মাদারীপুর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাদারীপুর শহরের চরমুগুরিয়া এলাকায় দু গ্রুপের সংঘর্ষে ইকবাল মাতুব্বর (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এছাড়াও কমপক্ষে আরও ১০ জন আহত হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শনিবার রাত ৯টার দিকে ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে।
নিহত ইকবাল মাতুব্বর পেয়ারপুর ইউনিয়নের গাছবাড়ীয়া এলাকার ছলেমান মাতুব্বরের ছেলে। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কয়েকজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর শহরের চরমুগুরিয়া খান বংশের সাথে মৃধা বংশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ ঘটনার জের ধরে শনিবার রাত ৯টার দিকে দু’ গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালীন সময় বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে ও একটি বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় দু’পক্ষ বেশ কয়েকটি হাত বোমা নিক্ষেপ করে। হাত বোমার আঘাতে ইকবাল মাতুব্বর গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুরের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিতেল কলেজে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এসময় ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান ইকবাল। নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এদিকে সংঘর্ষের সময় মাদারীপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাইম খানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও তার চাচাত ভাই টিটু খানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নাইম খানের স্ত্রী নাদিরা খান বলেন, আমার স্বামী এই দ্বন্দ্বের সাথে জড়িত নয়। মূলত এই দ্বন্দ্ব ইকবাল মাতুব্বরের সাথে। শুধু শুধু আমার স্বামীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।
মাদারীপুর পুলিশ সুপার সাইফুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/একেএ