ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমকে (আইবিএস) অনেক সময়েই নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল হয়। ক্রমাগত পেটফাঁপা এবং অস্বস্তি নিয়ে দৈনন্দিন কাজেও সমস্যা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সুষম আহার এবং পুষ্টির মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে।
আইবিএসের অন্যতম কারণ বদহজম। তাই খাবার যদি ঠিকমতো হজম হয়, সেক্ষেত্রে আইবিএসকে দূরে রাখা সম্ভব। যারা আইবিএসে ভুগছেন, তারা চারটি খাবারের মাধ্যমে উপকার পেতে পারেন। পেটও ভরবে, অথচ আইবিএসের সমস্যাও হবে না।
১) খোসা ছাড়ানো সেদ্ধ গাজর
স্যালাডের কাঁচা গাজর শক্ত। কিন্তু খোসা ছাড়িয়ে গাজরকে সেদ্ধ করে নিতে পারলে তা হজমে সাহায্য করে। গাজরের পুষ্টিগুণ এবং ফাইবার অন্যান্য খাবার হজম করতে সাহায্য করে।
২) শশা এবং কুমড়োর বীজ
শশা হজমে সাহায্য করে। কিন্তু শশার সঙ্গে গরমের সময়ে অল্প পরিমাণে কুমড়োর বীজ খেলে হজমপ্রক্রিয়া আরও দ্রুত হতে পারে বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। শশা পেটকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। অন্য দিকে, কুমড়োর বীজের মধ্যে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম। পেটের ব্যথা কমাতে কুমড়ো বীজ উপকারী।
৩) পাকা কলা
পাকা কলা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। কলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান থাকে। কিন্তু হজমের ক্ষেত্রে খুব বেশি মাত্রায় পেকে যাওয়া কলা না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।
৪) কাঠবাদাম এবং ইয়োগার্ট
আইবিএসে অনেকেই দুধ খেতে পারেন না। দুধ খেলেই তাঁদের পেটফাঁপার সমস্যা হয়। দুধের পরিবর্তে ল্যাকটোজ ছাড়া ইয়োগার্টের সঙ্গে কাঠবাদাম মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এই মিশ্রণে প্রোবায়োটিক এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে বলে তা হজমের ক্ষেত্রে সাহায্য করে।
৫) ডার্ক চকোলেট
আইবিসের রোগীদের ক্ষেত্রে সাধারণ চকোলেট হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে ডার্ক চকোলেট (৭৫ শতাংশ কোকো যুক্ত) খাওয়া যেতে পারে। তবে এই ধরনের চকোলেটের পরিমাণ যাতে খুব বেশি না হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখা উচিত।
বিডি প্রতিদিন/কেএ