রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে আইপিএলের প্রথম আসর থেকে খেলছেন বিরাট কোহলি। এই দলে তার সবচেয়ে প্রিয় ক্রিকেটার কে? সবচেয়ে অপ্রিয়ই বা কে? জানিয়ে দিলেন কোহলি নিজেই।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু কোহলির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানেই বিভিন্ন বিষয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। বেঙ্গালুরুর এই দলে অনেক তরুণ ক্রিকেটার রয়েছেন। তারা কোহলিকে দাদা হিসেবেই দেখেন। তাদের মধ্যে থেকেই দু’জনকে বেছে নিয়েছেন কোহলি।
তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বেঙ্গালুরুর দলে কার সঙ্গে কোনোদিন হোটেল রুম শেয়ার করতে চান না কোহলি? জবাবে তিনি বলেন, আমি স্বস্তিক চিকারার নাম করব। কারণ, ও কখনো আমাকে একা ছাড়তে চায় না। তাই ওর সঙ্গে এক ঘরে থাকা মুশকিল।
তা হলে কার সঙ্গে থাকতে চান? দলের আর এক তরুণ ক্রিকেটার জীতেশ শর্মার নাম করেছেন কোহলি। তিনি বলেন, জীতেশ খুব মজার ছেলে। ওর চোখ দেখে বোঝা যায়, ও সারাক্ষণ কতটা মজা করে। ওকে আরও ভালোভাবে চিনতে চাই আমি। তাই ওর সঙ্গে হোটেলে এক ঘরে থাকতে আমার কোনো সমস্যা নেই।
ভিডিওতে কোহলিকে আরও কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়েছিল। যেমন, তার জীবনে কোন ক্রিকেটারের প্রভাব সবচেয়ে বেশি? তার প্রিয় গান কোনটা? সব কিছুরই জবাব দিয়েছেন আরসিবির ক্রিকেটার।
কার প্রভাবে বদলে গেছেন কোহলি?
২০০৮ সালে কোহলি যখন ভারতের সিনিয়র দলে জায়গা পান, তখন থেকেই ভালো ব্যাট করেন। ফিল্ডিংটাও খারাপ করতেন না। কিন্তু ফিটনেস নিয়ে হয়তো আলাদা করে ভাবতেন না। সেই ভাবনা বদলে যায় কয়েক বছরে। ভারতীয় ক্রিকেটে ফিটনেসের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছেন তিনি। এই বয়সেও তার ফিটনেস নিয়ে আলোচনা হয়। যেভাবে তিনি উইকেটের মাঝে দৌড়ন, যেভাবে বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করেন তা বাকিদের কাছে শিক্ষণীয়। কোহলির এই বদল হয়েছিল এক জনের পরামর্শে। ১৭ বছর পরে তা প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি।
আইপিএলের প্রথম বছর থেকেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলেন কোহলি। সেখানে প্রথম বছরে তার সতীর্থ ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক মার্ক বাউচার। তিনিই বদলে দিয়েছিলেন কোহলিকে। তার কথা শুনেই প্রথম ফিটনেস নিয়ে খাটতে শুরু করেন কোহলি।
বাউচারের সঙ্গে কী কথা হয়েছিল তা জানিয়েছেন কোহলি। তিনি বলেন, আইপিএল প্রথম বছর যাদের সঙ্গে খেলেছি তাদের মধ্যে বাউচারের প্রভাব আমার ওপর সবচেয়ে বেশি ছিল। ও বুঝতে পেরেছিল আমার দুর্বলতা কোথায়। পরের পর্যায়ে যেতে হলে আমাকে কী কী করতে হবে। বাউচার আমাকে বলেছিল, তিন-চার বছর পর তোমার ভারতের হয়ে খেলার সম্ভাবনা খুব কম। কারণ, তুমি নিজেই নিজের দুর্বলতাকে প্রশ্রয় দিচ্ছ। আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, উন্নতি করতে হলে কী করতে হবে? তখন বাউচার বলেছিল, নিজের ফিটনেসের দিকে নজর দাও। ফিট না হলে এখনকার ক্রিকেটে বেশি দিন খেলা মুশকিল। আমি ওর কথা শুনে অবাক হয়েছিলাম। বুঝতে পেরেছিলাম, ফিটনেস নিয়ে খাটতে হবে আমাকে।
তারপরেই বদলে যান কোহলি। তিনি নিজে পরে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, একটা বড় সময় ধরে শুধুমাত্র সেদ্ধ ছোলা খেয়ে থেকেছেন। এক এক সময় মনে হতো বিছানার চাদর চিবিয়ে খেয়ে ফেলবেন। তার পরেও ডায়েট ছাড়েননি। পাশাপাশি জিমে শরীরচর্চা করতেন। কয়েক বছরের মধ্যে নিজেকে বদলে ফেলেন কোহলি। শুধু ভারতীয় ক্রিকেটারেরা নন, বিদেশি ক্রিকেটারেরাও কোহলির ফিটনেসের প্রশংসা শুরু করেন।
বিডি প্রতিদিন/কেএত্যে ঙ্গালুরুতে দলে নিজের প্রিয় ক্রিকেটার কে, অপ্রিয়ই বা কে? নাম ফাঁস করলেন কোহলি
