ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মরদেহের ময়নাতদন্ত করেছেন এক ইসরায়েলি চিকিৎসক। তার নাম চেন কুগেল।
এই চিকিৎসকের দাবি, সিনওয়ারের মৃত্যু হয়েছে মাথায় গুলির আঘাতে, যা নতুন ও চমকপ্রদ তথ্য।
এবং তার এই তথ্যের সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে গাজার শাসক গোষ্ঠী হামাসের তথ্যের। সংগঠনটির দাবি, সিনওয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াইরত অবস্থায় নিহত হয়েছেন।
এরআগে দখলদার ইসরায়েল জানিয়েছিল, সিনওয়ারের মৃত্যু হয়েছে ট্যাংকের গোলার আঘাতে। অবশ্য সিনওয়ারের দেহে ট্যাংকের গোলার আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গেছে।
ওই চিকিৎসক বলেন, “তার মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো মাথায় গুলির আঘাত। তার মাথায় একটি গুলি পাওয়া গেছে। এছাড়া তার মস্তিস্কে আঘাতজনিত ক্ষত ছিল।”
সিনওয়ারের মরদেহে অন্যান্য আঘাতও ছিল বিষয়টি উল্লেখ করে ডাক্তার চেন কুগেল বলেছেন, “তার দেহে অন্যান্য আঘাত ছিল, যেমন ডান বাহুতে মিসাইলের আঘাত, বাম পা বা উরুতে ভবন ধসে পড়ার আঘাত, এবং তার দেহে প্রবেশ করেছিল মিসাইলের অসংখ্য শার্পনেল। যদিও সবগুলো শার্পনেল তার বুকে ছিল। এসব শার্পনেল তার দেহে ব্যাপক ক্ষতি করে। কিন্তু তার মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো মাথার গুলির আঘাত।”
এই চিকিৎসককে প্রশ্ন করা হয়েছিল কোন সময় সিনওয়ারের মৃত্যু হয়েছিল বলে ধারণা করছেন। জবাবে তিনি বলেছেন, বুধবার বিকালে হয়তো তিনি নিহত হয়ে থাকতে পারেন। এর ২৪ ঘণ্টা পর তার মরদেহ ইসরায়েলের তেলআবিবে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নিশ্চিত হওয়া যায় মরদেহটি ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছিল।
এদিকে সিনওয়ারের মাথায় গুলির আঘাত থাকার ব্যাপারে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেছে, সিনওয়ার যে বাড়িতে ছিলেন সেটিতে ট্যাংক থেকে গোলা ছোড়ার আগে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছিল। সূত্র: সিএনএন
বিডি প্রতিদিন/একেএ