিপির দায়িত্বে মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতির মেয়ে
এনসিপির দায়িত্বে মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতির মেয়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্রমিকদের সম্মানজনক মজুরি নিশ্চিতের দাবি এনসিবির
শ্রমিকদের সম্মানজনক মজুরি নিশ্চিতের দাবি এনসিবির

নগর জীবন

ইউরোপা লিগে ‘অল ইংলিশ ফাইনাল’!
ইউরোপা লিগে ‘অল ইংলিশ ফাইনাল’!

মাঠে ময়দানে

পাইলটের ভুলে ঢাকার ফ্লাইট নামল সিলেটে
পাইলটের ভুলে ঢাকার ফ্লাইট নামল সিলেটে

পেছনের পৃষ্ঠা

যুদ্ধে বিপর্যস্ত প্রাণপ্রকৃতি
যুদ্ধে বিপর্যস্ত প্রাণপ্রকৃতি

পরিবেশ ও জীবন

কখন ফিরছেন শাবনূর
কখন ফিরছেন শাবনূর

শোবিজ

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফারিয়া শাহরিনের আক্ষেপ
ফারিয়া শাহরিনের আক্ষেপ

শোবিজ

স্থাপত্যে অনন্য মেটি স্কুল
স্থাপত্যে অনন্য মেটি স্কুল

শনিবারের সকাল