১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৭:০৭

চাকরি ছেড়ে তুলা চাষে সফল রাসেল

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাকরি ছেড়ে তুলা চাষে সফল রাসেল

তুলা চাষে সফল রাসেল।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের বরেন্দ্র অঞ্চলের উঁচু জমিতে সেচ সংকটে ধান ও সবজি চাষের প্রবণতা কমে যাচ্ছে। সেই জমিতে এখন তুলা চাষে আগ্রহ তৈরি হয়েছে কৃষকদের মধ্যে। কম সেচ ও বৃষ্টির পানিতে কাজ হওয়ায় তুলা চাষে ঝুঁকছেন অনেকেই। ফলন ভালো হলে বিঘায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা আয় করা যায়।

আষাঢ় মাসের বৃষ্টির পানিতে বীজ বপন করে অগ্রহায়ণ মাসে তুলা ঘরে তোলা যায়। পাঁচ থেকে ছয় বছরে বরেন্দ্র অঞ্চলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের তালিকাভুক্ত ৫০ জন চাষি প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে তুলার চাষ করছেন।

জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার বড়দাদপুর গ্রামের মোতাহার হোসেন রাসেল এক বছর থেকে ১৭ বিঘা জমিতে তুলার চাষ করছেন। তিনি জানিয়েছেন, এবার তিনি সব মিলিয়ে ৬ লাখ টাকার তুলা বিক্রি করবেন।

তিনি আরও বলেন, ঢাকাতে চাকরি ছেড়ে করোনার কারণে বাড়িতে এসে পাশের চাষিদের দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে তুলা চাষের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। গত বছর তুলার দাম ছিল ২ হাজার ৭০০ টাকা মণ। এ বছর তুলার দাম প্রতি মণ ৩ হাজার ৪০০ টাকা। রাসেলের তুলা চাষে আকৃষ্ট হয়ে একই উপজেলার বড়দাদপুর গ্রামে হিমেলসহ অনেকেই তুলা চাষে ঝুঁকেছেন।

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের গোমস্তাপুর ইউনিটের কর্মকর্তা মুর্শেদ আলী জানান, উপজেলার ৫০ জন চাষি তুলা চাষের সঙ্গে জড়িত। তুলার রোগ বালাই পর্যবেক্ষেণ করে চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া অল্প টাকা বিনিয়োগ করে তুলা চাষ করে লাভবান হওয়া যায়। বাজারজাতকরণেও তেমন ঝামেলা নেই। 

বিডি প্রতিদিন/এমআই

সর্বশেষ খবর