চাকরি না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকদের গুলি করতে চাওয়া আকাশ ইসলাম নামে স্থানীয় সেই যুবক।
গত বৃহস্পতিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবাহানের দিয়ে যাওয়া অবৈধ ১৪১ নিয়োগে ছিল না তার নাম। নিয়োগ না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্নভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘যারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে তারা কিসের ছাত্রলীগ। আপনি নিজে বা কাউকে দিয়ে টাকা নিয়ে তাদের চাকরি দিয়েছে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, যদিও আমার এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা উচিত নয়। তারপরও না বললে থাকতে পারলাম না। আমার যা হবার হোক। মোট ১৪১ জন নিয়োগ দিয়েছে ভিসি স্যার নিজস্ব ক্ষমতা বলে। আব্দুস সোবহান স্যার (ভিসি) কিছু ছাত্রলীগের বড় ভাইদেরকে চাকরি দিয়ে আপনার চরিত্রটা দুধের মত সাদা করে ফেলতে চাচ্ছেন? কিন্তু আপনাকে এটাও স্বীকার করতে হবে, অনেকের কাছ থেকেই আপনি নিজে বা কাউকে দিয়ে টাকা নিয়ে তাদের চাকরি দিয়েছেন, তারা কি আসলেই ছাত্রলীগ? তবে এখন তো সবাই ছাত্রলীগ। স্যার আপনি চাকরি দিয়েছেন তাদের, যারা নব্য ছাত্রলীগ। এমন কি এটা আপনারই তৈরি ছাত্রলীগ। আসলে তারা বিএনপি ও জামাতের ঘরের সন্তান। একটা তদন্ত কমিটি করা হোক। যদি আমার কথা ভুল হয়। তাহলে স্যান্ডেল দিয়ে মেরিন। আমি মাথা পেতে নিব।
ওই স্ট্যাটাসে তিনি আরো লিখেন, ‘তবে স্যার ছাত্রলীগের অনেকের জীবন আপনি নষ্ট করেছেন, স্যার এটাও তো আপনাকে স্বীকার করতে হবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সমস্ত টিচার আমাকে মাফ করে দিয়েন। আব্দুস সোবহান স্যার আপনাকে দুর্নীতিবাজ বললেও অল্প কিছু বলা হবে। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আকাশ ইসলাম বলেন, ‘ভাই, অনেক আশা করেছিলাম আমার চাকরিটা হবে। আমি গরীব ঘরের সন্তান। কিন্তু আমার চাকরিটা হল না।’
এর আগে গত ৪ মে উপাচার্য বাসভবনের সামনে আন্দোলনরত দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকদের গুলি করার হুমকি দিয়েছিলেন আকাশ নামে সেই যুবক।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন