সপ্তাহজুড়ে টানা দরপতন চলছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহের শেষ দিনেও গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। তবে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে এ বাজারটিতেও মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের পাঁচ দিনই শেয়ারবাজারে দরপতন হলো। পাঁচ দিনে ডিএসইতে সূচক কমেছে ৯১ পয়েন্ট।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বেড়েছে ১০৫ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৮টির এবং ৯১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় প্রায় দ্বিগুণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১০৫ পয়েন্টে নেমে গেছে। মূল্যসূচকের পতন হলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৫১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩০৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৪৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। লেনদেনের শীর্ষে ছিল ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ১৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সায়হাম কটনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৯৫ লাখ টাকার। ৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাভেলো আইসক্রিম। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৬০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৫টির এবং ৪০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকার।