ভাল দাম পাওয়ায় মানিকগঞ্জে আবাদ বেড়েছে পেঁয়াজ চাষে। যেসব জমিতে অন্য ফসল রোপণ করা হতো সেসব জমিতে এবার পেঁয়াজের আবাদ করা হচ্ছে। সেই সাথে একটু আগে পেঁয়াজ তুলতে পাড়লে দাম ভাল পাওয়া যাবে সে জন্য একটু বাড়তি যত্নও নিচ্ছে পেঁয়াজ খেতে। অন্য সব ফসলের চেয়ে পেঁয়াজে লাভ বেশি হওয়ায় চাষীরা পেঁয়াজ খেতেই সময় দিচ্ছেন বেশি। সেই সাথে ঠিকমত সার, কিটনাশক ও সেচ দিচ্ছেন নিয়মিত।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেশি শ্রমিক নিয়ে পেঁয়াজের আবাদ করছেন চাষীরা। হরিরামপুর উপজেলার নিজাম উদ্দিন বলেন গতবছর দুইবিঘা জমিতে পিঁয়াজ ও দেড়বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছিলাম। এবার সবটুকু জমিতেই পিঁয়াজ চাষ করবো। কিন্তু মুড়িকাটা পিঁয়াজে ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিচ্ছে। চরা দামে পিঁয়াজের বীজ কেনা হয়েছে। কিন্তু ফলন ভাল হয়নি। চালা এলাকার কৃষক কাজিমুদ্দিন বলেন, এবার অনেক বেশী জমিতে পিঁয়াজ চাষ হচ্ছে তাই ভরা মৌসুমে দাম পড়ে যেতে পারে। যদি সঠিক দাম না পাওয়া যায় তাহলে কৃষকরা পথে বসে যাবে। ঝিটকা পোদ্দার পাড়ার মোঃ শরিফ মোল্লা বলেন এবার তিনি চার বিঘা জমিতে পিঁয়াজ চাষ করছেন। প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হচ্ছে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা। ফলন ভাল ও সঠিক দাম থাকলে বিঘা প্রতি বিক্রী হবে প্রায় এক লক্ষ টাকা।পিয়াজের আবাদ বেশী হওয়ায় দাম কমে যেতে পারে। কপি ও মূলার মতো দামে ধস নামলে কৃষক একেবারে পথে বসে যাবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. রবিআ নুর আহমেদ বলেন, ভাল দাম পাওয়ায় গতবছরের চেয়ে এবার পেঁয়াজের আবাদ বেশি হচ্ছে। গত বছর জেলায় সাত হাজার পয়ত্রিশ হেক্টর জমিতে পিঁয়াজ আবাদ হয়েছিল। উৎপাদিত পেঁয়াজ এক লক্ষ সাত হাজার বিশ মে. টন যার বাজার মূল্য প্রায় ছয়শ কোটি টাকা।
বিডি প্রতিদিন/এএম