এ সময়ে দুই বাংলার জনপ্রিয় মুখ আজমেরী হক বাঁধন। বিশ্বদরবারে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। সিনেমা-ওয়েব কনটেন্টসহ বেশ কিছু দর্শকনন্দিত কাজ উপহার দিয়েছেন। হিন্দি সিনেমাতেও অভিনয় করে প্রশংসিত। তাঁর সঙ্গে কথোপকথন-
বাঁধন কি কিছুটা হলেও পাল্টেছে?
না তো! আমার তো কিছুই চেঞ্জ হয়নি। যে বাঁধন ছিলাম সেই বাঁধনই আছি। আমার কাছে আসলে যে কোনো কাজের গল্প ও চরিত্রটা পছন্দ হতে হবে। আর ডিরেক্টরকে আমাকে বিশ্বাস করতে হবে। অনেকে আছেন অসাধারণ অভিনেতা; কিন্তু কোনো ইফোর্ট দিল না-তাহলে ভালো কাজ সম্ভব নয়। কো-আটিস্টদেরও ভালো সাপোর্ট দিতে হয়।
নতুনভাবে ফিরে আসা, সাফল্যের দেখা পাওয়া। এ সাফল্যের কারণ কী?
এটা খুবই ইন্টারেস্টিং, আমি কিন্তু রেহানা মারিয়াম নূরের কাছে যাইনি, অক্টোপাসের কাছে যাইনি, কিংবা মুসকান বা অন্যান্য চরিত্রের কাছে, সেগুলোই কিন্তু আমার কাছে এসেছে। এটা একটা অস্বাভাবিক ঘটনা যে, সাদের টিম আমাকে নিয়ে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছে। আমি তখন কিন্তু নিজেকে বুঝিয়েছিলাম, এটা আমার লাস্ট অপশন। এটা আমাকে করতে হবে এবং শতভাগ ডেডিকেশন দিয়ে। এরপর তো একটার পর একটা কাজ করেছি, এখনো করছি।
বাঁধনের জীবনোপলব্ধি?
ভালো মানুষ হতে চাই। এ প্রক্রিয়াটা চলমান থাকবে আমৃত্যু। আর সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ও অধিকার বুঝে পেতে চাই। এ জীবন সুন্দর ও রঙিন।
বৈচিত্র্যময় চরিত্রে দেখছে দর্শক...
এটা ভালো দিক। অনেকরকম চরিত্রে মানুষ আমাকে বা অন্যকে চিন্তা করছে; কিন্তু আমরা অনেক কিছু আসলে স্টেরিও টাইপ চিন্তা থেকে বের হতে পারিনি এখনো। সেটির এক ধরনের ক্রাইসিস আছে স্ক্রিপ্টে কিংবা গল্পে। সেটা একটু পীড়া দেয়। এত বেছে কাজ করা কঠিন।
মিডিয়ার মানুষ একজন আরেকজনকে পছন্দ করে না। আপনার এ বিষয়ে ধারণা কী?
আমাকে বেশির ভাগ মানুষই পছন্দ করেন না, এটা শুধু মিডিয়া নয়, মিডিয়ার বাইরেও। আবার যারা পছন্দ করেন তারা একেবারে মন থেকে করেন। তো ওইটা আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমি এটাই ফিল করতে চাই। কে পছন্দ করল আর কে করল না, সেটা নিয়ে ভাবতে চাই না।
ধারণা রয়েছে, ফিমেল লিডের কাজ চলে না...
এ কথাটা শুনতে চাই না। বিশ্বাস করি, এ ধারণার পরিবর্তন হবে। আমরা কাজ দিয়েই এ চিন্তার পরিবর্তন করতে পারব। দর্শককেও নতুন কিছু দিতে পারব। এখন শুধু অপেক্ষা।
বাঁধন এত সুন্দর কেন?
তাই নাকি? (মৃদু হেসে) আমি যেরকম সেরকম নিজেকে মেনে নিতে পেরেছি বলেই হয়তো। মনে হয়, এটা আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। তো এটা হয়তো ফেইসে রিফ্লেক্ট করে। আর কিছুই নয়।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন শুনেছি। কেমন জীবনসঙ্গী চান?
জীবনসঙ্গীর ক্ষেত্রে আমাকে আমার মতো যে গ্রহণ করবে, সেই জিনিসটা খুব জরুরি। আর এটা আমাদের সমাজে তো খুবই দুর্লভ।
কাজের খবর?
‘এশা মার্ডার’-এর কিছু অংশের শুটিং রয়েছে। আর সামনে কিছু কাজের কথাবার্তা চলছে।