চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) মেয়েকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে নিয়ে এসে স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন মৃণাল দাশ। তিনিই ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তিনি চলে যাওয়াতে অসহায় হয়ে পড়েছে পুরো পরিবার। এ অসহায় পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতা দিবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
আজ রবিবার সন্ধ্যার দিকে তিন্নি দাশের পরিবার চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের সাথে দেখা করেন। মেয়র তাদেরকে নগদ আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন। পরে তার ভাই সানি দাশকেও চাকরি দেয়ার আশ্বাস দেন। সানি নগরীর আগ্রাবাদ কমার্স কলেজ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন।
সানি দাশ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পরিবারে আমার বাবাই আমাদের একমাত্র অর্থ উপার্জন করতেন। মেয়র আমার মায়ের সাথে কথা বলেছেন। তিনি যোগ্যতা অনুযায়ী আমার চাকরি ও তিন্নির পড়ালেখার সমস্ত ব্যয় বহন করতে আশ্বাস দিয়েছেন।
তিন্নি দাশের মা পল্লবী দাশ বলেন, তিন্নির বাবাকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছিলাম। বুঝে উঠতে পারছিলাম না, কিভাবে পরিবারকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসাইন টিপু আমাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করেন। পরে মেয়র নাছির ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করে দেন। তিনি আমার বড় ছেলেকে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর 'সি' ইউনিটের পরীক্ষা শেষে ফেরার পথে শাটল ট্রেনে স্ট্রোক করে মারা যান তিন্নির পিতা মৃণাল দাশ। নগরীতে সিএনজি চালিয়ে পরিবারের অর্থের যোগানদাতা মৃণালের গ্রামের বাড়ি সাতকানিয়ার আমিলাইশে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার