৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৮:২৩

নাটকীয় জয়ে প্লে অফের আশা টিকে থাকল কুমিল্লার

অনলাইন ডেস্ক

নাটকীয় জয়ে প্লে অফের আশা টিকে থাকল কুমিল্লার

ডেভিড মালান (ফাইল ছবি)

বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ২৭তম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে তিন উইকেটের নাটকীয় জয় পেয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৯ রান করে চট্টগ্রাম। জবাবে শেষ বলে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কুমিল্লা।এই জয়ে প্লে’অফের আশা বেঁচে রইলো কুমিল্লার। ৮ ম্যাচে ৩ জয় ও ৫ হারে ৬ পয়েন্ট কুমিল্লার। অপরদিকে, ৯ ম্যাচে ৬ জয় ও ৩ হারে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে চট্টগ্রাম।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করতে নামে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। প্রথমে ব্যাট করার সুযোগটা দারুনভাবে কাজে লাগান চট্টগ্রামের দুই ওপেনার ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেন্ডল সিমন্স ও জুনায়েদ সিদ্দিকী। পাওয়া প্লে’তে ওভারপ্রতি ৯ রান নিয়ে স্কোর বোর্ডে ৫৪ রান যোগ করেন তারা। এমনকি দলকে শতরানের স্বাদও দেন এ জুটি। ১১তম ওভারে দলকে তিন অংকে পৌঁছে দেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার।

তবে ১২তম ওভারে এই জুটিকে বিচ্ছিন্ন করেন কুমিল্লার মিডিয়াম পেসার সৌম্য সরকার। ২৮ বলে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেয়া সিমন্স থামেন ৫৪ রানে। ৩৪ বলের ইনিংসে ৫টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান তিনি। এরপর ধস নামে চট্টগ্রামের ইনিংসে। ১০৩ থেকে ১১৬ রানে পৌঁছাতে আরও ৩ উইকেট হারায় তারা। জুনায়েদ ৬টি চারে ৩৭ বলে ৪৫, ওয়েস্ট ইন্ডিজের চাঁদউইক ওয়ালটন ৯, জিম্বাবুয়ের রায়ান বার্ল ২ রান করে আউট হন।

১৩ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন প্রথমবারের খেলতে নামা জিয়াউর রহমান। তার ইনিংসই শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রামকে লড়াকু পুঁজি এনে দেয়। ৪টি ছক্কায় ২১ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করেন জিয়াউর। এতে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৯ রান করে চট্টগ্রাম। কুমিল্লার সৌম্য ২০ রানে ২ উইকেট নেন।

জয়ের জন্য ১৬১ রানের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ওভারেই চারটি চার মারেন কুমিল্লার ওপেনার দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যান জিল। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। চারটি বাউন্ডারিতে ১২ বলে ২২ রান করে চট্টগ্রামের ইংল্যান্ডের পেসার লিয়াম প্লাংকেটের শিকার হন তিনি। এরপর দলের অন্যান্যরাও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। তবে এক প্রান্ত আগলে রানের ফুলঝুড়ি ফুটিয়েছেন দলের অধিনায়ক ইংল্যান্ডের ডেভিড মালান। ৩৯ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করা মালানের ব্যাটে জয়ের পথ সহজ হয়ে যায় কুমিল্লার। একটা সময় ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ২৪ বলে ২৬ রান দরকার পড়ে কুমিল্লার। কিন্তু খেই হারিয়ে ফেলে কুমিল্লা। ১৭তম ওভারে সাব্বির রহমানকে হারিয়ে ১ রান পায় কুমিল্লা। ১৫ বলে ১৮ রানে থামেন সাব্বির। ১৮তম ওভারে ১ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট তুলে নেন চট্টগ্রামের পেসার রুবেল হোসেন। ফলে শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য ২৪ রানের সমীকরনে পড়ে কুমিল্লা।

১৯তম ওভারে মালানের ১টি চারে ৮ রান পায় দল। এতে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৬ রান দরকার পড়ে কুমিল্লার। বোলার ছিলেন প্লাংকেট। প্রথম বলে ১ রান নেন মালান। ফলে স্ট্রাইক পান আবু হায়দার রনি। দ্বিতীয় বলে চার ও তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সমীকরণ সহজ করে ফেলেন তিনি। এমন অবস্থায় জয়ের জন্য শেষ ৩ বলে ৫ রান দরকার পড়ে কুমিল্লার। চতুর্থ বলে এক রান আসে। কিন্তু পঞ্চম বলে ২ রান নিতে গিয়ে রান আউট হন মালান। ফলে শেষ বলে জিততে ৩ রান লক্ষ্য পায় কুমিল্লা। কিন্তু শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে কুমিল্লাকে দুর্দান্ত জয় এনে দেন মুজিব। 

কুমিল্লার জয়ের ম্যাচে ৫১ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৭৪ রান করেন মালান। রনি ৮ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ১২ রানে। চট্টগ্রামের রুবেল ১৬ রানে ২ উইকেট নেন।

বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব

সর্বশেষ খবর