অপহরণের শিকার জাকারিয়াকে উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা অপরাধ শাখা-ডিবি।
শনিবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়।
ওই দিন সন্ধ্যায় মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, জাকারিয়া পটুয়াখালী পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঠিকাদার (সাব-কন্ট্রাক্টর)। তিনি যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল মুসলিমনগর এলাকায় বসবাস করেন। গত শুক্রবার বিকালে যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার থেকে অপহৃত হন।
গ্রেফতারকৃতরা অপহরণকারী চক্রের সদস্য বলে জানিয়েছে ডিএমপির গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগ সূত্র বলছে। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আলী আজগর, কাজী আমিনুল ইসলাম আমিন, মারুফ গাজী, আল-আমিন, কামাল হোসেন ও ইসমাইল হোসেন ওরফে মিস্টার ও সূচনা।
শনিবার রাজধানীর ৩৬, পুরানা পল্টনের হোসেন ভবনের চতুর্থ তলায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত জাকারিয়াকে উদ্ধার করা হয় জানিয়ে ডিসি রেজাউল করিম বলেন, অপহরণকারীদের কাছ থেকে অপহরণে ব্যবহৃত দুটি পিস্তল, চারটি ম্যাগাজিন, ১৮ রাউন্ড গুলি এবং ইসলামি ব্যাংকের একটি চেক বই, একটি সিপিইউ ও একটি ড্রিল মেশিন উদ্ধার করা হয়।
অপহরণকারীরা জাকারিয়ার পরিবারের সদস্যদের ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে জানিয়ে ডিবি সূত্র বলছে, এ ঘটনায় ওইদিন যাত্রাবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন অপহৃতের স্ত্রী লাইজু ওরফে স্বর্ণা।
বিষয়টি যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের পাশাপাশি গুরুত্বসহকারে তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগ ও ডিবি সাইবার টেকনিক্যাল টিম।
অপহরণকারীদের গ্রেফতারে রাজধানীর একাধিক স্থানে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম।
তদন্তকালে ডিবি জানতে পারে, ভুক্তভোগীর একজন আত্মীয় অপহরণকারীদের দেওয়া একটি বিকাশ নম্বরে ২৫ হাজার টাকা পাঠান। টাকা উত্তোলন করতে গেলে অপহরণকারী দলের পলাতক একজনের স্ত্রী সূচনাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা-পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৩৬, পুরানা পল্টনের হোসেন ভবনের চতুর্থ তলায় মা প্রিন্টিং প্রেসে অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগী জাকারিয়াকে উদ্ধার ও ছয়জন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান, গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের ডিসি রেজাউল করিম।
বিডি প্রতিদিন/একেএ