বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত এক দফা ‘অসহযোগ’ আন্দোলনে উত্তাপ, সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মাধ্যমে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এসময় পুুলিশ ও যুবলীগ-ছাত্রলীগের সঙ্গে তাদের দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রবিবার সকাল থেকে নিউমার্কেট এলাকায় জমায়েত করতে থাকে আন্দোলনকারীরা। এতে নগরীর জিপিও, সদরঘাট রোড, স্টেশন রোড এবং আমতল এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভকারীরা যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। একই স্থানে মহানগর আওয়ামী লীগের জমায়েত কর্মসূচিতে যোগ দেয় ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এরইমধ্যে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যৌথ প্রতিরোধে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এতে কয়েক মিনিটের মধ্যেই আন্দোলনকারীরা পিছু হটেন। ততক্ষণে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গিয়ে নিউমার্কেট মোড়ে জড়ো হয়। এসময় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত হয়ে নিউমার্কেট এলাকায় সমাবেশ করে।
নিউমার্কেট থেকে সরে গিয়ে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন অংশে ছত্রভঙ্গ হয়ে লাভ লেইন, কাজির দেউড়ি, লালখান বাজার, ওয়াসা মোড়, আন্দরকিল্লা এলাকায় অবস্থান নেয়। আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে চলে যাবার পথে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় আগে থেকে জড়ো হয়ে থাকা আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে।
এদিকে, নাসিমন ভবনে নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল এসে দলীয় কার্যালয়ের কলাপসিবল গেটে ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর ও হামলা চালায়। কার্যালয়ের সামনে থাকা বিভিন্ন ব্যানারেও আগুন দেওয়া হয়। হামলাকারীদের সঙ্গে কিছু পুলিশ সদস্য থাকলেও তারা হামলাকারীদের কোন ধরনের বাধা দেয়নি বলেও জানান নগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা ইদ্রিস আলী।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত