নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেতৃত্ব দেওয়া সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ড. এ টি এম শামসুল হুদা আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল সকাল ৯টায় রাজধানীর গুলশানের বাসভবনে তিনি মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। শ্যালক আশফাক কাদেরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার ভগ্নিপতি সকাল ৯টায় বাসায় ইন্তেকাল করেছেন। পরে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’ শামসুল হুদা স্ত্রী, এক কন্যা এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মেয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার পর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন আশফাক কাদেরী। তিনি আরও জানান, শামসুল হুদার লাশ ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়েছে। ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সাবেক আমলা এ টি এম শামসুল হুদা সিইসির দায়িত্ব নিয়েছিলেন ২০০৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। তিনি কাজ করেছেন ২০১২ সাল পর্যন্ত। কমিশনার হিসেবে তাঁর সঙ্গী হন মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও এম. সাখাওয়াত হোসেন। ভোটের আগে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন হয় ওই কমিশনের সময়েই। সংলাপ করে নির্বাচনি আইন সংস্কার করা হয়। চালু হয় রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের নিয়ম ও ইভিএম। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে শামসুল হুদার কমিশন। ৮৭ শতাংশের বেশি ভোটারের উপস্থিতিতে সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৩০, বিএনপি ৩০ ও জাতীয় পার্টি (জাপা) ২৭ আসন পায়। বিএনপি বরাবরই ওই ইসির সমালোচনায় মুখর ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার বিলোপ ঘটে। সংবিধানে যোগ হয় ৫ সদস্যের ইসি গঠনের নিয়ম। সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুক হক গণমাধ্যমে এ শোকবার্তা পাঠিয়েছেন।