ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে তেহরানে মিসাইল চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ইরানের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি তেহরান সফর করছিলেন। সেখানে তিনি যে বাসভবনে ছিলেন সেখানেই চালানো হয় মিসাইল হামলা। ইরান, তুরস্ক, রাশিয়া, চীনসহ বিশ্বের অনেক দেশের পক্ষ থেকে এ বর্বর হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করা হয়েছে। কাতারে অবস্থান করে ইসমাইল হানিয়া হামাসের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। হানিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হামাসের সশস্ত্র সংগঠন প্রতিশোধ নেওয়ার শপথ নিয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের কঠোর জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ইরানও। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ হামলার নিন্দা জানিয়ে এটিকে কাপুরুষোচিত হত্যাকাণ্ড বলে অভিহিত করেছে। হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে বলেছেন, দখলদারদের হাতে হানিয়া হত্যাকাণ্ড মারাত্মক এক বাড়াবাড়ি। হামাস এবং ফিলিস্তিনি জনগণের মনোবল ভেঙে দেওয়ার অসম্ভব এক লক্ষ্য অর্জন করাই এর উদ্দেশ্য। এই বাড়াবাড়ি কোনো কাজে আসবে না, আর ইহুদিবাদীদের লক্ষ্যও পূরণ হবে না। হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- হামাস একটি ধারণা ও প্রতিষ্ঠান। এটি কোনো ব্যক্তি নয়। হামাস মুক্তির পথেই চলবে। তাতে যত ত্যাগ-তিতিক্ষাই থাকুক না কেন। জয় পাওয়ার ব্যাপারে হামাস আস্থাশীল। ইরানের শক্তিশালী ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড বলেছে, হানিয়া হত্যার কঠিন প্রতিশোধ নেওয়া হবে। তেহরানে গুপ্তহত্যার শিকার হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের জবাব হবে কঠোর ও বেদনাদায়ক। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ইমাম খামেনিও হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করে বলেছেন, এর মাধ্যমে ইসরায়েলের অপরাধী, জঙ্গি ও জায়নবাদী শাসকরা কঠিন শাস্তির প্রাপ্যতা অর্জন করেছে। ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন ধ্বংস করার জন্য ইসরায়েল যে এ অপকর্ম চালিয়েছে তা স্পষ্ট। কিন্তু এ হামলা প্রকারান্তরে দ্বিধাবিভক্ত ফিলিস্তিনিদের ঐক্যবদ্ধ করতেই সাহায্য করবে। ফিলিস্তিনিদের মুক্তির আকাক্সক্ষাকে অপরাজেয় করে তুলবে। জায়নবাদের বিরুদ্ধে বাড়াবে বিশ্ববাসীর ঘৃণা।