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে আইপিএলের প্রথম আসর থেকে খেলছেন বিরাট কোহলি। এই দলে তার সবচেয়ে প্রিয় ক্রিকেটার কে? সবচেয়ে অপ্রিয়ই বা কে? জানিয়ে দিলেন কোহলি নিজেই।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু কোহলির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানেই বিভিন্ন বিষয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। বেঙ্গালুরুর এই দলে অনেক তরুণ ক্রিকেটার রয়েছেন। তারা কোহলিকে দাদা হিসেবেই দেখেন। তাদের মধ্যে থেকেই দু’জনকে বেছে নিয়েছেন কোহলি।
তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বেঙ্গালুরুর দলে কার সঙ্গে কোনোদিন হোটেল রুম শেয়ার করতে চান না কোহলি? জবাবে তিনি বলেন, আমি স্বস্তিক চিকারার নাম করব। কারণ, ও কখনো আমাকে একা ছাড়তে চায় না। তাই ওর সঙ্গে এক ঘরে থাকা মুশকিল।
তা হলে কার সঙ্গে থাকতে চান? দলের আর এক তরুণ ক্রিকেটার জীতেশ শর্মার নাম করেছেন কোহলি। তিনি বলেন, জীতেশ খুব মজার ছেলে। ওর চোখ দেখে বোঝা যায়, ও সারাক্ষণ কতটা মজা করে। ওকে আরও ভালোভাবে চিনতে চাই আমি। তাই ওর সঙ্গে হোটেলে এক ঘরে থাকতে আমার কোনো সমস্যা নেই।
ভিডিওতে কোহলিকে আরও কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়েছিল। যেমন, তার জীবনে কোন ক্রিকেটারের প্রভাব সবচেয়ে বেশি? তার প্রিয় গান কোনটা? সব কিছুরই জবাব দিয়েছেন আরসিবির ক্রিকেটার।
কার প্রভাবে বদলে গেছেন কোহলি?
২০০৮ সালে কোহলি যখন ভারতের সিনিয়র দলে জায়গা পান, তখন থেকেই ভালো ব্যাট করেন। ফিল্ডিংটাও খারাপ করতেন না। কিন্তু ফিটনেস নিয়ে হয়তো আলাদা করে ভাবতেন না। সেই ভাবনা বদলে যায় কয়েক বছরে। ভারতীয় ক্রিকেটে ফিটনেসের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছেন তিনি। এই বয়সেও তার ফিটনেস নিয়ে আলোচনা হয়। যেভাবে তিনি উইকেটের মাঝে দৌড়ন, যেভাবে বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করেন তা বাকিদের কাছে শিক্ষণীয়। কোহলির এই বদল হয়েছিল এক জনের পরামর্শে। ১৭ বছর পরে তা প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি।
আইপিএলের প্রথম বছর থেকেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলেন কোহলি। সেখানে প্রথম বছরে তার সতীর্থ ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক মার্ক বাউচার। তিনিই বদলে দিয়েছিলেন কোহলিকে। তার কথা শুনেই প্রথম ফিটনেস নিয়ে খাটতে শুরু করেন কোহলি।
বাউচারের সঙ্গে কী কথা হয়েছিল তা জানিয়েছেন কোহলি। তিনি বলেন, আইপিএল প্রথম বছর যাদের সঙ্গে খেলেছি তাদের মধ্যে বাউচারের প্রভাব আমার ওপর সবচেয়ে বেশি ছিল। ও বুঝতে পেরেছিল আমার দুর্বলতা কোথায়। পরের পর্যায়ে যেতে হলে আমাকে কী কী করতে হবে। বাউচার আমাকে বলেছিল, তিন-চার বছর পর তোমার ভারতের হয়ে খেলার সম্ভাবনা খুব কম। কারণ, তুমি নিজেই নিজের দুর্বলতাকে প্রশ্রয় দিচ্ছ। আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, উন্নতি করতে হলে কী করতে হবে? তখন বাউচার বলেছিল, নিজের ফিটনেসের দিকে নজর দাও। ফিট না হলে এখনকার ক্রিকেটে বেশি দিন খেলা মুশকিল। আমি ওর কথা শুনে অবাক হয়েছিলাম। বুঝতে পেরেছিলাম, ফিটনেস নিয়ে খাটতে হবে আমাকে।
তারপরেই বদলে যান কোহলি। তিনি নিজে পরে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, একটা বড় সময় ধরে শুধুমাত্র সেদ্ধ ছোলা খেয়ে থেকেছেন। এক এক সময় মনে হতো বিছানার চাদর চিবিয়ে খেয়ে ফেলবেন। তার পরেও ডায়েট ছাড়েননি। পাশাপাশি জিমে শরীরচর্চা করতেন। কয়েক বছরের মধ্যে নিজেকে বদলে ফেলেন কোহলি। শুধু ভারতীয় ক্রিকেটারেরা নন, বিদেশি ক্রিকেটারেরাও কোহলির ফিটনেসের প্রশংসা শুরু করেন।
বিডি প্রতিদিন/কেএ