রবিবার, ১৩ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’

‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ এ গানটির মধ্য দিয়ে মুক্তির সংগ্রামে উদ্দীপ্ত হয়ে হানাদারবধে এগিয়ে যায় বাংলার ছাত্র, কৃষক, শ্রমিকসহ সব শ্রেণির মানুষ। এ গানটি বাংলার মুুুক্তিপিপাসুদের চেতনায় মুক্তির আগুন ধরায়। জাতিধর্মবর্ণগোত্রনির্বিশেষ এ গানটিকে আরাধ্য করেই মুক্তির পথে এগিয়ে যায় সমগ্র বাঙালি। ১৯৭০ সালে গাজী মাযহারুল আনোয়ার এ গানটি রচনা করেন। সৃষ্টির ৪৬ বছর পার করেছে ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ গানটি। আর এ উপলক্ষে গানটির রচয়িতা গাজী মাযহারুল আনোয়ারের সম্মানে ‘সুধীজনের শুভেচ্ছা ও তিন কন্যার গানের সন্ধ্যা’ শীর্ষক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘আমরা সূর্যমুখী’।

গত সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এ আয়োজন। রুখসানা মুমতাজ, দিঠি আনোয়ার, সাবিনা লাকী— এ তিন কন্যার কণ্ঠে ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ গানটির সম্মিলিত পরিবেশনার মধ্য দিয়েই এ আয়োজনের সূচনা ঘটে। ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি উপহার দেওয়া এবং উত্তরীয় পরিয়ে অমর সৃষ্টি ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’-এর গীতিকবি গাজী মাযহারুল আনোয়ারকে সংবর্ধিত করা হয় হয় মনোজ্ঞ এ আয়োজনে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারুনুর রশীদ বীরপ্রতীকের সভাপতিত্বে গাজী মাযহারুল আনোয়ারের বিভিন্ন দিক নিয়ে বক্তৃতা করেন কণ্ঠশিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদী, শেখ সাদী খান, তিমির নন্দী, শহীদুল্লাহ ফরায়জী, কবির বকুল ও সংগঠনের সমন্বয় সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সেলিম। রুখসানা মুমতাজ গেয়ে শোনান ‘আমায় যদি প্রশ্ন কর’, ‘নজর লাগল বলে’, ‘তুমি কখন এসে’, ‘ইচ্ছে তোমায় মনের নদী’ ও ‘কাল জলে কুজলা তলে’। দিঠি আনোয়ার পরিবেশন করেন ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’, ‘ইশারায় শিস দিয়ে’, ‘গানেরি খাতায় স্বরলিপি’, ‘আমার রসিয়া বন্ধুরে’ ও ‘আছেন আমার মোক্তার’। আর সাবিনা লাকী গেয়ে শোনান ‘ফুলের কাছে ভ্রমর এসে’, ‘ও পাখি তোর যন্ত্রণা’, ‘বিমূর্ত এ রাত্রি আমার’, ‘তুমি না হয় রহিতে কাছে’ ও ‘সোনা সোনা দামি গহনা’। তিনজনে মোট ১৫টি গান পরিবেশন করেন।

আননের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী : আলোচনা, পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান, সংকলন প্রকাশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠার চতুর্থ বর্ষ উদ্যাপন করেছে শিশু সংগঠন আনন ফাউন্ডেশন। গতকাল বিকালে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি স ম শামসুল আলমের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিশু সাহিত্যিক আলী ইমাম, আমীরুল ইসলাম ও আহমাদ মাযহার। শুভেচ্ছা বক্তৃতা প্রদান করেন ফাউন্ডেশনের মহাসচিব নজরুল ইসলাম নঈম। অনুষ্ঠানে শিশু সাহিত্যিক লুত্ফর রহমান রিটনকে ‘আনন শিশু সাহিত্য পুরস্কার-২০১৬’ প্রদান করা হয়।

খালিদ মাহমুদ মিঠু স্মরণে চারুকলা অনুষদ : আকস্মিক দুর্ঘটনায় নিহত চলচ্চিত্রকার, চিত্রশিল্পী ও আলোকচিত্রী খালিদ মাহমুদ মিঠুকে স্মরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। গতকাল বিকালে অনুষদের মিলনায়তনে এ স্মরণসভায় মিঠুর স্মৃতিচারণা করেন তার বন্ধু, আত্মীয়, শিক্ষক ও গুণগ্রাহীরা। অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বক্তৃতা করেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, চিত্রশিল্পী মোখলেসুর রহমান, শিল্প সংগ্রাহক সালাহউদ্দীন আহমদ, ফজলে আলী কচি, আতিয়া ইসলাম এ্যানি, নাসিম আহমেদ নাদভী, শিশিরকুমার ভট্টাচার্য, শহীদ কবীর, মোহাম্মদ ইউনুস প্রমুখ। পিতৃ স্মৃতিচারণা করেন খালিদ মাহমুদ মিঠুর মেয়ে শিরোপা।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর